বর্তমানে এমন একটা সময় বাংলাদেশে অতিক্রম করছে যেখানে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ঘোলাটে জল। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নামক ছাতার আড়ালে অপরাধীরা বেড়ে ওঠে। মিডিয়া অপরাধীর মুখোশ খুঁলে দিতে পারে কিন্তু আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যাওয়া চিত্র ধারণ করা তাদের জন্য মৃত্যু্র মতোই ভয়ঙ্কর। যুগের সব থেকে বড় ধর্ষক, হত্যাকারী, অপরাধীদের হাইব্রিড উৎপাদন রাজনীতির প্রশ্রয়েই। আইনের জাল যেন অর্থ-সম্পদ আর ক্ষমতার সুঁতোয় তৈরি। এ জালের এমনি বৈশিষ্ঠ, বড় বড় রুই-কাতোল বেরিয়ে গেলেও ধরা পড়ে ছোট ছোট পুঁটিগুলো। বাংলাদেশের পেক্ষাপটে আপনি যখন রাজনীতিজীবী তখন স্বচ্ছতা কিংবা বিবেকবোধের নীতিগুলো যেন দলীয় রক্ষাণাগারে জমা দেয়া আবশ্যক। দেশের উচ্চ শিক্ষার সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যেন দলীয় ক্যাডার,সন্ত্রাস তৈরি কারখানা।
অপর দিকে ধর্মের মতো অতি প্রাচীন নিয়ম-নীতি দিয়ে অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র সৃষ্টি সম্ভব না। জাতি গঠনের উদ্দেশে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানসমূহকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মুক্ত ও কার্যকর করা জরুরি, তবেই বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে টিকতে পারে। রাষ্ট্রের মর্যাদা রক্ষার জন্য সকল নাগরিকের সমান অধিকার বাস্তবায়ন অতি জরুরী। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দলীয় স্বার্থে ব্যবহার নয় বরং সত্যিকার সফল রাষ্ট্র গঠনের উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাক। রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনেই পারে সফল বাংলাদেশ উপহার দিতে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:৩৮