somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাল্টিপ্লেক্সই আমাদের সিনেমার ভবিষ্যৎ!

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বর্তমানে জেলা শহর গুলোতে বিদ্যমান হলগুলো দিয়ে সিনেমার পুনরুজ্জীবন কোনভাবেই সম্ভব নয়।আগে আমাদের দরকার হলে যাওয়ার অভ্যাস। হলে যাওয়ার অভ্যস্ততা তৈরী হলে প্রশ্ন আসবে আমরা দেশী সিনেমা দেখব না বিদেশী। যেমন এক লোক চা-ই খায়না; তার কাছে লিপটন, ইস্পাহানি বা টেটলী কোম্পানির প্রতিনিধিরা নিজেদের গুণগান গাইলে লাভ হবে কী? সবাই মিলে আগে লোকটাকে চায়ের নেশা ধরাতে পারলে সে একটা না একটা ব্র্যান্ড গ্রহণ করবেই। আমার মনে হয় মাল্টিপ্লেক্সের উন্নত পরিবেশে টিকটের দাম নাগালের মধ্যে রাখলে মানুষের মধ্যে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার অভ্যাস গড়ে উঠবেই।
সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখা অত্যন্ত গর্হিত কাজ; সামাজিক ভাবে এই আবহটা তৈরী হয়েছে অশ্লীল সিনেমার কারণে। সিনেমা দেখা খারাপ ছেলেদের কাজ তাই কলেজে ওঠার পর সিনেমা দেখতাম গোপনে শহরের হলে গিয়ে! বলা বাহুল্য সিনেমাগুলো আসলেই খুব নির্দোষ ছিল না। সাধারণ দর্শককে হল থেকে বের করে দিয়েছে এই অশ্লীলতা। এই আবহ ভেঙ্গে মানুষকে সিনেমা হলে নিয়ে আসা আর বোধহয় সম্ভব হবে না। তাছাড়া বর্তমান থ্রিডির যুগে আমাদের ভাঙ্গাচোরা হলে ঝাপসা ছবি দেখার দিন শেষ। কাজেই আমাদের নতুন নামে নতুন প্রযুক্তিতে মাল্টিপ্লেক্স এর প্রসারের মাধ্যমেই সিনেমার সুদিন ফিরিয়ে আনতে হবে। মাল্টিপ্লেক্স এ গিয়ে সিনেমা দেখেছি এটা একটা বলে বেড়ানোর মত ব্যাপারে পরিনত হলেই মানুষ সিনেমা দেখতে আসবে; সিনেমা টা যেমনই হোক। এরপর অভ্যস্ততা তৈরী হলে আসবে বাছাবাছির প্রশ্ন। প্রতিটি জেলা শহরে থ্রিডি মাল্টিপ্লেক্স নিমার্ণ আবশ্যক।

>> আমি এই পোস্টের মাধ্যমে এটা বলতে চাইছি না যে মাল্টিপ্লেক্স নির্মিত হলেই সিনেমার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।বরং আমি বলতে চাইছি যে যদি ধরে নিই সিনেমা থেকে অশ্লীলতা দূর হয়েছে, ভাল ভাল সিনেমা তৈরী হচ্ছে তারপরও মানুষ হলে আসবে না প্রচলিত হল গুলোর দুরবস্থার কারণে। অপরদিকে মাল্টিপ্লেক্স হলে মানুষ বিদেশী ছবির পাশাপাশি তুলনামূলক খারাপ দেশি ছবিও দেখতে আগ্রহী হবে।
>>
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×