আমি অজস্রবার বলেছি আমি বাঙালি,তোমরা অজস্র তরুন আমার সাথে সুর মিলিয়ে বলেছ হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ আমি বাঙালি,আমি পরে বললাম ভারত আমাদের দেশ থেকে অনেক কিছু নিয়েছে ,বিনিময়ে কিছুই দেয়নি, তোমরাও সুর মিলিয়ে হাজার প্রতিবাদ করেছ, আমি বলেছি আমি সত্য পথের পথিক তোমরাও তাই হও। তোমরা আমার সাথে একমত হলে। আমি আজ গ্রাজুয়েশন শেষ করে অনেক বড় যায়গায় চাকরি করছি, তোমরা আমাকে অনেক সাধুবাদ জানিয়েছ। আমরা একসাথে সবসময় থাকব, তোমরা বলেছ হ্যাঁ। আজ ভারত আর বাংলাদেশের খেলা আছে , ভারত কে হারাতেই হবে , তোমরাও বলেছ হ্যাঁ ওদের হারাতেই হবে। বুকে জয় বাংলা লিখে বাংলাদেশ কে অনেক সাপোর্ট দিয়েছি , তোমরাও দিয়েছ । নিজের দেশ হেরেছে বলে কোন কষ্ট নেই, আবার জিতব ।সাহস দিয়েছি তোমাদের।
মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার চেয়েছি একসাথে কিন্তু সাইদি সাহেব কিন্তু অনেক বুজুর্গ মানুষ । এটা ত মানা যায় না। অনেক বড় সমস্যা হবে । উনি ধর্মের জন্য অনেক করেছেন । বাংলাদেশের রাজনীতি এতটাই খারাপ তারপরেও যারা পাপ করেছে তাদের শাস্তি হওয়া দরকার । ও দুঃখিত আমি লিখতে লিখতে অন্য একটি প্রসঙ্গ থেকে আরেক প্রসঙ্গে চলে গেছি যাই হোক,আবার শুরু করি
আজ পাকিস্তান আর বাংলাদেশের খেলা আছে , খুব উত্তেজনা নিয়ে আছি , ইসস আরেকটুর জন্য হলনা জয়টা , খারাপ লাগছে তারপরেও ভাল লাগছে , যে ই যাক ভারত জাতে না যায় এশিয়া কাপ ফাইনালে,আফ্রিদি এত ভাল খেলল আসলেই সে একটা প্লেয়ার , যতই হোক আফ্রিদি বলে কথা । মানে একটা অন্য লেবেলের প্লেয়ার । বুম বুম আফ্রিদি ।
আপনারা কি কিছু বুঝতে পারছেন ? আমাদের দেশের এখনো অনেক মানুষ আছেন যারা সুধু মাত্র ধর্মের জাত ভাই বলে পাকিস্তান কে এতটাই সাপোর্ট দিচ্ছেন যে এখন আফগানিস্তান ক্রিকেট খেলছে কিন্তু তার কোন সাপোর্টার নেই, এত দিন পাকিস্তান কে ধর্মের ভাই বলে সাপোর্ট দিয়েছে আমাদের অনেক পাকিস্তান ভক্তরা , কিন্তু এখন? অনেকেই জানে ১৯৭১ এ কি হয়েছে ? তারপরেও ওইসব সাপোর্টার দের হুঁশ হয় না। কিছু দিন আগে একজন কে জিজ্ঞেস করলাম তুমি পাকিস্তান কে কেন সাপোর্ট কর? উত্তরে সে বলল ওরা মুসলিম তাই? আমি বললাম কেন ১৯৭১ এ এদেশের মানুষও তো মুসলিম ছিল তাহলে ওরা কেন হত্যা করল ? তখন চুপ করে বসে উত্তর দিল ভাই খেলা র রাজনীতি এক না ।জবাব দিলাম থিক আছে, তাহলে আফগানিস্তান ও তো মুসলিম তাদের কে সাপোর্ট দিচ্ছ না কেন? ভাই পাকিস্তান অনেক ভাল খেলে, ব্যাপারটা তাহলে কোথায় গিয়ে দাঁড়ালো ? পাকিস্তান আমাদের লাখো মানুষ হত্যা করেছে, হাজার মা বোনের সতীত্ব নিয়ে খেলেছে তারপরেও ওদের সাপোর্ট দিবে শুধু ধর্মের ভাই আর ভাল খেলে বলে? আর ওই সাপোর্টার যারা প্রতিনিয়ত ভারত বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করে অথচ নিজেরা রাতের বেলা হলে স্টার জলসা এর সিরিয়াল দেখে তাদেরকে কি বলা যায় ?
