বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্র নাথ বোস-এর প্রতি আমরা কি উপযুক্ত সন্মান দেখিয়েছি?
বাংলাদেশের সবচেয়ে নামকরা বিজ্ঞানী কে? এখন আমি যদি আপনাদের এই প্রশ্ন করি, তাহলে একেক জন একেক উত্তর দিবেন। আর্ন্তজার্তিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে নামকরা বিজ্ঞানি হলো সত্যেন্দ্র নাথ বোস। উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রফেসর ছিলেন ১৯২১ সাল থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত। ১৯২৪ সালে তিনি বিখ্যাত পেপারটি আইনষ্টাইনের কাছে পাঠান যেখানে তিনি প্রথম বোস পরিসংখ্যান আবিস্কার করেন।
যে সকল কণা এই বোসের পরিসংখ্যান তত্ত্ব মেনে চলে তাদেরকে বলা হয় বোসোন। যে সকল কণা এই বোসের পরিসংখ্যান তত্ত্ব মেনে চলে না, তাদেরকে বলা হয় ফার্মিয়ন (বিজ্ঞানী ফার্মীর দেয়া পরিসংখ্যান তত্ত্ব মেনে চলে বলে)। সুতরাং পৃথীবির সকল কণার অর্ধেককে বলা হয় বোসন এবং বাকি অর্ধেককে বলা হয় ফার্মিয়ন। বোসন কণার উদাহরন হলো আলোর কণা ফোটন এবং তড়িৎ-দূর্বল বলের মাধ্যম কণা। ফার্মিয়ন কণার উদাহরন হলো ইলেকট্রন, প্রোটন , ইত্যাদি।
আইনষ্টাইন পরবর্তিতে বোসের পরিসংখ্যানের তত্ত্বের মাধ্যমে নতুন ধরনের বস্তুর অস্তিত্ব (বোস- আইনষ্টাইন কন্ডেনসেট) ভবিষ্যৎবানী করেন। ১৯৯৫ সালে বিজ্ঞানীরা প্রথম এই বোস- আইনষ্টাইন কন্ডেনসেট প্রথম তৈরি করতে সক্ষম হয়। ২০০১ সালে এই কাজের জন্য নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়।
পশ্চীমা বিশ্বে বোসকে বলা হয় ভারতীয় বিজ্ঞানী। এর কারন, আমারা এর যথাযথ প্রতিবাদ করতে পারিনি। যে কোন কাজের সন্মান সেই প্রতিষ্ঠানকেই দেয়া যেখানে কাজটি করা হয়েছে। আমেরিকার বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীদের অধিকাংশ অন্যান্য দেশ থেকে আগত। কোন নতুন আবিষ্কার আমেরিকেতে হলে, কৃতিত্ব কিন্তু আমেরিকাকেই দেয়া হয়। সুতরাং এতে কোন সন্দেহ নেই যে, বোসের কৃতিত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং বাংলাদেশের ।
এখন আমরা বোসের সন্মানে কি করেছি? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন হল বা কোন ভবন বা কোন লাইব্রেরী বা কোন রাস্তা কি আমারা উনার নামে রেখেছি? না রাখিনি । (উনার একটি ছবি অবশ্য বিজ্ঞান লাইব্রেরীতে টানানো আছে এবং বোসের নামে একটি গবেষণা চেয়ার পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে আছে।) আমরা সন্মান দেখাইনি বলে কি উনি ছোট হয়ে গিয়েছেন? না বরং আমরা ছোট হয়ে গিয়েছি।উনার সন্মান আমারা না দেখালেও, পশ্চিমা বিজ্ঞানীমহল দেখাচ্ছে। যতদিন এই পৃথীবি থাকবে ততদিন বোস সকল বিজ্ঞনীদের কাছে চরম পুজনীয় হয়ে থাকবেন।
কুরসি নাশিন
সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে
তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ
১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা
গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন
সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে
সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।
কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।
ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।
যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন
বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!
যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।
কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!
ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন