somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আকাশনীল
আকাশনীলের রাজ্য

এইসব দিনরাত্রী

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাত্রীকে বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছে দিয়ে টিউশনিতে যাচ্ছি। অনেক দেরী হয়ে গেছে। রাস্তা পার হয়ে আমি অপর পাশে, অনেক দূর হাঁটতে হবে, তারপর বাস ধরবো। কি মনে করে রাস্তার অন্যদিকে তাকালাম, দেখি রাত্রী আমার দিকে আসছে। আরে বলেই তো আসলাম, কালকে দেখা হবে, রাতে ফোন দিব। আমি দাঁড়িয়ে পড়লাম, জোরে চিৎকার দেই, এই তুমি আবার এদিকে আসতেছ কেন? মাথার মধ্যে ঝিম ঝিম শুরু হয়েছে, কোন কথা বের হল না। হঠাত দেখি উল্টো পাশ থেকে বাস আসতেছে। প্রচন্ড জোরে চিৎকার করলাম রাত্রীর নাম ধরে, কোন শব্দ বের হয় না। পাগলের মতন লাগছে। আর মাত্র কয়েক মুহূর্ত। প্রচন্ড চেষ্টা করেও কিছু বলতে পারছি না, বাসটা এসে রাত্রীর উপর দিয়ে চলে গেল। কয়েক সেকেন্ডের জন্য মনে হয় সবকিছু অন্ধকার।


প্রচন্ড রকম জোর দিয়ে উঠে বসলাম। আরো কয়েক সেকেন্ড পর মাথার জট পরিষ্কার হল। আমি আমার বিছানায় বসে আছি, পাশে আমার পাঁচ বছরের ভাগ্নে আরিয়ান খুব সুন্দর করে ঘুমাচ্ছে। মোবাইল বাজে রাত তিনটা বিশ। মানে আমাকে বোবায় ধরেছিল। বোবায় যখন ধরে তখন নিজেকে এত অসহায় লাগে যে বলার মত না, কাউকে ডাকা যায় না, অনেক চেষ্টা করলেও হাত বাড়িয়ে কিছু করা যায় না, একটা নিস্তেজ অসাড়তা ঘিরে ধরে আর সাথে থাকে ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন। স্বাভাবিক হবার পর যখন বুঝতে পারি বোবায় ধরেছিল, তখন অদ্ভুত শান্তি লাগে। যাক, রাত্রীর তাহলে কিছু হয় নাই। আমি ফোন দেই, নিজেকে বিশ্বাস নাই, নিশ্চিত হওয়া দরকার।


হ্যালো।
হাই হ্যালো, তুমি? এত রাতে কেন ফোন করছ? তোমাকে কি আবার বোবায় ধরছিল?
হু। তুমি কেমন আছ?
ভাল নাই, ঘুমের মধ্যে ডিস্টার্ব দিলে ভাল লাগে বলো?
নাহ লাগে না। সরি। এই তুমি তাইলে ঘুমাও হ্যা, বাই।
শোনো শোনো, কি দেখলা আজকে? আমি কি মারা গেছি? – রাত্রীর কন্ঠে দুস্টামি বুঝতে পারি। তার ঘুম পুরো ভেঙ্গে গেছে। এখন সে আমাকে কিছুক্ষন পেইন দিবে।
আচ্ছা তুমি ঘুমাও।
উহু না, বলো কি দেখছ?
হাবিজাবি কি যেন দেখছি, মনে নাই। তুমি ঘুমাও।
এহ এত সহজে ছাড়ব না। শীতের রাত্রে কি আরাম করে ঘুমাচ্ছিলাম, এখন ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এত দূর থেকে কিভাবে ক্ষতিপূরণ দিব?
আমি জানি না, দিতে হবে। আচ্ছা তাহলে গান শোনাও। গান ভাল হলে ছেড়ে দিব আজকের মতন।
আরিয়ানের ঘুম ভেঙ্গে যাবে, আজকের মত ছেড়ে দিলে হয় না?
নাহ, বারান্দায় গিয়ে আস্তে আস্তে গাও।
বোবায় ধরার পর গান গাওয়া ঠিক সহজ কর্ম না। তবু রাত্রীর জন্য এইটুকু আমাকে করতেই হয়। বারান্দার দরজা খুলে দেখি আরো একজন গান শোনার জন্য বসে আছে – মধ্যরাতের চাঁদ।


