গণতন্ত্র বনাম ধর্মতন্ত্র- আমরা কোনদিকে সেটা বোঝার কোনো উপায় নেই। কেউ যদি বলেন, আমি প্রবল গণতন্ত্রবাদী সেটা হবে ডাহা মিথ্যা। ধরুন, গণতন্ত্রের মডেল হিসাবে আমরা মার্কিনীয় ও ভারতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটকে সামনে আনি।
ভারতের মোদী সরকারকে আপনি চোখ বন্ধ করে বিপুল ভোটে বিজয়ী গণতান্ত্রিক সরকার বলবেন। আসলসত্য কি তাই? জঘন্য মুসলিম বিদ্বেষী মোদীর উত্থানের মূল ঘুটিই কিন্তু হিন্দু মৌলবাদ। গুজরাট দাংগা এক্ষেত্রে জলন্ত উদাহরণ। বিজেপি সিবসেনা মূলত ধর্মকে বেজ করেই দেশ চালাচ্ছে। গণতন্ত্রের আড়ালে ধর্মতন্ত্র। তেমনিভাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় নির্বাচনে ইহুদী লবিং প্রধান নিয়ামক। এক্ষেত্রে অন্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা ছড়িয়ে নির্বাচনে জয়লাভের রীতি ওবামা, ট্রাম্প দুজনই ফলো করেছেন। এদিকে সিরিয়া পরিস্থিতি ধর্মকেন্দ্রিক। ব্লগারবন্ধু রাজীব নুর বলছেন ধর্ম হারিয়ে যাচ্ছে। আসলেই কি হারিয়ে যাচ্ছে নাকি রাজনীতির ঘাড়ে চরমভাবে চেপে বসেছে সেটাই বিবেচ্য। ব্লগার চাঁদ গাজী অবশ্য ধর্ম বলতে শুধু ইসলামকেই বোঝেন। তাই তিনি পৃথিবীর রাজনীতিতে ধর্মের প্রভাব দেখতে পাননা।
এদিকে চীন মুখে যায় বলুক, সবসময় বৌদ্ধসার্থ সংরক্ষণ করে। রাখাইনের ঘটনা এর প্রমাণ। ধর্মীয় রাজনীতিতে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে মুসলিমরা। তবে আশার কথা, মুসলিমদের অনেক দেরীতে হলেও বোধদয় হচ্ছে। আর একারণেই মুসলিম মৌলবাদী ধর্মীয় গোষ্ঠীর উত্থান ঘটছে দেশে দেশে। হয়ত আগামীতে মুসলিম মৌলবাদী গোষ্ঠীই পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করবে।