তাপিত ধরা যখন আকণ্ঠ তৃষ্ণায় আকুল হয়ে ওঠে, মহান প্রভু তখন আশীর্বাদের বারি বর্ষণে সুশীতল করেন বসুন্ধরাকে। দারুণ অনাবৃষ্টির দিনে মাঠ-ঘাট শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়, তাঁরই করুণা অঝোরে নেমে আসে মেঘ-বাদলের রূপ ধরে; ধনধান্যে পুষ্পে বসুন্ধরা ফুলে হয়। তেমনি ধরণী যখন পাপের ভার আর সইতে পারে না, যখন অন্যায় এসে ন্যায়ের, মিথ্যা এসে সত্যের, অন্ধকার এসে আলোর, কুসংস্কার এসে জ্ঞানের, পশুত্ব এসে মানবত্বের স্থান জুড়ে বসে, তখনই অধঃপতিত মানবাত্মার মুক্তির নিমিত্তে বিধাতা তাঁর দূত পাঠিয়েছেন। এমনি এক অমানিশার রাজত্বে হেরার জ্যোতি বুকে নিয়ে নবুয়তের রাজমুকুট মাথায় পরে, শান্তির স্বর্গীয় বার্তা সাথে নিয়ে বিশ্ব মানবতার মুক্তিকামী রাহমাতুল্লিল আলামীন, সাইয়্যেদুল মুরসালীন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, অধিকার বঞ্চিত নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের মুক্তির দূত, বিশ্বের স্বৈরাচারী শাসকের আতংক, সংস্ড়্গার আন্দোলনের অগ্রনেতা, মহাসত্যের সাধক, চরিত্র গঠনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, দেশপ্রেমিক, জনদরদী মানবতার কল্যাণে গৃহীত কর্মসূচী নিয়ে কামিল ইনসান হযরত মুহাম্মাদ [সা] লক্ষ তারার চাদোয়া ভেদ করে, সৌর সীমা পার হয়ে, তিমির অমানিশা তিরোহিত করে আগমন করলেন এ ধরাধামে। তার পরশ পেয়ে বন বিহঙ্গী সুমধুর তানে বন বিটপির ঘন বিথি মধুময় করে তুলল। ফুলেরা রক্ত রাঙ্গা হাসি মেখে পাপড়ি ছড়াল শাখায় শাখায়, কেটে গেল শত সহস্র যুগের ঘনীভূত জুলমাত, আলোকময় হল এ বসুন্ধরা। পবিত্র কুরআনে বিঘোষিত হয়েছেঃ
“আমি আপনাকে [মুহাম্মাদ] সর্ব গুণে পরিপূর্ণ করে সৃষ্টি করেছি।”
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১১:৫৯