সম্প্রতি সুইডেন ডেনমার্ক এবং নেদারল্যান্ডসে পবিত্র কোরানের পৃষ্ঠা পোড়ানো হয়েছে । উম্মতে মুহাম্মদির সময় ব্যতীত অন্য যেকোনো উম্মতের সময় একাজ করলে , মহান আল্লাহ সাথে সাথে কঠোর শাস্তি নাজিল করতেন । এমনকি পুরো জাতিকে ধ্বংস করে দিতেন ।
বিষয়টি নিয়ে আমাদের মুসলিমদের গভীরভাবে ভাবতে হবে । আসলে কেনো অমুসলিমরা আমাদের পবিত্র গ্রন্থ পুড়াচ্ছে ? উত্তরটা একেবারেই সহজ । আর তা হলো - মুসলমানদের মৌলবাদের এবং সন্ত্রাসবাদ । গভীরভাবে ভাবার বিষয়টি হচ্ছে - কিভাব এই মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ সমূলে উৎপাটন করা যায় ।
হে বিশ্ব মুসলিম , আমাদেরকে অবশ্যই কোরানের বিভিন্ন বিষয়গুলিকে আরো বাস্তবমুখী ব্যাখ্যা করতে হবে ইনশাআল্লাহ । তোতা পাখির মতো পূর্বকালের ব্যাখ্যা আওড়ালে শান্তি ফিরবে না । সময়োপযোগী ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করতে হবে , নচেৎ ধ্বংসই শুধু বাড়বে ।
পরবর্তী কাজ হলো - প্রায় সব মুসলিমকে একটিমাত্র সঠিক দলের ছায়াতলে আসতে হবে । এজন্য আমি মহান আল্লাহর ইচ্ছায় মডারেট মুসলিম নামক একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছি । এটিই একমাত্র সঠিক দল ইনশাআল্লাহ । এই দলে যোগ দিন এবং মহান আল্লাহর দয়ায় ইহকাল এবং পরকালে মুক্তির সনদ লাভ করুন । যেমন - মহান আল্লাহ আল কোরানে বলেছেন , আল্লাহর অলীদের কোনো ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না । এই ব্যবস্থা ছাড়া মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ ধ্বংসের এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার দ্বিতীয় কোনো পথ নেই ।
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি , পবিত্র কোরান অবমাননাকারী দেশ ৩টি শাস্তি পাবেই । দুইদিন আগে অথবা দুইদিন পরে । তাছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব যুদ্ধে পরিণত হতে যাচ্ছে । সম্ভবত এই যুদ্ধই দেশ ৩টিকে শাস্তি দিবে ইনশাআল্লাহ ।
ইউক্রেন যুদ্ধ যদি বিশ্বযুদ্ধে এবং পারমানবিক যুদ্ধে রুপান্তরিত হয় , তাহলে এটা হবে শুধুমাত্র ফিলিস্তিনের অভিশাপে । ইউরোপ আমেরিকা ফিলিস্তিনকে নিয়ে যে উপহাস করেছে , তার ফসল হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধ । এই যুদ্ধে মুসলমানদের কন্ট্রিবিউশান নেই । কিন্তু তারা নিজেরা যুদ্ধ করে ধ্বংস হবে ।
যাইহোক , কোরান কোনো সৃষ্ট বস্তু নয়, বরং রাসুল সাঃ সৃষ্ট বস্তু । কোরান স্বয়ং আল্লাহর জাত । অনেক আলেম বলেন কোরানের চাইতে রাসুল সাঃ শ্রেষ্ঠ । এতে তারা শিরক করেন । কোরান স্বয়ং আল্লাহর জাত । সমগ্র সৃষ্ট বস্তুর সৌভাগ্য যে , তারা কোরান দেখার মাধ্যমে আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছে । তাই যারা কোরানকে নিয়ে ছেলেখেলা করবে , তাদেরকে অবশ্যই কঠিন শাস্তি আস্বাদন করবতে হবে ইনশাআল্লাহ ।
( জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ ) ।