somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছাএ দের এত এত সমস্যা কি করে লেখা চালাব।

০১ লা মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ অনেক দিন হল কম্পিউটার ধরতে পারিনা ।যদিও কম্পিউটার যোগার হয় ইন্টারনেট কানেকশান নাই । আজ অল্প সময়ের জন্য সাইবার ক্যাফেতে বসে লেখার সুযোগ পেলাম। নিম্ন মধ্য বিত্ত ঘরের সন্তান আমি ।কলেজের পার্শে একটা ম্যচে থেকে লেখা পড়া করছি কোন সঙ্গঠন করিনা কোন মিছিল মিটিংয়ে জাইনা তার পর ও পালিয়ে পালিয়ে থাকতে হয় । কারন আজ এক ছাত্র সংগঠনের ছেলেরা এসে বলল আমাদের সাথে মিটিংয়ে যেতে হবে, বললাম আপনারা যান আমি পরে আসব, পরের দিন আরেক ছাত্র সংগঠনের ছেলেরা এসে বলল কাল আমাদের মিছিল আছে আপনাকে যেতে হবে, এভাবে মাঝে মাঝেই কোননা কোন কারনে সংগঠনের ছেলেরা এসে বলে তাদের নিকট হতে পালিয়ে থাকি । তাদের কে বুঝাতে পারিনা বা বলতে পারিনা আমি আপনাদের সাথে যাবনা । রাত্রে চুপি চুপি লেখা পড়া করি । কিন্তু কেন ? কেন আমি ছল চাতুরি করে পালিয়ে বেরাবো। আমি কোন সংগঠন করিনা বলেই কি আমাকে এত সমস্যা ভোগ করতে হবে । আমার পিতা মাতা ধর্ম ভীরূ পরিবারের সদস্য সেই হিসাবে আমিও ধর্ম পালন করি এটানিয়ম। আজ যদি আমি মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হই কিছু ছাত্র সংগঠনের ছেলেরা আছে তারা বলে ছেলেটি শিবির করে, আবার যদি আজান শুনে মসজিদে না গিয়ে বাইরে ঘুরা ফিরা করি আরেক ছাত্র সংগঠনের ছেলেরা বলে ঐ ছেলেটি ছাত্রলীগ করে আবার কোন কোন ছাত্র নেতা এসে বলে আপনি আমাদের দলে আসেন আপনাকে কেউ কিছু বলবে না কারো সাহস হবেনা কিছু বলার আবার অন্য ছাত্র নেতা এসে বলে আমাদের দলে না থাকলে নিরাপদ থাকতে পারবেন না লভ্রষ্ট হয়ে যাবেন । আমি এখন কি করব।সামনে আমার ফাইনাল পরীা ।খুব লেখা পড়ার চাপে আছি । দিনে বের হতে ভয় পাই । রাত্রেই লেখা পড়া করি । কলেজে এস, এস , সি পরীা চলে কোন কাস হয় না । ম্যাচ ছাড়া অন্য কোথাও থাকার জায়গা নেই । থাকলে সেখানেই চলে যেতাম এ অবস্থায় আমরা সাধারণ ছাত্ররা কি করে ভয় হীন ভাবে লেখা পড়া করব । মত প্রকাশের অধীকার সবার জন্মগত । কিন্তু আমরা ছাত্ররা নিজস্ব মতামত প্রকাশ করতে পারিনা । বলতে পারিনা বর্তমান ছাত্র রাজনীতি আমাদের ভাল লাগেনা । এখানে ছাত্রদের কোন কথা থাকেনা কথা থাকে নেতা নেত্রীদের তারা কি বলে আমাদের তা শুনতে হবে পালন করতে হবে ।আজ অমুক দিন মিছিল করতে হবে ,কাল তমুক দিন মিটিং করতে হবে পরশু সে আসবে সংবর্ধনা দিতে হবে, এ ভাবে আর পারিনা । নিজের ভবিষ্যতের কথা নিজেই জানিনা । সবাই বলে দেশের কথা ভাবতে ,দেশের ভাল না চাইলে দেশ প্রেমিক হওয়া যায় না । আমরা কি দেশকে ভালা বাসি না । সংগঠন করলেই কি দেশকে ভাল বাসা হবে ,দেশে কি এখন বাইরের শত্র“ আক্রমন করেছে যে আমরা দেশের জন্য প্রাণ দিতে এগিয়ে যাব । কেউ বলে দেশে মহাসংকট চলছে কেউ বলে দেশের এখন প্রধান সমস্যা হচেছ এই এই । শুতারাং এগিয়ে আসুন আমাদের সাথে ।আমরা মানুষ আমাদের ভাল লাগার মন্দ লাগার ব্যপার আছে ।আমাদের কে কেউ মানুষই মনে করেনা সবাই বলে ছাত্র । মহাসংকট তো প্রতিটি ছাত্ররই পরীার সামনে হয় । অবস্য ভাল লেখা পড়া করলে ততটা নয় । কিন্তু কি করে ভাল লেখা পড়া করব কেউ সেটা ভাবে না । সব দোষ আমাদের লেখা পড়া করে নাই তাই রেজাল্ট ভাল হয় নাই । আসলে মন ভাল না থাকলে কোনাটাই ভাল লাগেনা । আমি এই লেখা যখন লিখছি তখন সারা দেশে চলছে চিরূনী অভিযান আমি সংগঠন করিনা সুতারাং আমার ভয় পাওয়ার কথা না । কিন্তু আমি ভয় পাচিছ এই ভেবে কোন ছাত্র হয়ত বলে দিল তাকে দেখেছি মসজিদে নামাজ পড়তে সেই মসজিদে তো শিবিরের ছেলেরাও নামাজ পড়ে তাই তাকেও ধর , বিচার তো পরে হবে । কে যাবে আমি সংগঠন করিনা এ কথা বলতে আমি শিবির না
, তাই আজ কাল মসজিদে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছি ।যদি মনে এত রকমের ভয় থাকে তাহলে কি ভাল লেখা পড়া হয় ।


৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×