প্রথম সংশোধনী: ১৭ জুলাই, ১৯৭৩
সংবিধানের প্রথম সংশোধনী বিল পাস হয় ১৯৭৩ সালের ১৫ই জুলাই। ১৭ই জুলাই রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পায়।
এ সংশোধনীর মূল কারণ ছিল গণহত্যাজনিত অপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের অধীন অন্যান্য অপরাধের জন্য আইন তৈরি এবং তা কার্যকর করা।
আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। ২৫৪-০ ভোটে বিলটি পাস হয়। তিনজন সদস্য ভোটদানে বিরত থাকেন। পরে এটি ১৯৭৩ সালের ১৭ই জুলাই রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পায়।
এ সংশোধনীর মাধ্যমে ৪৭ অনুচ্ছেদে (২) দফার পরে (৩) দফা এবং ৪৭ক অনুচ্ছেদ সংযোজন করা হয়। সংবিধান (প্রথম সংশোধন) আইন, ১৯৭৩ (১৯৭৩ সনের ১৫ নং আইন)-এর ২ ধারাবলে দফা (৩) এবং ৩ ধারা বলে ৪৭ক সংযোজিত হয়।
দ্বিতীয় সংশোধনী: ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩
১৯৭৩ সালের ২০ই সেপ্টেম্বর সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী বিল পাস হয়। ২২শে সেপ্টেম্বর এটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পায়।
গোলযোগ বা বহিরাক্রমণে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক জীবন বাধাগ্রস্ত হলে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণার বিধান চালু করা হয় এই সংশোধনীর মাধ্যমে। নিবর্তনমূলক আটক, জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও এ সময় মৌলিক অধিকারগুলো স্থগিতকরণ সম্পর্কে প্রথমদিকে সংবিধানে কোনো বিধান ছিল না। এ সংশোধনীর মাধ্যমে বিধানগুলো সংযোজন করা হয়।
আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে ২৬৭-০ ভোটে তা পাস হয়। সংসদের বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সাংসদরা বিলটি পাসের সময় সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন।
এই সংশোধনীর দ্বারা অনুচ্ছেদ ২৬ এর (২) দফার পর (৩) দফা সংযোজন করা হয়। অনুচ্ছেদ ৬৩ এর (২) ও (৩) দফা বিলুপ্ত করা হয়। ৭২ অনুচ্ছেদ সংশোধন ও নবম-ক ভাগ জরুরী বিধানাবলী অনুচ্ছেদ ১৪১ক, ১৪১খ, ১৪১গ সংযোজন করা হয়।
সংবিধান (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন,১৯৭৩(১৯৭৩ সনের ২৪ নং আইন)- এর ২ ধারাবলে অনুচ্ছেদ ২৬ এর (২) দফার পর (৩) দফা সংযোজিত। ৪ ধারাবলে অনুচ্ছেদ ৬৩ এর দফা (২) ও (৩) বিলুপ্ত এবং ৬ ধারাবলে নবম-ক ভাগ সংযোজন করা হয়।
বাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধনীসমূহ: (প্রথম পর্ব)