আমরা স্বাধীনতা-উত্তর প্রজন্ম। মহান মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। দেখিনি মার্চের উত্তাল দিন। তবে বিজ্ঞানের আশীর্বাদে প্রযুক্তির কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ যখন শুনি তখন রক্তের ভেতর নেচে ওঠে পূর্বপুরুষের রক্তকণিকাগুলো। মনে হয় তাদেরই পুনঃ সংস্করণ আমরা। কিন্তু পরক্ষণেই প্রশ্ন জাগে, সত্যিই কি তাই? আসলেই কি হতে পেরেছি তাদের যোগ্য উত্তরসূরি? আমরা যদি তাদের যোগ্য উত্তরসূরি হই তাহলে এখনো কেন তাদের স্বপ্ন বাংলার জমিনে সোনাফুল হয়ে ফুটল না? বুকের তাজা রক্ত আর মা-বোন, স্ত্রী-আত্মজার সম্ভ্রম ও জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা মুক্তির ৪০ বছরেও কেন সুফল হয়ে ফলে না? আমরা কেন তাদের ওপর নির্যাতনকারীদের আজও বিচার করতে পারলাম না? তাদের আত্মা কি এই অপারগতার জন্য আমাদের অভিশাপ দিচ্ছে না? আমাদের বর্তমান আর পরবর্তী প্রজন্মের কাছেই বা আমরা কী জবাব দেব? রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছে এ প্রশ্ন আজ দেশের আপামর জনতার। এ পশ্নের জবাব তোমাদের দিতেই হবে। মনে রেখ, সত্য চিরদিনই সত্য, তাকে বেশিদিন লুকিয়ে রাখা যায় না। তোমাদের দৃষ্টিতে আমরা যারা সাধারণ তারা ক্ষমতায় সাধারণ হলেও মানুষ হিসেবে অনেকেই কিন্তু অসাধারণ। আর সাধারণের অসাধারণত্ব কত বড় শক্তিশালী তা একাত্তরে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে হানাদার ও তাদের দোসররা। শুধু আর একবার সাধারণকে অসাধারণ হয়ে জ্বলে উঠতে হবে। জ্বলে ওঠো হে সাধারণ...। ওপারে তোমাদের জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় আছে পূর্বসূরি আর এপারে উত্তর প্রজন্ম।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৮