একজন মুসলিম হওয়ার জন্য আমি গর্ববোধ করি। একই সাথে খুবি লজ্জাবোধ হয় যখন দেখি কিছু নষ্ট কীট একই নাম দিয়ে অমানুষের মত কাজ করে ।
অশিক্ষাই সবচেয়ে বড় সন্ত্রাস। এর চেয়ে বড় সন্ত্রাস হল কু-শিক্ষা। এরা সামাজিক ও ধর্মীয় শিক্ষা থেকে অনেক অনেক দূরে। এগুলিই আসল শয়তান । হয়ত সবাই কম বেশি বুঝতেছি কে বা কারা এগুলা করতেছে। হয়ত হাটহাজারীর দোষী দের ভাল করে বিচার হলে হয়ত এমন আর হত না। মাস্টার মাইন্ড গুলা রে এখনি না ধরতে পারলে সামনে আরও বিপদ পরিষ্কার।
ঘটনা প্রবাহ একটু খেয়াল করলেই দেখা যায় ব্যাপার পুরাই প্ল্যানড ছিল । হটাত করেই মিছিল সেখান থেকেই হামলা আর আগুন লাগান । কয়জন সাধারন মানুষ মিছিলে যায় আর মুহূর্তের মধ্যে আগুন লাগানোর শিক্ষা আর প্রস্তুতি নিয়ে যায় আমার জানা নাই।
আফসোস সব কিছু পরিস্কার বুঝার পরেও এটা নিয়েও এখন চলতেছে রাজনীতি। অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর পুরান খেলা।
আবার আফসোস আর লজ্জা।
কাছের কিছু বন্ধুদের কাছে লজ্জা প্রকাশ করা ছাড়া আর কি করতে পারি। তাই আজ ব্লগ আর ফেসবুক জুড়ে ওদের শঙ্কা আর অভিযোগ কোন ভাবেই অমূলক নয়। বরং খুবই স্বাভাবিক।
তবে কিছু মানুষ দেখি এই ব্যাপার নিয়ে খুবি এক্সাইটেড। কষ্ট পাওয়ার চেয়ে যেসব মানবতাবাদী খুশি হইতেছে এই কারন তারা আজকে মন খুলে পুরা জাতি কে সাম্প্রদায়িক বলতে পারতেছে যেইটা তারা কারনে অকারনে সব সময় বলতে চায় । কিন্তু ভাল যুক্তি না পাওয়ার কারনে সবসময় ভাত পায় না। আফসোস তাদের কয়েকজন কে দেশেই থাকতে দেখি না। বছরের ৬ মাস আসে পাশের দেশেই থাকে। আবার তোদের দেশপ্রেমের ঠেলায় কথাও বলা যায়না। আজ তাদের প্রতিবাদের ভাষায় ফেসবুকেও বসা যাইতেছে না। তাদের মত ভন্ডর মুখে জুতার বারি। অন্তত তারা তাদের শঙ্কা আর ঘৃণা প্রকাশ করতে পারতেছে। অথচ যাদের কোলে বইসা বড় বড় কথা বলে , আর এইখানে খাইয়া ওইখানে বাড়ি আর ব্যবসা করে অইখানে এই দুঃখ টাও প্রকাশ করা যায় না। তোদের মত সুবিধা বাদীর জন্য সাম্প্রদায়িক ই হতে ইচ্ছা করে।তাদের উদ্দেশ্যে একটাই কথা, দূরে গিয়া মর।
নিপীড়িত ও শঙ্কিত সবার কাছে আবারো লজ্জিত ।
রাজনীতিবিদ দের কাছে সুসঠ বিচার আশা খুব বেশি করিনা। তবুও বিচার চাওয়া ছাড়া আর কি বা করতে পারি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