এবার আপনাদের একটা তথ্য দেই , যেটা আগেও বলেছিলাম , পাকিস্তানের পাঠ্য বই এ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সম্পূর্ণ ভুল তথ্য দেওয়া আছে। এমনকি ওরা ভাবে যে ভারতের দালাল রা পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তান কে আলাদা করেছে, কিছু মুনাফিক ভাষা আন্দোলন করে এই কাজটির শুরু করে । এখন যখন আমাদের দেশের মাটি তে পাকিস্তানের খেলা হয় অন্য কোন দেশের তখন বুকে পাকিস্তানের পতাকা আর এত সাপোর্টার দেখে পাকিস্তানের জনগন এটাই মনে করে থাকে যে আসলেই ১৯৭১ এ পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে গেছে।
আজ তাদের উদ্দেশ্যে বলি যারা পাকিস্তান এর খেলা কে রাজনীতির সাথে তুলনা করতে নিষেধ করেন আপনারা এই তথ্য টি যদিও জানেন না তারপর ও বলি যেটা অনেকবার বলা হয়েছে
অরুন নন্দী নামের চাদপুরের এক সাতারু ১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর বিশ্ববিখ্যাত বাঙ্গালী সাতারু ব্রজেন দাশের তত্ত্বাবধানে কলকাতা কলেজ স্কোয়ারের পুকুরে সাতার কাটতে নামেন। তার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনসমর্থন আদায়। ৯০ ঘন্টা ৫ মিনিট সাতার কেটে তিনি বি.সি মোরের ৮৮ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট একটানা সাতার কাটার রেকর্ড ভেঙ্গে দেন।
হ্য ভাইয়া, সেদিন থেকে নির্দিষ্ট হয়ে গেছে, বাংলাদেশী খেলোয়াররা যেহেতু বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের যোদ্ধা তার মানে পাকিস্তানী খেলোয়াররাও পাকযোদ্ধা।
পাকিস্তান আমলে গানস অ্যান্ড মুর ব্যাটে জয় বাংলা লেখা ও স্বাধীন বাংলার মানচিত্র আঁকা স্টিকার নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন রকিবুল হাসান। এর ফলশ্রুতিতে মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই রাকিবুল হাসানের নামে পাকবাহিনী হুলিয়া জারি করেছিল।
হ্য ভাইয়া, একজন খেলোয়ারকেও তারা ছাড়েনি। আমরা কেন খেলাকে জাতীয় জীবন ও রাজনীতি থেকে আলাদা করবো?
পাকিস্তানী সাবেক অধিনায়ক ইমরান খান বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত কাদের মোল্লার ফাসির পরে তার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন, কাদের মোল্লাকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
হ্য ভাইয়া, পাকিস্তানী খেলোয়ার মানেই পকবাহিনী ও রাজাকারের ভাই-ব্রাদার। তাদের পক্ষ নেয়া আর পাকবাহীনির পক্ষে নেয়া আলাদা কিছু না।
১৯৭১ সালের এপ্রিলের দিকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সাবেক এমপি মাইকেল বার্ন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বর্বর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের ব্রিটেনে আসা আটকে দেন ।
ব্রিটিশ এমপিও বুঝে গিয়েছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অত্যাচারের দায়ভার পাকি ক্রিকেটের ওপরেও বর্তায়, আমরাই শুধু বুঝিনা!
অনেক বাঙ্গালী মেয়েই ষ্টেডিয়ামে পাকি জার্সী গায়ে দিয়ে “ম্যরী মী আফ্রিদী” লেখা প্ল্যকার্ড হাতে ঘুরে বেড়ায়, কিন্তু একটা পাকি মেয়েকেও দেখবেন না ম্যরী মী সাকিব লিখে ঘুরেছে। অথচ সাকিব বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার এবং দেখতে শুনতেও অনেক বেশি স্মার্ট ও কিউট।
আপনারা জাতশত্রুর পা চেটে তার ভাই হতে পারবেন না, পোষা কুকুরের মতই গন্য হবেন।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির নাম পাকিস্তান, পাকি ক্রিকেট টীমের নামের শুরুতেও পাকিস্তান শব্দটা আছে। এটাই কি পাকি টীম ঘৃনা করতে অনেক বড় ও যুক্তিসঙ্গত কারন নয়?
এর পর ও যদি আপনারা বলেন, এটা খেলা, তাহলে বলব আপনার জন্ম পরিচয় নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।
আজ আমি আমার নিজের পরিচয় দিচ্ছি , আমি একজন মনে প্রানে বাঙালি , একজন বাংলাদেশি। আপনি একজন পাকিস্তানের ভাড়া করা দালাল।যাদের বুকে বুম বুম আফ্রিদি থাকে। যদি আরেকবার যুদ্ধ হয় তোমাদের মত দালাল দের খুন করতে বুকটা কাপবে না আমার ।হউনা কেন তুমি আমার বন্ধু ...।
আমরা বাঘের মত খেলেছি, কুকুরের মত না ।
তাই আরেকবার বলি ,আজ না হয় কাল পাকিস্তান কে আমরাই হারাবো
জয় বাংলা ।জয় বাংলাদেশের ক্রিকেট দল ।