ক্ষণিকের এ ধরণীতে কত ঐশ্বর্য, কত ধন
শত শত রাস্তায় শত আয়োজন;
কত সাঁজ, কত রঙ, কত উপাধি, কত সম্মান
কত সফল চিৎকার জীবনকে করিতেছে আহ্বান।
কত কৃতিত্ব, কত সুখ্যাতি, কত কর্মের অর্জন
কত অবদানে পূর্ণতা সাধন।
কত মানুষ আজ নব্য বিকৃত পন্থায়
অধিকার আদায় ও বৈষম্যের দোহায়
পরিবর্তিত সমাজে করিতেছে উপার্জন,
এটাই নাকি স্বাধীনতা ও অতি আধুনিকতা
আর এভাবেই স্বাধীন বেশে জীবনের আহরণ।
বিধাতার বিধান ছেড়ে হনুমান বেশে,
অতঃপর বেলা শেষে, ক্ষণিকের খেলা শেষে
যখন হাঁকিবে দয়াময় মহান
তখন কোথায় যাবে তোমার কৃতিত্ব আর মান?
কোথায় যাবে তোমার ঐশ্বর্য, কোথায় অধিকার
এত অর্জনের পরেও কেন তুমি নির্বিকার?
ক্ষণিকালয় তো কেবল ভবের মেলার অস্থায়ী খেলাঘর
ভবের মেলা তোমায় বানিয়েছে, নব্য কারিগর;
এ মিছে মায়া যে এক আজব যাদুকর,
নিশ্চিত অর্জন যদি করতেই চাও, তবে
বানাও না ঘর স্থায়ী খুঁটির উপর।