somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লেখা আসতেছে,নাম আসতেছে না… কি করুম….:((

২২ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১০:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

'এই যাবে?'ঢাকা শহরের কোন রিকশাওয়ালাই এর উত্তরে বলবে না যামু'।এই ব্যাটাও তার ব্যাতিক্রম না।যতটা পারে বিরক্ত ভাব ফুটায় রেখেছে মুখে। ভাবটা এমন সে হাওয়া খেতে বের হয়েছে।উটকো লোক এসে বিড়ি ধরানোর দেয়াশলাই চাচ্ছে।মতিন সাহেবের ইচ্ছে করছে থাপরে ব্যাটার লুঙি নষ্ট করে দিতে। দেয়া যাচ্ছে না। হাতে বাজার না থাকলে দেয়া যেত। এই নিয়ে আট নম্বর রিকশাওয়ালার সাথে তিনি ভাব জমানোর চেষ্টা করছেন। ভাব জমছে না। কেউ কলাবাগান যেতে রাজি হচ্ছে না।

'কই যাইবেন? আপনে একা?'

''কলাবাগান,মাঠের উলটা দিকে'।' যতটা আন্তরিক ভাব দেখানো যায় মতিন সাহেব ফুটায় তুললেন। 'হারামজাদা আমি একা না দোকা সেইটা দিয়া তোর কি কাম' ভাবটা যতটা সম্ভব ভেতরে ঢুকায় নিলেন।চট করে"তোমার কষ্ট হলে মাঠের সামনে নামিয়ে দিলেও হবে" চেহারায় ভাবটা ফুটায় তুললেন।কাজ হলো।ব্যাটা রাজি হয়ে গেল।

ঢাকা শহরে তিন টাইপের রিকশাওয়ালা আছে।টাইপ এক, এরা ঢাকা শহরের ভাব বুঝে গেছে, কেমনে টাকা কামাইতে হয় এরা জানে। প্রেমিক-প্রেমিকা, আপুমনি ছাড়া এরা পারতপক্ষে কাউকে উঠায় না। টাইপ দুই, এদের পরিবার আছে, এরা সাত-আটটা পোলাপাইন চাবকে কুল পায় না। সকাল সকাল বউকে তালাক দিয়ে বের হয়, সন্ধ্যা সন্ধ্যা ফিরে আসে। বউও কিছুই হয় নাই এমন ভাব করে তারে খাবার তুলে দেয়। এই টাইপও ঢাকা শহর চেনে। কিন্তু এদের উদাস হওয়ার দিন শেষ। টাইপ তিন মাই ডিয়ার টাইপ। এরা কেবল আসছে।এখনো অলি-গলি চিনে উঠতে পারে নাই। বনানী রেলগেট পাঁচ টাকা বললেও রাজি হয়ে যাবে। এরাই রিকশাওয়ালাদের মধ্যে সবচেয়ে উদাস টাইপ।এখনো ঠিক করে নাই দেশে ফিরে যাবে না থাকবে। থেকে গেলে এরা টাইপ এক বা দুইতে ঢুকে যাবে। এই ব্যাটাকে তৃতীয় শ্রেণীর মনে হচ্ছে। বাজার নিয়ে তৃতীয় শ্রেণীর রিকশায় উঠা ঠিক হয় নাই। এরা উলটে দিতে পারে।

আজকে বাসায় গিয়ে মিতুর মাকে টাইট দিতে হবে।টাইট ছাড়া মেয়েছেলে চালানো ঠিক না। গুনে গুনে সাত প্যাঁচ।শুক্রবারে সাতসকালে বাজারে পাঠানো রুটিন হয়ে গেছে।এই রুটিন ভাংতে হবে। মিতুর মাকে দিয়ে হাসানকেও টাইট দিতে হবে।সম্পর্কে শালা, নিজে টাইট দেয়া ঠিক হবে না।এইসব সম্পর্ক হ্যান্ডল করতে হয় চেইন রিঅ্যাকশনের মাধ্যমে।হারামজাদা দিন দিন রাত করে ফিরছে।আরে ব্যাটা না ফিরলেই পারিস।তোকে ফিরতে বলছে কে? কোন কাজ নাই,কাজের বালাই নাই।ব্যাটা বাজারটা করে দিলেও তো পারিস।

মেজাজ খিঁচড়ে যাচ্ছে। ঠিক করা দরকার।একটা সিগারেটও ধরানো দরকার। নাস্তা করে বের হওয়া হয় নাই।পেট গুরগুর করছে।এই বয়সে পেট খালি রাখা ঠিক না।

‘স্যার, মাথা ঘুরায়। আর যামু না।’

চলবে……
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×