নতুন বই
জীবন যে প্রায় প্রায়ই শুকিয়ে যায়- তখন কোথায় কর ুণা ধারা, তখন কে আসে কর ুণাধারায় ! থাকে শুধ ু বোবা বধির পরাণ, গত্যনত্দরহীন নিত্য জীবন, খাবি খায় খাবি খায়-কেউ কোত্থাও নেই, কর ুণা ধারা কোথাও নেই, না বাঁচা না মরা - কীভাবে যায়! প্রহর না অর্ধবেলা -পৃথিবীতে জুড়ে, দারিদ্র্য না থই থই সম্পন্নতা জীবনে জীবনে, কিচ্ছু বোধে ধরে না । তখন, যে বাঁচিয়ে তোলে- সে বই। আমার জন্য কর ুণাধারা হয়ে আসে শেষপর্যনত্দ - গ্রন্থ।এমনিতে বেষ্টিত হয়ে আছি গ্রত্থ দিয়ে, ভালোবাসি তাই, আর-জীবিকা নির্বাহ ও র ুজি রোজগার সব- বই ঘিরে , আর এমনই বৃত্তানত্দ যে, আমার শ ুষ্কপ্রাণের একমাত্র কর ুণা ধারা হয়ে আসে ওই গ্রন্থই।আর কোনো কিছ ু নয়- না চলচ্চিত্র না দোয়েলের শীষ না নাটক না আড্ডা না বেড়াতে যাওয়া না বিপুল অঢেল নিদ্রা- কিচ্ছ ু না। শেষপর্যনত্দ ওই বইই আসে আমার পরিত্রাণ হয়ে।
গত সপ্তাহে - ওই নির ুপায় খাবি খাওয়ার কাল যখন পের ুচ্ছিলাম, তখন দার ুণ একটা ভ ূতের গল্প পেলাম, ধারাবাহিক বের ুচ্ছে এই কাহিনীমালা আমেরিকায়, কর্নেলিয়া ফ ুঙ্কে লিখছেন তিন আধুনিক ভ ূতের ওঝার গল্প । ঘোস্টহান্টারস অ্যান্ড দ্যা টোটালি মোলডি ব্যারনেস - ওই গল্পমালার একটি।
কী যে আজব সেই দুনিয়া, সেখানে তিন ওঝা- সবসময় প্রস্তুত, ভ ূত তাড়াবার জন্য-ভ ূতেরাও সদা তৈরী ওঝাদের ঝামেলায় ফেলার জন্য। হেটি হিসোপ -পঞ্চাশ বছরের অভিজ্ঞতা আছে যার ভ ূত শায়েসত্দা করার - তার এক সহকারী -টম- সে মানুষ; তবে অন্যজন - হুগো -ভ ূত, কথা বলতে পারা ভ ূত। এমনিতে হুগো নিরীহ শাদাশিদে , তবে লোককে যখন তখন ভয় দেখাতে তার বড়ো ভালো লাগে। ভয়ে লোক যখন দাঁতকপাটি লাগে, চিত্ত তার আহ্লাদে আটখান হয়ে যায়। তাকে ঢিট করার জন্য তখন গায়ে কাঁচা ডিম ছুঁড়ে মারার হুমকি দিতে হয়, তবে যদি সে বিরত হয় ওইসব একটু আধটু ভয়দেখানোর খেলা থেকে।
টম বিপুল ব্যগ্র ,ভ ূত শায়েসত্দা করার নানারকম অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য_ কেননা তাকে দার ুনভাবে সম্পন্ন করতে হবে তার সেকেন্ড ঘোস্ট হান্টিং ডিপ ্লোমা কোর্স । টম বেপরোয়া, করিৎকর্মা,ভয় পেতে পেতেই সে করে ওঠে সাহসী সব কারবার।
এই ভ ূতের দুনিয়ায় চলতে গেলে সঙ্গে লবণ থাকা খুব দরকার, এক দা্না ভ ূতের পায়ে লাগলো তো ভ ূতের দফা শেষ। আর দরকার মিন্ট টুথপেস্ট- দরোজা জানালার ফোঁকরে লেপ্টে দাও মিন্ট টুথপেস্ট- ভ ূত কিছুতেই আর ঘরে ঢোকার রাসত্দা পাবে না। আর ভ ূতের দিকে যদি সাগরের লোনা জল তাক করে ছোঁড়া যায়, তবেই ভ ূতের সর্বনাশ !কায়া ধরে থাকাই একেবারে অসম্ভব তখন ভ ূতের , ভয় দেখানো দূরের কথা।
এই বইয়ে হিংস্র অত্যাচারী ব্যারনেস-এর ভ ূত এসে বারেবারে হানা দেয় দ ুর্গে, ভয় দেখিয়ে দুর্গছাড়া করে যারাই বসতি করতে আসে, তাদের। তার মানব জন্মে ব্যারনেস ছিলো চরম হিংস্র, ভ ূত জন্মেও ওই স্বভাব কিছ ুমাত্র শ ুধরায় নি, বরং আরো তীব্র হয়ে ওঠে। আরো অত্যাচারী হয়ে ওঠে ভ ূত ব্যারনেস, পুরো শরীর তার শ্যাওলা ঢাকা, খায় শুধু সে বিদ্যুৎ । খায় আর বিকট ভয়াল বিরাট হয়ে ওঠে ।
তবে ভয় কী, একটুখানি নুন ছিটোও, একটু খানি নোনা জল সপ্রে করো ওই বিকটার দিকে- সব সাফ। আর সঙ্গে মিন্টঁ ট ুথ পেস্ট আছে কি? ব্যস, ভয় কিসের?
উফ! এতো সব দার ুণ লড়াই, দার ুণ অস্ত্রশস্ত্র সঙ্গে নিয়ে রাত ভরে জেগে থাকা, আর ভ ূত সামলানো- শ ুষ্ক জীবনধারা কখন যে নব ধারায় ভরে ওঠে!
(ভাইসব, আপনারা লেখাঝোকা পড়েন না যে? তাইলে হয় !!!!!)