এ বছরের শীত আমার জন্য অনেক সৌভাগ্য বয়ে এনেছে। ভোর ছয়টায় উঠে গোসল করি। তারপর সাতটায় গিয়ে ছাত্রীর বাসার সবার ঘুম ভাঙ্গাই, এই বাসার সবাই মোটামোটি ধরে নিয়েছে আমি তাদের সকাল বেলার পাখি। সপ্তাহে তিনদিন তাদের ঘুম ভাঙ্গানো আমার নৈতিক কর্তব্য। অনেক চেষ্টা কসরত করে ছাত্রীকে সাড়ে সাতটার সময় টেবিলে পাওয়া যায়, তখনো সে অর্ধেক ঘুমে। দুইমাস পরে তার এসএসসি পরীক্ষা, কিন্তু ভাবখানা দেখে মনে হয় এগজ্যামটা আমার দিয়ে দিতে হবে। এখান থেকে নয়টায় বের হই, দশটা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যে উত্তরা সেক্টর এগারতে পৌছে যাই। আমার জীবনের প্রথম চাকরী, এই মাসে শুরু করেছি। চাকরীর ব্যাপারে বিস্তারিত পরে আসি। আগে দৈনন্দিন বর্ণনা দেয়া যাক। সকালের টিউশনিতে লাভের লাভ নাস্তাটা সেখানে করতে পারি। দুপুরে অফিসে খাই। সন্ধ্যার নাস্তা করি রাত নয়টায় আরেক টিউশনিতে। অফিস শেষ করতে সাতটা সাড়ে সাতটা। সবকিছু শেষ করে এগারটার দিকে বাসায় ফিরি। শীতের লম্বা রাত আমার জন্য আরো বেশী লম্বা। চারটা টিউশনি আর চাকরী এভাবে সপ্তাহে ছয় দিন। বাকী যেই দিন হাতে থাকে সেদিন আমি কিছু করি না, করতে পারি না, শরীর ব্যথা করে।


ছুটির দিন বাদে অন্য দিন গুলোতে বাসার মানুষদের তেমন কাছে পাই না। আরিয়ান, আমার ভাগ্নে তার তখন মাঝরাত যখন আমি বাসায় ফিরি। মা অসুস্থ মানুষ, হয়ত ঘুমিয়ে থাকেন, মাঝে মধ্যে সাড়া শব্দ পাই। জেগে থাকে শুধু বীথি, আমার বড় বোন। সে প্রয়োজনের বেশী কোন কথা বলে না। সারাদিন পরে এত ক্লান্ত থাকি আমি ও কথা খুঁজে পাই না।

দুপুরে খাইতে পারছিস?
হু।
কি দিসে আজকে?
তেলাপিয়া মাছ।
আর কিছু ছিল না?
নাহ, মাছ দিলে ঐদিন সবজী দেয় না।
ভাত নে আরেক্টু।
হু নিব। তুই খাইছিস?
হুম।


চুপচাপ খাবার শেষ করে আমি আমার বারান্দায় চলে আসি। বীথি আমার পিঠাপিঠি বোন, তবু তার চোখের দিকে তাকানোর ঠিক সাহস পাই না। এত অল্প বয়সে একটা মেয়ের জীবন শেষ হয়ে গেল, আমার কোন কিছুই করার নাই, ভাবলে আমার নিজের কষ্ট কোন কষ্ট মনে হয় না।


আমার সাথে রাত্রীর দেখা হয় না। ভার্সিটি থেকে আমি বের হয়ে যাবার পর আমাদের দেখা হওয়া অনেক কমে গেছে, আর চাকরী নামের বন্দীশালায় নাম লেখানোর পরে আরো কম। একটা সময় প্রতিদিন আমি রাত্রীকে রাস্তা পার করে বাসে তুলে দিতাম। রাত্রী রাস্তা পার হতে খুব ভয় পায়, আমি জানি না এখন সে কি করে রাস্তা পার হয়, জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেয় না। মোবাইলে অনেক অনেক কথা বলার অভ্যাস আমার নাই, আমি কথা খুঁজে পাই না, অথবা কথা খুঁজতে খুঁজতে ব্যালেন্স শেষ হয়ে যায়। চারটা টিউশনি থেকে আমি পাই বার হাজার টাকা, আমি বুয়েট স্টুডেন্ট না, তাই গড়ে আড়াই থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকার উপরে ওঠে না।


এই মাস থেকে যে চাকরী শুরু করেছি সেটা বেশ অদ্ভুত। এর কোন ভবিষ্যত এখনো জানিনা, যে আমার চাকরীদাতা সে নিজে জানে কিনা ঘোরতর সন্দেহ। কোন এপয়নমেন্ট লেটার ছাড়া চুক্তি ছাড়া চাকরী। দুপুরে লাঞ্চ দেয়, মালিকের বাসার নিচতলায় তিনটা কম্পিউটার দিয়ে সফটওয়ার কোম্পানী। সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারদের অবস্থা এখন রমরমা, আমার ভার্সিটির ছেলেপেলে ভাল ভাল কোম্পানীতে বিশাল চাকরী করে। এইজন্য আমি ভাগ্যকে দোষ দেই না। ভার্সিটিতে থাকতে প্রোগ্রামিং করি নাই, শুধু টিউশনি করছি, আমার বাসায় এখন যে ডেস্কটপ বোধ করি তা এখন বাজার থেকে উঠে গেছে। আমার অদ্ভুতুড়ে অফিসে এসি আছে, জেনারেটর নাই। যখন কারেন্ট যায় তখন আমরা তিনজন পাশের মাঠে গিয়ে বসে থাকি, ফুটবল-ক্রিকেট সব ধরনের খেলা সেখানে একসাথে হয়।


রাত্রী মাঝে মধ্যে আবদার করে, জিদ করে হঠাত হঠাত। বিশেষ দিন গুলোতে যেমন পহেলা বৈশাখ, ভালবাসা দিবস ইত্যাদি প্রেমময় দিনে তার ইচ্ছে করে আমাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে। আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল তিন বছর আগে এমন এক ভালবাসা দিবসে। ক্লাস শেষে বন্ধুদের সাথে সারা বিকেল আড্ডা দিয়ে সন্ধ্যাবেলা দোয়েল চত্বর থেকে সিদ্ধেশ্বরী যাব টিউশনিতে, কোন রিকশা যাবে না। আমাকে একা উঠালে তাদের আজকে বিশাল লস। পনের মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছি আর দেখছি একটা লাল-সবুজ ড্রেস পরা মেয়ে একা একা রিকশা খুঁজে পাচ্ছে না। আমি প্রেমে পড়ি না, প্রেম আমার সাথে যায় না আমি ভাল করে জানি, তবু তার দিকে তাকিয়ে থাকি। একটা সময় সেই মেয়ে আমাকে এসে বলে, আমি সিদ্ধেশ্বরী যাব, কোন রিকশা পাচ্ছি না, চলুন একসাথে যাই। ঐদিন আমার টিউশনিতে যাওয়া হয়না, কয়েক ঘন্টা আমরা অনির্দিষ্ট পথে রিকশায় ঘুরে বেড়াই। প্রথম দেখায় প্রথম প্রেম। আমি কে, আমার কি অবস্থান সব ভুলে যাই, ছোটবেলা থেকে আমার একটাই শখ – হেড়ে গলায় গান গাওয়া। আমি রাত্রীকে শোনাই উড়ালপঙ্খীর গান।


আচ্ছা, আপনার কি সিদ্ধেশ্বরী যাবার কথা?
নাহ, ওখানে যাব কেন!
কই আপনি যে বললেন, আমার সাথে একসাথে যাবেন।
রাত্রী হাসতে হাসতে বলে, আপনাকে দেখে খুব মায়া লাগল। একা রিকশা পাচ্ছেন না। তাই উঠে পড়লাম।
আজব! এমনি উঠে পড়লেন কেন?
আসলে এমনি না। আপনাকে দেখে মনে হল এর সাথে প্রেম করা যায়। আমি আজ ঠিক করেছিলাম, যাকে প্রথম ভাল লাগবে তার সাথেই প্রেম করব।
অদ্ভুত, সুন্দর, খামখেয়ালী মেয়েটির সাথে এভাবেই আমার প্রেমের শুরু। জানি না এর শেষ কোথায়!


রাত্রীর পরিবার মধ্যবিত্ত, আমার ধারনা একটা ভাল ছেলে পেয়ে গেলে তারা মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেবে। রাত্রী কি করবে আমি বুঝতে পারি না। সে যদি খুব বড়লোকের মেয়ে হত তাহলে চান্স ছিল সব ছেড়ে আমার কাছে চলে আসার, অনেক বড়লোকের মেয়েরা অবুঝের মত এসব করে, কারণ তারা জানে বিয়ে করার পর সব ঠিক হয়ে যাবে। মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়েরা এ ধরনের ভুল কখনোই করে না, অভাব কি জিনিস কিছুটা হলেও তারা জানে।


আমার প্রথম চাকরীর প্রথম মাস শেষ হয়ে আজ দশ তারিখ, ভাবছি চাকরীটা ছেড়ে দু’একটা টিউশনি বাড়াবো, সাথে চলবে লাগাতার ইন্টারভিউ। আকাশে বাতাসে এখন সফটওয়ার বিজনেজ, একটা ভাল চাকরী আমি অবশ্যই পাব। সন্ধ্যার পর তিন ইঞ্জিনিয়ারের কোম্পানির সিইও আমাকে ডেকে একটা প্যাকেট হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন – এখানে বিশ দিয়েছি। তিন মাস পর ত্রিশ করে দিব। মন লাগায়ে কাজ কর। প্রথম প্রথম সবাইকে স্ট্রাগল করতে হয়। একসময় দেখবা অনেক উপরে উঠে গেছ।


