বাংলাদেশ মূলত একটি আমদানি নির্ভর দেশ। অল্প কিছু পণ্য ছাড়া প্রায় সবকিছুই অন্য দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আর দেশের মোট আমদানি রপ্তানির প্রায় সবটুকুই সম্পন্ন হয় এই দেশের প্রধান Gateway চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর। আর এই কারনেই দেশের অর্থনীতির মুল চালিকা শক্তি গুলোর মধ্যে হল চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর।
বন্দর এর কথা মনে পড়লেই চোখে ভাসে শুধু জাহাজ , ট্রাক , আর সারি সারি কন্টেইনার । কারন টিভি , পেপার আর বাইরে থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু দেখা যায় না।
আমরা হয়ত অনেকেই জানিনা আমাদের হাতে প্রয়োজনীয় পণ্য টা পৌঁছে দেয়ার জন্য কত ধরনের যান্ত্রিক প্রাণী দিন রাত রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে শুধু একটু তেল আর মবিল খেয়ে কাজ করে যায়। আজকে এমন কিছু যান্ত্রিক প্রাণী দেখব।
প্রথমেই বলে নেই , ছবি গুলা আমার সেই আমলের Nokia 2700-c দিয়ে তোলা। আর ছবি তোলা আমার পেশা না। তাই ছবির মান নিয়া কথে বললে খবর আছে। কিন্তু প্রশংসা করা যাবে।
আর আমার জ্ঞ্যান ও অল্প , কাজেই কেউ বেশি জানলে চুপ কইরা যাবেন ( বিশেষ করে জাহাজি ভাইরা ) । নতুন কিছু থাকলে জানায় জেতে পারেন।
প্রথমেই আসল Straddle Carrier. চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে প্রায় সব গুলা Straddle Carrier হল ৪- হাই। মানে এগুলা ১০ ফুট উচ্চতার ৪ টি কন্টেইনার Stack করতে পারে। একেকটির Lifting capacity ৪৫ টন ও উচ্চতা প্রায় ৫৫ ফুট। বলা যায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম গাড়ি!!! এটি। বর্তমানে ২ টি ২-হাই Straddle Carrier কিনার প্রস্তুতি চলছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের কয়টি Straddle Carrier এর ছবি ---
উপরের গুলো Finland এর Kalmar/ SISU কোম্পানির তৈরি
আর অপারেশনে থাকা গুলো হল জার্মানির Noell কোম্পানির তৈরি।
নিউ মুরিং টার্মিনাল এর পাশের ওয়ার্কশপ এ অপেক্ষায় থাকা Straddle Carrier
চট্টগ্রাম বন্দরে অপারেশন এ থাকা আর কিছু Straddle Carrier এর ছবিঃ
এবার আসি এদের কাজ করার উপায় নিয়ে। এগুলার মাঝে ফাকা থাকায় সহজেই যেকোনো লরি বা কন্টেইনার স্ট্যাক এর উপর দিয়ে চলে যেতে পারে। তারপর Hoist motor দিয়ে এর লিফটার টি নামিয়ে স্প্রেডার দিয়ে কন্টেইনার আটকে ধরে।
আশ্চর্যের বিষয় হল এই যে স্প্রেডার এর একদম নিচে দুই প্রান্তে ছোট নাট/স্ক্রু 'র মত দেখা যাচ্ছে। এইটা কে টুইস্ট লক বলা হয়। ওইটুকু দিয়ে আটকেই ৪০ টন কন্টেইনার টেনে তোলা হয়
এগুলায় ২ টি করে ডিজেল ইঞ্জিন আর ট্রান্সমিশন(গীয়ার বক্স) ব্যবহার করা হয়। ট্রান্সমিশন গুলা শক্তিশালী হবার কারনে এরা সামনে ও পিছনে দুই দিকেই সমান স্পীড এ চলতে পারে। দুই একটা কম্পানি ছাড়া বাকি সবাই চাকার উপরের বক্সেই ইঞ্জিন ও ট্রান্সমিশন রাখে।
উপরে ইঞ্জিন থাকলে যে কত সমস্যা সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাইছি
এগুলার কাজ হল মূলত ট্রাক আর কন্টেইনার ইয়ার্ড এর মাঝে কন্টেইনার আনা নেয়া করা। উপরের অই ছোট বাক্স তে
বইসা অপারেটর রা কিভাবে কি দেখে বুঝি না
এইবার নেট থেকে নেয়া দুইটা ছবি
বিভিন্ন এক্সেসরিজ, টুলস আর সার্ভিস মেইন্টেইনেন্স সহ একেকটি কিনতে বন্দর এর খরচ হয় প্রায় ৭-৮ কোটি টাকা
এইবার ভিডিও তে দেখেন কিভাবে কাজ করে
View this link
আর কিছু মনে পরলে পরে আপডেট কইরা দিব।
অন্যান্য ইকুইপমেন্ট এর খবর পরে আসবে। আপাতত কিছু বোনাস ছবি দেইখা চইলা যান। আবার পরে আইসেন
বন্দরে জাহাজ বারথিং এর ছবি
এত বাতাসের মধ্যে এত কিনারে যাওয়া উচিত হয় নাই
শেষ।
ধন্যবাদ , ফালতু কাজে সময় নষ্ট না করে আমার ব্লগ দেখে সময় টা কাজে লাগানোর জন্য

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


