আমি ভোট কেন দেব?
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
আমি ভোট কেন দেব? যে দলের চেতনায় আমি উদ্বুদ্ধ সেই চেতনার আলোয় সবাই যাতে আলোকিত হতে পারে সেই আশা থেকেই বোধ হয়। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে যাদের জন্য ভোটের মাঠে যাব তাদের চেতনা কি জানতে হবে। আমি জানলাম তাদের চেতনা কি। জানলাম তাদের একটি চেতনা আছে যার সাথে বিবেক ও বাস্তবতার আপোষকামীয়তা একাত্মতা পোষণ করা যায়। সেটা না হয় করলাম। অতঃপর দেখলাম চেতনার চর্চার পরিবর্তে ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে লেখা পাতাগুলো চরম নির্লজ্জতায় সার্বজনিন মালিকানাকে স্ব-মালিকানার করায়ত্ত করার নিমিত্তে স্বর্ণলগ্নগুলোর সহস্রবর্ষী পরমায়ূকে গলাটিপে সমাধীস্থ করার সকল আয়োজন সাঙ্গ করেছে। তখন সহমতী চেতনার অমোঘ স্বার্থ কিভাবে কামনা করি? না হয় আর একটু আপোষ করলাম। দেখলাম যে চেতনা আমাকে এই সহমতি চেতনার হাত ধরে পথ চলতে শিখিয়েছে সেই চেতনার চর্চা চিরায়ত রূপেই সে ধরা ছোঁয়ার বাইরে রেখেছে। তাহলে কিভাবে আমি তার পক্ষে ঐতিহাসিক রায় দেব।
এবার ঐ চেতনাকে না হয় বাদ দিলাম। আর একটু বেশি আপোষকামীতায় লিপ্ত হই। সেখানে খুজে পেলাম ইতিহাসরে সাথে বিশ্বাসঘাতীদের। তাহলে আমি কেন ইতিহাস তাদের সাথে যাতে বিশ্বাস ঘাতকতা করে সেই ইতিহাসের সাক্ষ্য হবনা। কেননা আমি ইতিহাস সৃষ্টি করিনা আমাকে ইতিহাস জন্ম দিয়েছে।
ইতিহাসের পথ ধরেতো আপনাকে চলতে হবেই। কেননা ইতিহাস আপনাকে জন্ম দিয়েছে, ইতিহাস আপনাকে পথ চলতে শিখিয়েছে। আবার আপনি যদি ইতিহাসের হাত না ধরে সামনে এগোতে চান সেটাও তে ইতিহাসের অংশ। সুতরাং ইতিহাস আপনার নিত্যসঙ্গী হবেই হবে।
আশার কথা হলো-ইতিহাস কোন সমস্যারই সমাধান না করে থাকেনি। অপেক্ষা করি, দেখি ঐতিহাসিক সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য ইতিহাস আবার কোন ইতিহাস সৃষ্টি করে।
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।
মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন
অহমিকা পাগলা
এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
হার জিত চ্যাপ্টার ৩০
তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবনাস্ত
ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন
যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে
প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন