somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোহাম্মদ আলী আকন্দ
আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

আমরা আর তারা

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


২০০৮ সালে কোরিয়ান সরকারের আমন্ত্রণে আমরা সেদেশ সফরে যাই। সফরের প্রথম দিন ছিল ওরিয়েন্টেশন, ঐদিন কোরিয়ান ভাষা এবং কালচার সম্পর্কে আমাদেরকে একটা সাধারণ ধারণা দেয়া হয়। সেই সাথে আগামী দিনগুলির বিস্তারিত কর্মসূচি আমাদেরকে জানিয়ে দেয়া হয়।


দ্বিতীয় দিন উদ্বোধনী অনুস্ঠানের মাধ্যমে আমাদের কর্মসূচি শুরু হয়। দেড় ঘণ্টা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলার পর চা বিরতি হয়। চা বিরতির সময় আমার দুভাষী এবং প্রোটোকল অফিসার জিয়ং মিন সিও (Jeong-Min Seo) আমাকে জানায় আমাদের সম্মানে আজ সরকারিভাবে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। সে আমার কাছে জানতে চায়, সেখানে তারা মদ পরিবেশন করতে পারবে কি না। আমি বলি, আমাদের মধ্যে অনেকেই আমরা মদ খাই না। মদ এবং শুকরের মাংস ছাড়া তোমাদের পছন্দ মত যে কোন কিছু পরিবেশন করতে পার। কিছুক্ষণ পরে জিয়ং ফিরে এসে জানাল, তারা মদের পরিবর্তে ফলের জুস পরিবেশন করবে। তারপর জানতে চাইল, তারা কি ভোজের শুরুতে টোস্ট (চিয়ার্স বলে, পানপাত্র ঠুকে পান শুরু করা) করতে পারবে? আমি বললাম, এতে আমাদের কোন অসুবিধা নাই।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে আমরা যখন মধ্যাহ্নভোজ ছাড়াও অন্যান্য প্রোগ্রামে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি, তখন জিয়ং আমাকে জানাল, পাশের রুমে আমাদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমি বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম দশ জনের জন্য দশটা জায়নামাজ বিছানো। আমি তো নামাজের কথা কখনও ওদেরকে বলি নাই বা কোরিয়াতে আসার পর প্রকাশ্যে নামাজও পড়ি নাই। আমি আমার হোটেল রুমেই নামাজ পড়েছি। তাহলে তারা আমাদের জন্য কেন নামাজের এত সুন্দর ব্যবস্থা করলো? এই প্রশ্ন এখনও আমার মনে উঁকি দেয়।


সারাদিন নানা অনুষ্ঠান শেষে আমরা নৈশভোজে অংশ নিলাম। এলআরটিএ প্রেসিডেন্ট কিম তাই হায়ুন (Kim Tae Hyun) (তিনি মন্ত্রীর পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা) এবং বিচার মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাদেরকে স্বাগত জানালেন। দুই পক্ষের আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের পর ফলের জুস দিয়ে টোস্ট করে ভোজ শুরু হল। এটা ছিল একটা ফুল কোর্স ডিনার বা টুয়েলভ কোর্স ডিনার। তবে কেন জানিনা তারা কোন মাংস পরিবেশন করল না। আমাদের খেতে বেশ অসুবিধা হচ্ছিলো। যাই হউক আড়াই ঘণ্টা ধরে ডিনার চলো। ডিনার শেষে এলআরটিএ প্রেসিডেন্ট কিম এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা লিফট পর্যন্ত এগিয়ে এসে আমাদেরকে বিদায় জানালেন।


আমরা সবাই লিফটে উঠলাম, আমাদের সাথে তিন জন কোরিয়ান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও উঠলেন। তারা আমাদেরকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিবেন। লিফটের দরজা বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে আমাদের একজন সফরসঙ্গী, ছোট মিয়া, চিৎকার করে ধমকের সুরে আমার কাছে জানতে চাইলেন, আমি ডিনারে মদ পরিবেশন করতে নিষেধ করেছি কেন? তার চিৎকারে আমি যেমন হতভম্ব হয়ে গেলাম, কোরিয়ান অফিসাররাও একবার আমার দিকে আরেকবার ছোট মিয়ার মুখের দিকে তাকাচ্ছিল। আমি পরিস্থিতি আঁচ করার চেষ্টা করছিলাম। এমন সময় বড় মিয়া আরেকটুকু নিচু গলায় কিন্তু খুবই রূঢ় ভাবে ইংরেজি এবং বাংলা ভাষা মিশিয়ে জানতে চাইলেন, "who are you? আপনি মদ নিষেধ করার কে? কে আপনাকে ক্ষমতা দিয়েছে মদ নিষেধ করতে?" আমি চিন্তা করলাম, আমার মানসম্মান যায় যাক, কোরিয়ানদের সামনে বাংলাদেশের সম্মান ধুলায় লুটিয়ে পড়তে দেয়া যায় না। তাই আমি স্বাভাবিক থাকার ভান করে, নিচু গলায় একটা কৈফিয়ত দিলাম, "আমি ইচ্ছা করে মদ নিষেধ করি নাই। তারা আমার কাছে জানতে চেয়ে ছিল। তাই আমি না করেছি। তারা যদি আমাকে না জানিয়ে দিতো, আমি খেতাম না, কিন্তু আমি তো কিছু বলতাম না।" আমাদের ভাগ্য ভাল, এর মধ্যেই লিফটের দরজা খুলে গেলো। আমরা লিফট থেকে বের হয়ে আসলাম। কোরিয়ান অফিসাররা আমাদের আমাদেরকে গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে বিদায় জানিয়ে চলে গেলেন।


রাতে হোটেলে ফিরে চিন্তা করতে থাকলাম কি ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যায়। সফরে তৃতীয় এবং চতুর্থ দিন আমার হাতে কিছু সুযোগ এনে দিল। তৃতীয় দিন ছিল শনিবার এবং চতুর্থ দিন রবিবার। শনিবার কোন আনুষ্ঠানিক কর্ম অধিবেশন ছিল না। শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণ। আমাদের সাথে থাকবে সাং সুক হাওয়াঙ (Sung-Suk Hwang), একজন সমন্বয়কারী, এবং একজন পেশাদার টুরিস্ট গাইড। আমি চিন্তা করলাম, মদ খেতে না পেরে তারা মনে যে কষ্ট পেয়েছে, তা ভ্রমণের আনন্দময় সময়ে আমি প্রশমন করার চেষ্টা করবো। কিন্তু উভয় মিয়া খুব শক্ত হয়ে থাকলেন। পারতপক্ষে আমার সাথে কথা না বলে থাকার চেষ্টা করলেন। আমি গায়ে পরে এটা ওটা বলছি, যাতে কিছুটা নরম করা যায়। শনিবার দিনটা কোন বিপর্যয় ছাড়াই ভাল ভাবেই কেটে গেল।


পরের দিন রবিবার অপ্রত্যাশিত ভাবে বেশ কিছু সুযোগ আমার হাতে এসে গেলো। কোন প্রটোকল নাই। স্বাধীন ভাবে আমরা আমাদের দিন অতিবাহিত করতে পারবো। যেখানে ইচ্ছা সেখানে ঘুরতে যেতে পারবো, ইচ্ছা করলে হোটেলে শুয়ে বসেও দিন কাটিয়ে দিতে পারব। ঘুরাঘুরি সুবিধার জন্য আমাদের প্রত্যেককে মেট্রো ট্রেন এবং বাসের পাস দেয়া হয়েছিল। ট্যাক্সি ভাড়া এবং কেনাকাটার জন্য নগদ ডলারও তারা দিয়েছিল। সুতরাং সারাদিন ঘোরাঘুরি করতে কোন অসুবিধা নাই। আমরা আগেই ঠিক করেছিলাম, হোটেলে ব্রেকফাস্ট করেই যত দ্রুত সম্ভব আমরা ঘুরতে বেরিয়ে যাব। ব্রেকফাস্ট করতে যেয়ে দেখলাম, “কোথায় যাব?” -- এই নিয়ে পুরা দল দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। ছোট মিয়ার ইচ্ছা ইলেক্ট্রনিক মার্কেটে যাবে। তার কিছু জিনিস কিনতে হবে। কেউ যাক বা না যাক সে একা হলেও যাবে। তাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে বড় মিয়া। অপর গ্ৰুপের ইচ্ছা, তারা যাবে শপিং মলে। তাদেরও কিছু কেনা কাটা করতে হবে। আমি চিন্তা করলাম আগামী দিনগুলিতে আমাদেরকে অনেক আনুষ্ঠানিক প্রোগ্রামে অংশ নিতে হবে, তাই যে ভাবেই হউক আমাদেরকে ঐক্য ধরে রাখতে হবে, যাতে আমাদের সফরের উপর কোন খারাপ প্রভাব না পরে। আমি ছোট মিয়ার প্রস্তাব সমর্থন করে, সবাইকে ঐক্যের কথা বললাম। তাছাড়া আমরা কিছু কিনি বা না কিনি, এই সুযোগে কোরিয়ার সবচেয় বড় ইলেক্ট্রনিক মার্কেট আমাদের দেখা হবে। সবই আমার যুক্তি এবং প্রস্তাব মেনে নিলো।


