রাজশাহীতে ক্যাডার বাহিনী ও অস্ত্রের মজুত : বিএনপিকে মোকাবিলা করতে মহাজোটের ব্যাপক প্রস্তুতি
(সংকলিত)
জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন, খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের সামনে বোমা পুঁতে রাখা এবং সারাদেশে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে রাজশাহী বিএনপি নগরীতে বিশাল জনসমাবেশ ঘটাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। এদিকে রাজশাহী বিএনপিকে মোকাবিলা এবং তাদের কর্মসূচি প্রতিহত করতে মহাজোটও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। এ জন্য মহাজোট আশপাশের জেলা থেকে বিশাল ক্যাডার বাহিনী ও বিপুল সংখ্যক অস্ত্রের মজুত করেছে বলে জানা গেছে। এতে বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা করছেন নগরবাসী।
পার্শ্ববর্তী জেলা নাটোর থেকে আসা ক্যাডাররা গতকাল ব্যক্তিগতভাবে অনেককে ফোনে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, আজ বিএনপিকে মোকাবিলা করতে আমরা রাজশাহীতে এসেছি। আপনারা বাসা থেকে বের হবেন না। বিএনপিও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়েছে। ফলে এতে বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ রফিক উদ্দিন বলেন, নগরীতে ক্যাডার বাহিনী ও বিপুল সংখ্যক অস্ত্রের মজুতের কথাটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, বিএনপিকে মোকাবিলা করতে আশপাশের জেলা থেকে ক্যাডার আনার প্রয়োজন নেই। বিএনপি কোনো ধরনের অঘটন ঘটালে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের যে বিশাল কর্মী বাহিনী রয়েছে তারাই যথেষ্ট।
এদিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নগর সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, আওয়ামী লীগ যেহেতু দাঙ্গা-হাঙ্গামার দল, সেহেতু তারা এমনটি করতেই পারে। তবে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমাদের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়েছি।
এদিকে রাজশাহী ক্যাম্পাস এখন পুলিশ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের দখলে। সর্বত্রই তাদের দাপট চলছে। ৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে ছাত্রলীগের নির্যাতন আর পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্কে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রতিপক্ষ ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। সর্বত্রই এখন নিস্তব্ধতা আর আতঙ্কে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ এখন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতেও ভয় পাচ্ছে। সব মিলেই ক্যাম্পাস এখন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।
গতকাল সরেজমিন রাজশাহী ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চত্বর, আবাসিক হল আর একাডেমিক ভবনগুলো শিক্ষার্থীশূন্য। ক্যাম্পাসের সর্বত্রই ফাঁকা ভাব। তবে বিভিন্ন পয়েন্ট ও আবাসিক হল গেটের সামনে সারিবদ্ধভাবে বসে আছে পুলিশ। কোথাও সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই। আবাসিক হলগুলোও ফাঁকা। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবাসিক হলগুলোতে বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে অবস্থান করছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। হল সূত্রগুলো জানিয়েছে, হলগুলোতে বিপুল সংখ্যক বহিরাগত আনা হয়েছে। এছাড়া প্রতিপক্ষকে মোকাবিলায় হলগুলোতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রচুর অস্ত্র মজুত করেছে।