চলতি বছরের ১১ই সেপ্টেম্বর তারিখের মধ্যে আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে সব সৈন্য ফিরিয়ে নিবে , এটা জো বাইডেন ঘোষণা দিয়েছেন । আর এতে মহাখুশি তালেবান এবং তালেবানকে পছন্দকারী সারা বিশ্বের মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদী শক্তিগুলো ।
অনেক বিশ্লেষক এবং আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু ব্যাক্তি বাইডেন তালেবানের পূর্ণ ধ্বংস চান । কারণ আফগানিস্তান আক্রমণের সময় বাইডেন সমর্থন করেছিলেন । তবে বর্তমান আমেরিকানরা এই যুদ্ধ আর চাচ্ছে না , তাই বাইডেনের এই সিদ্ধান্ত। আমেরিকার গত ২০ বছরে প্রায় ২৩০০ সেনা মৃত্যুবরণ করেছে এবং ১ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে এই আফগানিস্তান যুদ্ধে , তারপরও জয়ী হতে পারেনি । এজন্যই আমেরিকানরা আর কোনোভাবেই এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাইবে না , যার ফলে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন । কিন্তু আমি মনে করি ব্যাক্তি বাইডেন তালেবানের পূর্ণ ধ্বংস চান ।
এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে তালেবান যে কঠোর ধর্মচর্চা করে , তা কোরান হাদিস দ্বারা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং বর্তমান মানুষের পক্ষে সম্ভবপর না । তাই তালেবানরা সম্পূর্ণরুপে লোকদেখানো বা লজ্জায় পড়া ধার্মিক এবং এটা পূর্ণ শিরক ।
প্রিয় মুসলিম , তালেবানকে অন্য কোনো শক্তি বা ইহুদি খ্রিষ্টানরা ধ্বংস করবে, এটা চাওয়া মহাপাপ , বরং আমরা মুসলমানরাই তালেবানকে ধ্বংস করে অশেষ সওয়াবের অধিকারী হবো ইনশাআল্লাহ । আমরা রাজনীতি করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে এই ইসলামের শত্রুকে ধ্বংস করবো ইনশাআল্লাহ । পুরো মুসলিম বিশ্বে আমার দল "মডারেট মুসলিম" বৃহৎ দলে পরিণত হলেই বা মুসলিম বিশ্বের বৃহৎ দলগুলি আমার আনুগত্য করলেই এটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে , পৃথিবী থেকে মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদ চিরতরে বিদায় নিবে ইনশাআল্লাহ । প্রথমে আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতি করে ক্ষমতায় যাবো এবং ক্ষমতায় গিয়ে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ সমূলে ধ্বংস করবো ইনশাআল্লাহ ।
একবিংশ শতাব্দীতে এবং এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুগে , ফাইভ জি ইন্টারনেটের যুগে মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ , অতএব এদেরকে ধ্বংস করা বা ধ্বংস করার চেষ্টা করা প্রতিটি মুসলিমের জন্য ফরজে আইন ।
এখন বাংলাদেশী এক বক্তা এবং বাংলাদেশ নিয়ে বলবো । কয়েকদিন আগে বাংলাদেশী এক মৌলবাদী এবং জঙ্গিবাদী বক্তা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী আল কায়েদা এবং তালেবানের ব্যাপক প্রশংসা করলেন এবং আল কায়েদা ও তালেবানের ফিলোসোফিকে সঠিক বলে সাফাই গাইলেন এবং তাদেরকে সমর্থন করলেন । একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে বসে কিভাবে একজন বক্তা সন্ত্রাসী সংগঠনকে সমর্থন করতে পারে , তা আমার বোধগম্য নয় । এরপরও সরকার তাকে গ্রেফতার করেনি , এটাও আশ্চর্যের বিষয় । আমি দাবি জানাচ্ছি অবিলম্বে এই জঙ্গিকে গ্রেফতার করুন । যদিও এই বক্তা কিছুদিন পূর্বেও সুফিবাদ ইসলামের একজন শ্রেষ্ঠ স্কলার ছিলেন এবং মহাসম্পদ ছিলেন , কিন্তু কওমি মাদ্রাসার সংস্পর্শে এসে তার এই অবনতি হয়েছে ।
আব্বাসীকে নিয়ন্ত্রণের পর সরকারের নিকট দাবি চরমোনাই পীরকে ধরুন , এই দুই পীর সম্পূর্ণরুপে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সংবিধান বিরোধী । এরা ভীষণভাবে উগ্র , এদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে , এরা বাংলাদেশকে একটি ব্যার্থ রাষ্ট্রে পরিণত করবে । তাছাড়া এরা সবচাইতে বড়ো পাপী এজন্য যে , এরা ছোটোখাটো আমল নিয়ে জাহান্নামের ভয়ংকর ভয় দেখায় , বরং তাদের দায়িত্ব ছিলো ছোটোখাটো আমলের জন্য উৎসাহ দেওয়া , এমনকি ফরজ ওয়াজিব আমলের জন্যও উদ্বুদ্ধ করা , তা না করে শুধুই জাহান্নামের ভয় দেখায় , আসলে এটা দ্বারা তাদের ব্যাবসা ঠিক রাখে । বর্তমানে ফাইভ জি ইন্টারনেটের যুগে এমন ভয় দেখানো শতভাগ মানবাধিকার লংঘন । এই খারাপ লোকগুলি সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে দাস বানিয়ে রেখেছে , যেটা একটি রাষ্ট্র কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না।
এরা একবিংশ শতাব্দীতে এসে বলে আমাদের মুরিদের ঘরে টিভি নেই , আরে বলদের দল তোদের সবার হাতে তো স্মার্ট ফোন আছে , যা দিয়ে তোরা টিভির চাইতে লক্ষ গুণ বেশি খারাপ দেখছিস । আবার বড়ো বড়ো কথা । সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছি অবিলম্বে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন এবং এরা যে চরমভাবে মানবাধিকার লংঘন করছে তার ব্যবস্থা নিন । এদের মুখোশ উন্মোচন করুন এবং এদের ধর্ম ব্যাবসা বন্ধ করুন । পরবর্তীতে আরেকটি পদক্ষেপ নিন , আর তা হলো - ঘরে ঘরে মাদ্রাসা তৈরি বন্ধ করুন , কারণ আল্লাহ সামান্য একটা অংশকে আলেম হতে বলেছেন , অথচ মোল্লারা সমস্ত জনগোষ্ঠীকে আলেম বানিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে । আমি শতভাগ নিশ্চিত করে বলছি এরা দেশকে পঙ্গু বানিয়ে দিয়েছে এবং আরো মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা হতে দিলে, এরা দেশকে শতভাগ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করবে । দেশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে । একটি থানায় ২ - ৩ টি মাদ্রাসাই যথেষ্ট ।
সবশেষে ধরতে হবে আহলে হাদিস দলকে , কারণ এরা শুধুমাত্র হিংসা বিদ্বেষ ছড়ায় এবং অল্প শিক্ষিত লোকদেরকে তাদের দলে ভিড়িয়ে দল ভারি করছে এবং বড়ো দল বানিয়ে রাজনীতি শুরু করার স্বপ্ন দেখছে , যা তাদের বক্তব্য শুনলেই প্রমাণ হয়ে যায় । তাছাড়া এরা প্রকাশ্যে প্রচার করছে যে , তারা একদিন রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম করবে , যখন তাদের দল ভারি হবে , অর্থাৎ এদের আর জঙ্গিদের গন্তব্য একই । আমি আমার টাইমলাইনে বার বার দলিল দিয়েছি যে এখন মানুষ দুর্বল , তাই রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম জায়েজ নেই , এজন্য এই আহলে হাদিসদের এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এরাও খুব শীঘ্র জঙ্গিদের চাইতে ভয়াবহ হয়ে যাবে । এদের মাঝে যে ভয়ংকর জিদ হিংসা এবং অহংকার আছে তা তাদের মুখের এক্সপ্রেশন থেকেই প্রমাণিত হয়ে যায় । অথচ হকপন্থী আলেমগন সর্বদা বিনয়ী ভাষণ বা বক্তৃতা দিয়ে থাকেন । আল্লাহর কসম করে বলছি জিদ হিংসা অহংকার এবং ঈমান একসাথে থাকতে পারে না , অর্থাৎ তাদের কোনো ঈমান নেই ।
প্রিয় দেশবাসী , আমি বাংলাদেশকে একটি বিনয়ী রাষ্ট্র বানাতে চাই ইনশাআল্লাহ , যেটা অমুসলিম দেশ জাপানিরা বানিয়ে দেখিয়েছে । এজন্য বাংলাদেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে , যাদের প্রায় পুরোটাই রবীন্দ্রনাথের উম্মত ( নাউজুবিল্লাহ ) । অর্থাৎ এরা কথায় কথায় রবীন্দ্রনাথের বা কোনো কাফের মুশরিক বা ফাসেককে রেফারেন্স দেয় । এদেরকে নিয়ন্ত্রণের পথ একটাই , আর তা হলো আমার দল "মডারেট মুসলিম" - এ যোগ দেওয়া ।
বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ , কিছুকাল পূর্বে একটি মৌলবাদী এবং জঙ্গিবাদী দলের কোমর ভেঙে দেওয়ার জন্য । সরকারি দলকে অনুরোধ করবো - আমার ফিলোসোফি অনুযায়ী দল চালান এবং ইহকাল ও পরকালে সফলতা লাভ করুন । আর ধীরে ধীরে গনতন্ত্রকে পুনঃ প্রতিষ্ঠা করুন । মহান আল্লাহ আপনাদের সহায় হউন ।
প্রিয় দেশবাসী , বেশি বেশি নফল নামাজ পড়ুন এবং বেশি বেশি নফল রোজা রাখুন , দান সদকা করুন , বিনয়ী বিনয়ী এবং বিনয়ী হউন । তবে অবশ্যই মতামতের উর্দ্ধে যেসব ফরজ ওয়াজিব আছে তা পালন করুন । লোকদেখানো সুন্নত মুস্তাহাব পরিহার করে চলুন । বিজ্ঞান সম্মতভাবে টিভি নেট দেখুন , বিয়ের পূর্বে পূর্ণ অশ্লীল দেখা নিয়ন্ত্রণ করুন , দেখে ফেললে জিকির ফিকির করুন এবং নফল নামাজ রোজা করুন । বিয়ের পর পূর্ণ অশ্লীল অতিরিক্ত দেখবেন না , দেখার পর জিকির ফিকির ও নফল নামাজ রোজা করুন । পূণ্য পাপকে মিটিয়ে দেয় ( আল কোরান ) । আর নাটক সিনেমা গান অল্প বা মধ্যমভাবে দেখুন । নাটক সিনেমা গান দেখা স্বাভাবিক । তবে বয়স বাড়লে এবং ধর্মীয় জীবনে অগ্রসর হলে এগুলো দেখা এমনিতেই কমে যাবে এবং শুধু ইবাদত করতে মন চাইবে , একটু কষ্ট হলেও পাপ থেকে বিরত থাকতে অত্যন্ত মজা লাগবে। এখনতো প্রায় সব হুজুররাই স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে । আর স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে হুজুররা কি দেখে তা মাদানীর কাহিনি থেকেই প্রমাণিত হয় এবং মামুনুল হকের কর্মকান্ড তো ভাষায় প্রকাশের বাইরে ।
প্রিয় বিশ্ববাসী , বিনয়ী হউন , ক্ষমাশীল হউন , মিথ্যা ধার্মিকদের ঘৃণা ও প্রত্যাখ্যান করুন । আমার দলে যোগদান করুন , মধ্যমভাবে এবং সহজভাবে ধর্মচর্চা করুন । ধর্ম ও রাষ্ট্রকে একত্র করা থেকে বিরত থাকুন । ইনশাআল্লাহ এদেশ এবং পৃথিবী থেকে মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদ পুরোপুরি দূর হবে । আর পৃথিবীর মানুষগুলি বিনয়ী হয়ে উঠবে , তবে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোর হবে ইনশাআল্লাহ ।
( ডাঃ আকন্দ ) ।