ইলেক্ট্রনিক মার্কেটে আমরা দুই আড়াই ঘণ্টা কাটালাম। এরমধ্যে ছোট মিয়ার কেনা কাটাও শেষ হল। তারপরও আমাদের হাতে অনেক সময়। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, অন্যরা যে শপিং মলে যেতে চেয়ে ছিল এবার সেখানে যাব। বিশাল শপিং মল। যে যার মত আমরা জিনিস দেখছি, কেউ কেউ তার পছন্দের জিনিস কিনছে। হঠাৎ দেখি, বিশাল এক মদের বোতল নিয়ে ছোট মিয়া, "আলী ভাই, আলী ভাই" বলতে বলতে আমার দিকে আসছে। সে হাসতে হাসতে বলল, এটা কোরিয়ার মধ্যে সবচেয়ে দামি মদ। যা বুঝার আমি তা বুঝে গেলাম। আমি তার সাথে মদের বোতল নিয়ে কিছু হাস্যরস করলাম। ডিনারের কিছু আগে আমরা হোটেলে ফিরে আসলাম।


হোটেলে ফিরে গোসল করে, আমি কাগজ পত্র নিয়ে বসেছি আগামীকালের অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নিতে। এমন সময় রুমের টেলিফোনটা বেজে উঠল। টেলিফোন ধরতেই অপর প্রান্ত থেকে খুব নিচু গলায় আমাদের এক সফর সঙ্গী, যে ছোট মিয়ার সাথে খুব ঘনিষ্ঠ, বলল, ছোট মিয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী কাল থেকে কোন অনুষ্ঠানেই সে আমাকে সামনে যেতে দিবে না। সে এবং বড় মিয়া সামনে থাকবে। আমি সামনে যেতে চাইলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিবে। এই খবরটা শুনার পর দেশের মানসম্মনা নিয়ে আমি চিন্তিত হয়ে পড়লাম। সিদ্ধান্ত নিলাম ডিনারের পর পরই জরুরি মিটিং করব। এছাড়া হাতে সময় নেই। ডিনারের সময় সবাইকে মুখে মুখে মিটিংয়ের কথা জানিয়ে দিলাম। হোটেল লবিতে আমরা সমবেত হলাম। বাংলাদেশের মানসম্মানের কথা বলে আবেগময় কিছু কথা বললাম। আমার বক্তব্যের সময় অনেকের চোখ ছলছল করতে দেখলাম। কিন্তু বড় মিয়া এবং ছোট মিয়া পাথরের মত শক্ত হয়ে থাকলেন।


আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি, চরম উস্কানিতেও আমি শান্ত এবং ধৈর্যশীল থাকব। আরেকটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যারা যারা সামনে থাকতে চায় থাকবে, আমি সবার পিছনে পিছনে থাকবো। পরেরদিন সকালে আমরা একটা কর্ম অধিবেশনে গেলাম। দুই মিয়া সবার আগে গাড়ি থেকে নামলেন। আমি কাগজপত্র গোছানো ছলে সবার শেষে নামলাম। কর্ম অধিবেশনে কোন অসুবিধা হলো না, কারণ এখানে প্রত্যেকের আসন পদবি সহ নাম-ফলক দিয়ে চিহ্নিত করা। সবই যার যার আসনে বসলেন। মধ্যাহ্ন ভোজনের পর আমাদেরকে কোরিয়ান সুপ্রিম কোর্ট পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়া হল। সেখানেও উভয় মিয়া আগে আগে নামলেন। আমি আমার পরিকল্পনা মত সবার শেষে নামলাম। প্রথমেই আমাদেরকে নিয়ে যাওয়া হল কনফারেন্স হলে, সেখানে আমরা সুপ্রিমকোর্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করলাম। সেখানেও কোন অসুবিধা হলো না, কারণ এখানেও আসনগুলি নাম-ফলক দ্বারা নির্ধারিত। মতবিনিময়ের পর আমাদেরকে সুপ্রিম কোর্ট ভবন এবং অন্যান্য স্থাপনাগুলি দেখানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হল। সুপ্রিম কোর্টের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বর্ণনা করছিলেন। যথারীতি দুই মিয়া সবার সামনে, আমি এটা ওটা দেখার ছলে সবার পিছন পিছন যাচ্ছি। একটা বিশাল ভাস্কর্যের সামনে আমাদের গাইড থামলেন। তিনি বিস্তারিত ভাবে এই ভাস্কর্য সম্পর্কে বলবেন। প্রোটোকল অফিসার জিয়ং মিন সিও এবং সমন্বয়কারী সাং সুক হাওয়াঙ এই প্রথম বার লক্ষ্য করলেন আমি সবার পিছনে। তারা বিনয়ের সাথে আমাকে সামনে আসতে বললেন। সবাই সরে আমাকে সামনে আসার সুযোগ করে দিল। কিন্তু বড় মিয়া এবং ছোট মিয়া শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেন। তখন সমন্বয়কারী সাং সুক হাওয়াঙ দুই মিয়াকে লক্ষ্য করে সবাইকে বললেন, তিনি যেহেতু প্রতিনিধি দলের প্রধান, তাই তিনি সবসময় সবার সামনে থাকবেন। এটাই প্রটোকল।

আল্লাহ সেই দিন বাংলাদেশের সম্মান রক্ষা করেছিলেন। বাকি দিনগুলিতে আর অসুবিধা হয় নি।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৪
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×