এইরকম পোস্ট করা যেতে পারে সেটা ধারণার বাইরে ছিল, কেউ কিভাবে এই রকম ভাবতে পারেন যে নারী ধর্ষিতা হওয়ার সময় সঙ্গে সংবিধান রাখবেন!!!
নারীকে ধর্ষণ করা হবে, নারী মুখ বুজে অনুভব করবে কোন নরপশু আস্তে আস্তে ছিন্নভিন্ন করে ফেলছে তার নারীত্বকে! তার পুরুষাঙ্গের উল্লাস অনুভব করবে কিন্তু হায়রে, সে যখন ধর্ষিতা হচ্ছে তখনও সে প্রতিবাদ করতে পারবে না।
অপেক্ষা করবে কখন তার শরীরটা সেই পশুর কামনার আগুনে জ্বলে পুড়ে ছারখার হবে, কখন মিটবে তার নারী মাংসের ক্ষুধা!!! কখন সেই জানোয়ার তার দেহের উপর থেকে উঠে দাঁড়িয়ে মুখে একটা "পিচিক" করে পিক ফেলবে তার দেহের উপর! আটকাতে থাকবে সেই মহার্ঘ পোস্ত অফিসের জিপার!!! নারী তাকে সময় দেবে মুখ বন্ধ রেখে।
তারপর নারী উঠে দাঁড়াবে যন্ত্রণায় ভারাক্রান্ত শরীর নিয়ে, ছিন্ন বস্ত্রে, নগ্ন দেহে, কোন প্রতিবাদ নেই, সেই নারীর শরীর অস্ত্র হাতে মহিষাসুরমর্দিনী হয়ে উঠবে না। কারণ আইনে মানা!
কোনরকমে নিজেকে সামলে সে ফিরে যাবে বাসায়, সেখানে গিয়ে সে বাপ- ভাইয়ের সামনে গিয়ে দাঁড়াবে সারা শরীরে ধর্ষনের চিহ্ন নিয়ে, আতপ্ত মুখে ধর্ষনের গ্লানি নিয়ে, জান্তব নিপীড়নের প্রতীক হয়ে। প্রতিবাদ হীন হয়ে।
না, মিছিলের মধ্যে খোলা চুলে এসে দাঁড়িয়ে দুই হাত আকাশে ছুঁড়ে দিয়ে ফসফরাসের মত জ্বলে উঠবে না সেই নারী, সেই নারী হবে না সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের নারী।
সে হবে মুক-বধির পঙ্গু সমাজের প্রতীক এক ধর্ষিতা নারী।
সে রাতের অন্ধকারে গাবগাছের তলায় দাঁড়িয়ে দড়ির ফাঁস ছুঁড়ে দেবে গাছের ডালে।
অথবা আদালতে ধর্না দিয়ে উকিলের প্রশ্নের সম্মুখীন হবে "মা, ওরা তোমার কোথায় হাত দিয়েছিল?"
সংবিধান সেই বাংলার নারীর চোখের জলে ভিজবে না,
সংবিধান ভিজে যাবে ধর্ষকের তেজারতি ঘামে!!! এটাই দেশের ভবিষ্যৎ!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




