আচ্ছা বলতো,তুমি কি সবসময় আমার সাথে এরকম কথা বলে যাবে?তুমি অন্ধকারে থেকে আমাকে বলবে সামনে আলোর দিশা ওখানে যাও!!এই তুমি আমাকে শিখিয়েছ ” হে অতিত তুমি ভুবনে ভুবনে কাজ করে যাও গোপনে গোপনে “, আবার বলছ ” ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবা জ্ঞানীর কাজ” তুমি আমাকে বলেছিলে ” দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল অনেক ভালো”,আবার বলছ ” নাই মামা থেকে কানা মামা ভালো” কিংবা ” যে গরু দুধ দেয় তার লাথি খাওয়া অনেক ভালো ” অথবা ” দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য “। ছোট বেলা থেকেই দেখছি পরীক্ষার খাতায় মার্কস পেতে গেলে তোমার কথা মানতেই হবে। তুমি যা বলেছ তাই ঠিক,বাকি সব ভুল!আমার এখনো মনে আছে বাংলা ব্যাকরণ পড়তে গেলে ঘুম পেত, মনে হতো তুমি সামনে বসে আছ এইসব গেলানোর জন্য। আর আমি বসে থাকতাম এইসব জিনিস হজম করতে না পেরে পরীক্ষার খাতায় বমি করার জন্য। তুমিও খুশি, আমিও খুশি। তোমার উপর খুব রাগ হতো কেন জানো? কাজের কাজ না করে আকাম করেছ সারা জীবন । পড়াশোনা শেষ করে সবার গন্তব্য ওই একটাই, চাকরি করবে। তুমিও তাই বলেছিলে, ভালো পড়াশোনা না করলে ভালো চাকরি করা অসম্ভব।আমিও মানি, কিন্তু তুমি আমাকে একটি কথা বলতো, চাকরির জন্য যেই সিভি দিতে হয় তখন সবাই ইমেইল আইডি চায় , কই ছোট বেলায় তুমিতো আমাকে কিভাবে ইমেইল আইডি খুলতে হয় সেটা শেখাও নি। ছোট বেলায় ইতিহাস পড়তে পড়তে মুখে ফেনা ধরিয়ে দিয়েছিলে , তার পরেও তুমি আমাকে ইতিহাস সম্বলিত কোন সিনেমা এনে দেখাওনি, কেন বলতো?উল্টো বলতে টিভি দেখোনা। অথচ তুমি জাননা ছোট বেলায় আমি কি পড়েছি না পড়েছি সব ভুলে গেছি, ম্যগগাইভার সিরিজের কথা কিন্তু ভুলিনি। তখন যদি ওই পড়াশোনা সম্বলিত কোন সিনেমা দেখাতে তাহলে ওটা সারা জীবন মনে রাখতে পারতাম। তুমি সত্যি একটা বড় গাধা। তুমি কি আজও ছোট ছোট বাচ্চাদের ওরকম করে পড়াশোনা গেলাও? তাহলে তুমি অনেক ভুল করছ কারন কি জানো? কারন হচ্ছে ” চিত্ত যেথা ভয় শুন্য উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর,আপন প্রাঙ্গনতলে দিবস শর্বরী,বসুধারে রাখেনাই খণ্ড ক্ষুদ্র করি “।
তুমি অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসো, দেখো হাজারটা আলো অপেক্ষা করছে তোমার জন্য।