প্রথমেই দেখে নিলাম ট্রেনে টিকেট আছে কিনা?
তাদের টিকেট কাউন্টার (ট্রেনের) খুব্ই সিসটেমেটিক। গ্রামীনফোন/সিটিলেল আফিসের মতো আপনার সাক্ষাতের নাম্বার নিতে হয়, মনিটরে আপনার নাম্বার আসবে একং টিকেট নিয়ে নিবেন। দুঃখ লাগলো আমরা কিভাবে রেলওয়ে টিকেট কাউন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহ করি...........
তাদের ইনফোরমেশন সেন্টার থেকে জানলাম আগামী ১০ দিন যাওয়া ও আসার কোন টেকেট নাই। অগত্যা বুকিত জলিল েথকে টিকেট নিয়ে হোটেলে ফিরলাম। বুকিত জলিল সম্পর্কে বিস্তারিত লিখবো লাংকাওয়ি সফরে। (আগামী পর্বে)
খুব সকালে উঠে রাওয়ানা হলাম কেএলসিসি। বাসে গেলাম, খুব কাছেই আমার হোটেল থেকে। ভাবছি খুব সকাল হয়ে গেল না জানি গেইট বন্ধ থাকবে আর আমাকে গেইট খোলার জন্য বসে থাকতে হবে।
সিকিউরিটি কাছে থেকে খবর নিলাম কোথায় স্কাই ব্রীজ এর টিকেট পাওয়া যায়। টিকেট কাউন্টারে সামনে আসতেই হোচট খেলাম। অন্তত আমার আগে ১৫০ জন উপস্থিত!!!। কেউ দাড়িয়ে, বা বসে বা শুয়ে। আমার ধারনা প্রথম ১০ জন হয়তো ভোর ৪ট বা ৫টায় এসে উপস্থিত। বেশীর ভাগই ইউরোপ, ভিয়েতনাম, ভারত, নেপাল, ও কাছাকাছি দেশের দর্শনার্থী। সকাল ৮টায় টেকেট কাউন্টার খুলবে, তাই অপেক্ষা। আমরা ৩ জনই ছিলাম, তাই পালা করে দাড়িয়েছি, কাউন্টারের কাছেই খাবারের স্টল আছে। সকালের নাস্তা বেশ মজা করে খেলাম। খুবই মজার সবই আইটেম, কিঞ্চিত দামী
যারা ৫/৬ বা ৮/১০ জন মিলে যাবেন তাদের সবাই এই টেকেট কাউন্টারে আসার প্রয়োজন নেই। ১ বা ২ জন এসে টিকেট কালেক্ট করবেন কারণ টিকেট পাওয়ার পর আপনাকে সম্ভাব্য সময় বলে দেয়া হবে আপনি কখন ওই টাওয়ারে যেতে পারবেন। আমার সময় ছিল দুপুর ১টা। কিন্তু টিকেট নিয়েছি ৯টায়।
টাওয়ারের টিকেট ও ভ্রমন ২ ভাগে বিভক্ত,
১ম ভাগ : ব্রীজ পর্যন্ত = ১০ আরএম
২য় ভাগ : ব্রীজ+টপ পর্যন্ত = ৪০ আরএম
এই টুইন টাওয়ার মালয়েশিয়ার প্রতিক। এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই ২টি সাইট আবশ্যই দেখবেন।
Click This Link
Click This Link
হোটেলে ব্যাক করে আবার ফিরে আসলাম ঠিক ১টায়।
১ম ও ২য় ভাগদের আলাদা করে আইডেন্টি ট্যাগ গলায় ঝুলিয়ে দিয়ে প্রথমেই একটি হল রুমে নিয়ে টুইন টাওয়ারের সম্পর্কে ১৫ মিনেটের একটা ডকুমেন্টারী মুভি দেখানো হয়।
এর পর আমারা ১০ আরএম এর গ্রুপ বেশ ভালোই একটা সিকিউরিটি চেকপোষ্ট পার হলাম যেখানে আমাদের সকল ব্যাগ, মোবাইল, লেপটপ ইত্যাদি যার যেটা ছিল আরেকটি রুমে রেখে (ক্যামেরা ছাড়া) রওনা হলাম বিশাল সাইজের একটা লিফটে। ৪০ তালা উঠলাম ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে। ছোট্ট ১টা রুম পেরিয়েই সেই টুইন টাওয়ার ব্রীজ।
সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়লো মনের সাধ মিটিয়ে ছবি তোলার জন্য। আমার বিপত্তি ঘটলো সেখানেই, মেমোরী ফুল, এক্সট্রা মেমরী ছিল কিন্তু তারা আমার ব্যাগ আনতে দেয়নি। বাধ্য হয়েই কিছু মুভি ডিলিট করলাম ও ছবির কোয়ালিটি ছোট করলাম।
সময় বরাদ্ধ ছিল মাত্র ১৫ বা ২০ মিনিট। অল্প সময়ের মধ্যে যতটুকু সম্ভব চারদিকের সেৌন্দর্য উপভোগ করে ও ছবি তোলে নেমে আসলাম
এবং ইচ্ছে মতো টুইন টাওয়ারের সব দোকান ঘুরলাম।
এই যায়গাটি টিকেট কাউন্টারের পাশে, এখানে দাড়ালে আপনার সাথে টুইন টাওয়ারের উচ্চতায় পার্থক্য কতটুকু তা জানাবে :
যারা মালয়েশিয়া প্রতীকি কোন গিফট কিনতে চান, টিকেট কাউন্টারের সাথেই একটা স্টল আছে বেশ ভালো কোয়ালিটির, দামও তেমন।
এখানেই শেষ টুইন টাওয়ার পর্ব, আমি টুইন টাওয়ারের ২য় লেভেলে যায়নি। হয়তো ওখানে আরেক সৌন্দর্য অপেক্ষা করছে যা আমি মিস করিছি।
আগামী পর্ব থাকবে লাংকাওয়ি এর প্রস্তুতি পর্ব।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৭