ইউক্রেন যুদ্ধ পৃথিবীকে দুইভাগে বিভক্ত করেছে । এক পক্ষের নেতা চীন ও রাশিয়া এবং অন্যপক্ষের নেতা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ । চীন রাশিয়ায় মানুষ তাদের অধিকার পায় না , গনতন্ত্র পায় না এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা পায় না । অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মানবাধিকার , গনতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা অনেকটাই আছে । চীনে একেবারেই নেই , রাশিয়ায় কিছুটা আছে ।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন , কিন্তু ছোট্টো ভূমি ফিলিস্তিনের ব্যাপারে তেমন কোনো জোরালো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না । লোকদেখানো দায় সেরেছেন মাত্র । যুক্তরাষ্ট্রের সব প্রেসিডেন্টই কৌশলে ফিলিস্তিন সংকট এরিয়ে যান, আর ট্রাম্প তো জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী বানিয়ে দিয়েছেন । কত বড়ো মানবাধিকার লংঘন ! ভাবা যায় ! জ্ঞানীরা বলেন , আল্লাহ ছাড় দেন , কিন্তু ছেড়ে দেন না । ইনশাআল্লাহ আমি নিশ্চিত , এই ছোট্টো ভূমি ফিলিস্তিনের অভিশাপেই যুক্তরাষ্ট্র , ইসরায়েল এবং ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্ব কমতে থাকবে । আর সেটা ইউক্রেন যুদ্ধ থেকেই শুরু হবে ইনশাআল্লাহ ।
ইউক্রেন যদি এক - দুই মাস যুদ্ধের পর অনেকটা ছাড় দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ করতো , তাহলে তারাই যুদ্ধে জয়ী হতো । তারপরও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ তথা ন্যাটো যুদ্ধে ভালো করতো যদি তারা ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করতো এবং ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতো । ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ ভালো করবে না । কারণ ফিলিস্তিনের অভিশাপে এটা হবে ।
বাইডেন চাচ্ছেন ইসরায়েল এবং সৌদিআরব গভীর সম্পর্ক গড়ে ইরানের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ব্যবস্থা নিক । কারণ ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে গভীর সম্পর্ক । যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরান আক্রমণ করে তাহলে পৃথিবী পুনরায় পারমানবিক যুদ্ধ দেখবে, আর ইরানকে পারমানবিক অস্ত্র দিবে রাশিয়া । যার প্রমাণ হলো এই সপ্তাহেই পুতিন ইরান সফর করবেন । এই সফর দ্বারা পুতিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে এই বার্তাই দিবেন যে , ভুল করেও যেনো তারা ইরান আক্রমণ না করে ।
সৌদিআরব যদি ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে , তাহলে ফিলিস্তিনের সাথে সরাসরি বেইমানি হবে । যা অনেক আরব দেশ করে ফেলেছে । মহান আল্লাহ এর শাস্তি অবশ্যই দিবেন । ইহকালে না দিলেও পরকালে অবশ্যই দিবেন আরব দেশগুলোর সরকারদিগকে । এখনো সময় আছে , আরব দেশগুলোর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য কাজ করার । আর এজন্য যার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে হয় , তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা ফরজ ।
পৃথিবীর দুই পক্ষের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে । যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ এতো যে মানবাধিকারের কথা বলে , তাহলে ফিলিস্তিনের মানবাধিকার তাদের চোখে পড়ছে না কেনো । মহান আল্লাহর নিকট আমিও কেঁদে কেঁদে বলছি , হে আল্লাহ যারা ফিলিস্তিনের কান্না দেখেও না দেখার ভান করছে , তাদের তুমি ধ্বংস করে দাও । হে আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করো । আমার মনে হয় চীন রাশিয়া যতই স্বৈরাচার হউক না কেনো , যদি তারা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য কাজ করে , তাহলে তারাই ভবিষ্যৎ পৃথিবী শাসন করবে ইনশাআল্লাহ । কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনের সাথে উপহাস করে চলেছে ।
( জাহাঙ্গীর আলম ) ।