হাওয়া মে উড়তা যায়ে, মেরা লাল দোপাট্টা মল মল। কেমন জানি ফিলিংস হয়। প্যাকেট হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করি। নাহ মালুম হয় না। ওয়াশরুমে গিয়ে প্যাকেট খুলে গুনে দেখি, পাঁচশ টাকার চল্লিশটা নোট। এত টাকা একসাথে আমি জীবনে দেখি নাই। নিজেকে পৃথিবীর সব থেকে সুখী মানুষ মনে হচ্ছে। আজ রাতের টিউশনি বাদ। এক কেজি সাদা মিষ্টি কিনি, আমার বোন বীথি সাদা ছাড়া কোন মিষ্টি খায় না, ছোটবেলায় বাসায় কেউ মিষ্টি আনলে সে বেছে বেছে সব সাদাগুলো খেয়ে ফেলত, আমার ভাগে পড়ত বিস্বাদ লালগুলো, চমচম আনলে আবার আমি ষোলআনা লাভবান হতাম।


অসময়ে আমাকে বাসায় দেখে সবাই বিভ্রান্ত।
মা উঠে আসে, প্যাকেটটা মায়ের হাতে তুলে দেই – মা আমি বেতন পাইছি, বিশ হাজার টাকা মা।
অভাবী সংসার, মায়ের চোখে একটু কি আনন্দের ঝিলিক দেখতে পাই – তুই টিউশনি গুলা ছেড়ে দে বাবা, শরীরের যত্ন নে। অসুস্থ হয়ে পড়বি তো। এত টাকা আমাদের লাগবে না।
মিষ্টি নিয়ে আরিয়ানের সাথে দুষ্টামি শুরু করি, মিষ্টি খাওয়ার লড়াই হবে, কে বেশী খেতে পারে। বোনটার মুখে যেন অনেক অনেক দিন পর একটুখানি হাসি দেখতে পাই।


আরিয়ান, বিথী, রাত্রী আর আমি অনেক দূরে বেড়াতে যাচ্ছি। আমরা খুব মজা করছি বাসের মধ্যে, আনন্দের কোন সীমা পরিসীমা নাই। বাস বিভিন্ন জায়গায় থামে, নতুন নতুন মানুষ ওঠে – সব আমার চেনাজানা বন্ধু বান্ধব। আড্ডা দিতে দিতে হঠাৎ খেয়াল হল, আরিয়ান নাই। আপু চিৎকার করে ডাকছে, আরিয়ান আরিয়ান। আমি প্রচন্ড জোড়ে চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলাম, শব্দ বের হয় না, কিছুতেই শব্দ বের হয়না, দৌড় দেয়ার চেষ্টা করছি, আমাকে কেউ যেন অসুরের শক্তি দিয়ে চেপে ধরেছে। শ্বাস নিতে পারছি না। প্রচন্ড ঘামতে ঘামতে আমি উঠে বসলাম – আবার বোবায় ধরেছিল। পাশে ফিরে দেখি আরিয়ান নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে।


আমার এই সমস্যা নিয়ে সদ্য ডাক্তারি পাশ করা বন্ধুকে বলেছিলাম, সে বলল প্রচন্ড মানসিক চাপ থাকলে এটা হতে পারে। সে আমাকে দৈনন্দিন আট ঘন্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিয়েছে, আর সর্বরকমের টেনশন করতে মানা করেছে। নাহ, আজকে এই বাজে দুঃস্বপ্ন মেনে নেয়া যায় না। আজ আমার আনন্দের রাত, প্রথম বেতন পেয়েছি। বোবায় ধরার কোন কারণ নাই। ধুরো আজকে ঘুমাবোই না, সারারাত রাত্রীর সাথে কথা বলব।

হাই।
সরি তোমার ঘুম নষ্ট করলাম।
ঘুমাচ্ছিলাম না তো।
কেন কি হইছে?
কিছু হয় নাই। ভাবছিলাম কিছু হবে কিভাবে? আমার বোবায় ধরা প্রেমিক তো আমার সাথে আজকাল দেখা করার টাইম পায় না। ব্রেকাপ করে ফেলব কিনা তাই ভাবছি।
কি সিদ্ধান্ত নিছ?
সিদ্ধান্ত হল - ব্রেকাপ করে বিয়ে করে ফেলব।
কিভাবে করবা?
সেটা তো তুমি ঠিক করবা। আমি শুধু জানি যেইহারে তোমার বোবায় ধরা বাড়তেছে তাতে করে খারাপ কিছু হয়ে যেতে পারে, এইসময় প্রিয়জনকে কাছে থাকতে হয়, তাই আমি কাছাকাছি থাকতে চাই।
কতটা কাছাকাছি?
যত কাছাকাছি হলে তোমার নিঃশ্বাস বুঝতে পারি।



----------------------
৪-১২-১২
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×