কোরান হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে , মানুষ এখন অতিশয় দুর্বল এবং এখন মানুষ ইসলামের দশ ভাগের এক ভাগ পালনেও দুর্বল । সেখানে মৌলবাদী এবং জঙ্গিবাদীরা ১৪০০ বছর পূর্বের পূর্ণ ইসলাম চাপিয়ে দিচ্ছে । অথচ ইসলামে জোরজবরদস্তি সম্পূর্ণ হারাম।
এমনিতেই নাস্তিকরা ইসলাম পছন্দ করে না । সেখানে মৌলবাদী এবং জঙ্গিবাদীরা পূর্বের শতভাগ ইসলাম রাষ্ট্রে চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে । স্বাভাবিকভাবেই নাস্তিকরা স্বাধীনতা হারাবে এবং সাথে মধ্যপন্থী মুসলিমরাও স্বাধীনতা হারাবে । আর এজন্যই নাস্তিকরা এবং মধ্যপন্থী মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকার জন্য বিবর্তনবাদ আমদানি করেছে ।
মৌলবাদীরা ঘরে ঘরে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে ব্যাবসা করছে , সাথে বক্তারাও মাঠ বড়ো করার জন্য এটাকে প্রমোট করছে । স্বাভাবিকভাবে নাস্তিকরাও নাস্তিক উৎপাদনে বিবর্তনবাদ আমদানি করছে । প্রিয় মুসলিম আমাদের প্রশ্ন , আসলেই কি ইসলাম , ঘরে ঘরে মাদ্রাসা তৈরির কথা বলেছে অথবা এই একবিংশ শতাব্দীতে পূর্ণ ইসলাম মান্য করতে বলেছে ? উত্তর হলো না । বরং একেবারে সামান্য একটা দলকে আলেম হতে বলেছে এবং এখন ইসলামের দশ ভাগের এক ভাগ বা তার চাইতেও কম ইসলাম মান্য করতে বলেছে । তাহলে মৌলবাদীরা ঘরে ঘরে মাদ্রাসা তৈরি করছে কেনো ? উত্তর হলো ব্যাবসা ।
প্রিয় মুসলিম , মানুষ এখন অতিশয় দুর্বল এবং কেউ পূর্বের পূর্ণ ইসলাম মান্য করার ক্ষমতা রাখে না । তাহলে মৌলবাদীরা এবং জঙ্গিরা পূর্ণ ইসলাম চর্চা করছে কিভাবে ? উত্তর হলো লোকদেখানো , যাতে লোকে প্রশংসা করে যে , অমুক পূর্ণ ইসলাম মান্য করে এবং দ্বিতীয়ত দুনিয়ার ক্ষমতা অর্জনের জন্য । কোরান হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে, মানুষ এখন পূর্ণ ইসলাম চর্চার ক্ষমতা রাখে না । তাই এটা সুস্পষ্ট যে , যারা পূর্ণ ইসলাম মান্য করে , তারা মুশরিক । আর মুশরিকরা চিরজাহান্নামী। তাই আসুন ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ মান্য করি এবং অন্যান্য আমলের দশ ভাগের এক ভাগ বা তার চাইতেও কম মান্য করি । তবে ঐচ্ছিক আমল বেশি বেশি করি । আর যে ব্যাক্তি সুন্নতের বদলে বেশি বেশি নফল ইবাদত করবে , তাহলে বুঝা যাবে যে , সে ব্যাক্তি জান্নাতি হবে ইনশাআল্লাহ । ( এখন নফল ইবাদতই সবচাইতে বড়ো সুন্নত হিসেবে মূল্যায়িত হবে ইনশাআল্লাহ ) ।
( জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ ) ।