আগে ফেবুর লেখাটি পরুন:
“ বছরের প্রথম দিন
উপলক্ষে যদি কেউ একটা ডিমও খরচ
করে, তবে তার ৫০ বৎসরের আমল
থাকলে তা বরবাদ হয়ে যাবে"
=============== =====
========= =======
নবী করিম সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম
মদীনা শরীফ
গিয়ে দুটি উৎসব বন্ধ করেছিলেন।
একটি হচ্ছে, বছরের প্রথম দিন
উদযাপন বা নওরোজ; অন্যটির নাম
ছিলো ‘মিহিরজান’।
মূলত: নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন
পালন করার রীতি ইসলামে নেই,
পার্সী মজুসীদের অুনকারণ। এ
সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছে:
“যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের
সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ
করে সে তাদের
দলভুক্ত।”
তাই যে কোন নওরোজ
সেটা থার্টি ফাস্ট
নাইট হোক, পহেলা নববর্ষ হোক
কিংবা পহেলা মুহররম হোক,
বিজাতীয়
রীতি হিসেবে প্রতেকটি ইসলামে সম্পূর্ণ
নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে------- -
১) ইমাম ফখরুদ্দীন উসমান বিন
আলী আয যাইলায়ী বলেন:
“নওরোজ ও মেলার নামে কিছু
দেয়া নাজায়েয। এ দুই দিনের
নামে প্রদত্ত হাদিয়া হারাম;
বরঞ্চ
কুফর”। (গ্রন্থ - তাবইনুল
হাকায়েক :
৬/২২৮)
২) ইমাম হাফস কবীর
রহমতুল্লাহি বলেন:
ক) “নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন
উপলক্ষে যদি কেউ একটা ডিমও দান
করে, তবে তার ৫০ বৎসরের আমল
থাকলে তা বরবাদ হয়ে যাবে"
খ) “যে ব্যক্তি নওরোজের দিন এমন
কিছু খরিদ করল যা সে পূর্বে খরিদ
করত না, এর মাধ্যমে সে যদি ঐ
দিনকে সম্মান করতে চায়
তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।”
৩) হাম্বলি মাযহাবের ফিকাহর
গ্রন্থ
‘আল-ইকনা’ তে বলা হয়েছে-
“কাফিরদের উৎসবে যোগদান করা,
সেই
দিন উপলক্ষে বেচাবিক্রি করা ও
উপহার বিনিময় করা হারাম”।
উপরক্ত দলিল দেখলে এটা সহজেই
বুঝা সম্ভব,
থার্টি ফাস্ট নাইট, পহেলা নববর্ষ,
পহেলা মুহররম শুধু পালন করা হারাম
নয়, বরং ঐ দিবস
উপলক্ষে কাউকে শুভেচ্ছা জানানো,
কিংবা ঐ দিবসগুলো উপলক্ষে কোন
অফার দিলে সেটা গ্রহণ করা, ঐ দিবস
উপলক্ষে কেনাবেচা করা,
খাদ্যগ্রহণ
করা হারাম ও ক্ষেত্র
বিশেষে কুফরী।
আসুন এবার জানি "নওরোজ" ও "মিহিরজান" কি?
নিচে এ বিষয় ২ টা কি এবং কেন বন্ধ হয়েছে ও এদের পরিবর্তিত নাম কি সেটার বিষয়ে ২টা লিংক দিলাম।
কালের কন্ঠ
নয়া দিগন্ত। একটু বড় লেখা, সময় নিয়ে পড়তে হবে।
অনুষ্ঠান দুটি বন্ধের কারনঃ কালের কন্ঠ- এর আগে শরতের পূর্ণিমায় নওরোজ নামে এবং বসন্তের পূর্ণিমায় মিহিরজান নামে উৎসব দুটি মদিনাবাসী বিভিন্ন ধরনের আনন্দ-আহ্লাদ, খেলাধুলা ও রং-তামাশার মাধ্যমে উদ্যাপন করত। উৎসব দুটির রীতিনীতি, আচার-ব্যবহার ছিল সম্পূর্ণরূপে ইসলামের আদর্শ পরিপন্থী। মহানবী (সা.)-এর পরিবর্তে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরের দিবসের কথা ঘোষণা করেন।
নয়া দিগন্ত: স্বভাবতই তদানীন্তন পারস্যবাসীদের অভিমত, এ দু’টি উৎসবের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ছিল অপরিসীম। অন্য যেকোনো উৎসব অপেক্ষা অধিক।’ কিন্তু যেভাবে পারস্যবাসী ও আরবরা এই উৎসব দু’টি উদযাপন করত তা ছিল ইসলামের আদর্শের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এমন অশালীন ও অশোভন পর্যায়ে এ উদযাপন অনুষ্ঠিত উপনীত হয় যে, তিরিশ দিনের মধ্যে একটি দিবস নির্দিষ্ট করে রাখা হতো দেহপসারিণী বা ‘কিয়ান’দের জন্য। সম্রাট, আমির-ওমরাহ, গণ্যমান্য সব ব্যক্তি সেদিন শ্রদ্ধা নিবেদন করতেন চরিত্রহীনা ওই নারীদের প্রতি। শ্রেণী-বৈষম্য, অহমিকা ও অশালীন কর্মকাণ্ডে পরিপূর্ণ এই উৎসব উদযাপন প্রক্রিয়ায় শিউরে উঠলেন ইসলামের নবী সা:। ইসলাম কখনোই সমর্থন করে না এরূপ আপত্তিকর, অসামজিক কর্মকলাপ। ইসলামের দৃষ্টিতে রাজা-প্রজা, ধনী-দরিদ্র, সাদা-কালোর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আল্লাহর কাছে সবাই সমান। পার্থক্য রয়েছে শুধু বিশ্বাসী ও অবিশ্বসীদের মধ্যে, সৎ ও অসতের মধ্যে। তা ছাড়া আল্লাহ তায়ালা মনোনীত একমাত্র দ্বীন, মহান ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের অশ্লীল, রুচিহীন কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার কোনো অধিকারও নেই। ব্যথিত ও উদ্বিগ্ন রাসূল সা: ইরশাদ করলেন, ‘আল্লাহতায়ালা তোমাদের জন্য এ দু’টি দিবস অপেক্ষা শ্রেয়তর ও মহিমাময় দু’টি দিবস নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আর সে পুণ্যময় দিবস দু’টি হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। অতএব আগের উৎসব দু’টি বন্ধ করে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানাদি পালন করো।’ চিরতরে বন্ধ হয়ে গেল আরববাসী তথা মুসলমানদের ‘নওরোজ’ ও ‘মিহিরজান’ উৎসব উদযাপন।
ওইখানে সব পাবেন। আমি কয়েকটি লাইন তুলে দিলাম মাত্র।
এবার আমার মত:
থার্টি ফাস্ট নাইট
হারাম এটা ঠিক না। আমার জানা মতে পবিত্র কুরাআনেও এটা লেখা নেই।
আমরা কি শুধু নববর্ষের সময়ই আল্লাহ কে ভয় পাব??
আমরা আল্লাহকে ভয় পাব
সারা জীবন। তাই নয়কি?
তবে থার্টি ফাস্ট নাইট
এর নামে যে নোংরামি হচ্ছে তা খারাপ এবং ইসলাম বহির্ভূত। বিষয়টা এমন নয় যে থার্টি
ফাস্ট নাইট বাদে অন্য কোন দিন (সেটা ঈদ হলেও) এই পাপ করলে ইসলাম মেনে নিবে।
যদি থার্টি ফাস্ট নাইট এর নামে অবৈধ সম্পর্ক, মদ, গাজা সহ গুনার কাজে লিপ্ত হন তা অবশ্যই হারাম।
বেশির ভাগ মডার্ন ছেলে মেয়েরা এটাই করে।
আপনি কিভাবে উদযাপন
করলেন এটা তার উপর নির্ভর করে।
আমি যদি থার্টি ফাস্ট
নাইট উপলক্ষ্যে সারা রাত নামাজ পরি, সেটা কিভাবে হারাম হয়?
আবার ধরুন ঈদের দিন
অবৈধ যৌন সম্পর্ক করলাম, তাহলে কি আমার পাপ হবে না?
বিষয়টা নির্ভর করে
আপনি কিভাবে নিজে উদযাপন করছেন তার উপর।
তাইঃ “নববর্ষ [থার্টিফাস্ট নাইট] মুসলমানদের জন্য হারাম !!” এই কথার সাথে আমি দ্বিমত পোষণ করছি।
আমার মাকে নববর্ষ উপলক্ষে একটি গয়না দিব, বাবাকে পাঞ্জাবী।----- এটা হারাম?
নববর্ষ উপলক্ষ্যে আমার বাবা মা তাদের সন্তানের জন্য ১০০ রাকায়াত নামায
পরবেন।----- এটা হারাম????
আমার মা নিজ হাতে রান্না করেছেন, ছেলেকে নববর্ষ উপলক্ষে খাওয়াবেন।-----নাকি এটা হারাম?
আমার মনে হয় কথাটা হবে
“নববর্ষ [থার্টিফাস্ট নাইট] উদযাপনের নামে পাপ করা হারাম !!”
ভুল হলে ক্ষমা প্রার্থী। ভুলটা ধরিয়ে সঠিকটা জানালে খুশি হব। সাথে রেফারেন্স দিতে ভুলবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩২