somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

প্রগতি বিশ্বাস
জীবন ও সমাজ সম্পর্কে আমার ভাবনার ভিত্তি মূলত দর্শনশাস্ত্র, বিশেষত স্টোয়িক দর্শনের ওপর প্রতিষ্ঠিত। আমি বিশ্বাস করি, আত্মনিয়ন্ত্রণ, প্রজ্ঞা এবং চারিত্রিক দৃঢ়তাই একজন মানুষের প্রকৃত শক্তির উৎস। আমি একজন সেকুলার মানুষ—যিনি যুক্তি, মানবিকতা এবং বৈজ্ঞানিক

আমাদের অস্তিত্ব কি কারও চিন্তার প্রজেকশন মাত্র?

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আপনার জীবনের জন্য আপনি একটি মৌলনীতি (Principal of Law) প্রণয়ন করুন এবং সেটি আপনি নিজেই মেনে চলুন। অবশ্যই এমন একটি মৌলনীতি তৈরি করুন, যা খুবই সহজবোধ্য, তবে যেন তা একেবারে ১০০% প্রাকৃতিক প্রবৃত্তির উপর নির্ভরশীল না হয়। কিছুদিন পর আপনি নিজেই লক্ষ্য করবেন—বা কখনো কখনো—আপনি সেই নীতিটি মানতে পারছেন না।

আমরা কী পারি বা পারি না—তা অনেক সময় আমরা নিজেরাও জানি না। অতএব, আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা, তা নিজের দ্বারা ঘটুক বা অন্য কারও প্রভাবে ঘটুক, সেটি চূড়ান্তভাবে কখনোই একমাত্র খারাপ বা একমাত্র ভালো নয়।



সুতরাং, জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে উন্নতি বা অবনতির মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা না করে, জীবনের যাত্রাপথের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করে তার সাথে মানিয়ে নেওয়া কিংবা অভিযোজিত হওয়াই হচ্ছে প্রকৃত প্রজ্ঞার পরিচয়।

জীবনের আর্থিক ক্রমোন্নয়নকে সাফল্য, সুখ বা সম্মানের একমাত্র মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা না করাই শ্রেয়।



আমার কাছে দার্শনিক চিন্তায় মানুষ সবসময়ই পরিস্থিতির পুতুল কিংবা সিমুলেশনের চরিত্র হিসেবে মনে হয়। আমরা হয়তো প্রকৃতপক্ষে তা নই, যা আমরা নিজেদের ভাবি বা বিশ্বাস করি। আমরা হয়তো অন্য কিছুর দ্বারা বা নিজের মধ্যে নিহিত থাকা অপরিচিত কোন শক্তি দ্বারা পরিচালিত হই।

সুতরাং, জীবনের ব্যক্তিগত কিংবা পেশাগত ঘটনাগুলোকে ‘জার্নির একেকটি বাঁক’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত, যা আমাদের সামনে নতুন পথের সন্ধান করে দেয়।

সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০৭
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশে এমপি হওয়ার মতো ১ জন মানুষও নেই

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪



দলগুলোতে মানুষই নেই, আছে হনুমান।

আমেরিকায় যদি ট্রাম্প ক্ষমতায় না'আসতো, বাংলাদেশে হ্যাঁ/না ভোট দিয়ে ইউনুসকে দেশের প্রেসিডেন্ট করে, দেশ চালাতো প্রাক্তন মিলিটারী অফিসারেরা ও বর্তমান জামাতী অফিসারা মিলে। দুতাবাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

মজনু নামাজ পড়ার পর মোনাজাত ধরল তো ধরলই, আর ছাড়তে চাইল না | পাক আর্মির বর্বরতা!!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭



১৯৭১ সালে পাকিস্তানী আর্মি পুরো বাঙালী জাতির উপর যে নৃশংস হত্যাংজ্ঞ, বর্বরতা চালিয়েছে যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। সত্যি বলতে ১৯৭১ সালে বাঙালী জাতির উপর পাকিস্তানী আর্মি কর্তৃক... ...বাকিটুকু পড়ুন

সব দোষ শেখ হাসিনার !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৬


অনেকদিন পর zahid takes এর ডা. জাহেদুর রহমানের এনালাইসিস ভিডিও দেখলাম। জুলাই আন্দোলনের পূর্বে বিশেষত যখন র‍্যাব স্যাংশন খায় তখন থেকেই উনার ভিডিও দেখা আরম্ভ করি। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার মাঈনউদ্দিন মইনুলকে ১৩ বছর পুর্তি উপলক্ষে অভিনন্দন।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৭



সামুর সুসময়ের আদর্শ ব্লগারদের মাঝে মাঈনউদ্দিন মইনুল হচ্ছেন একজন খুবই আধুনিক মনের ব্লগার; তিনি এখনো ব্লগে আছেন, পড়েন, কমেন্ট করেন, কম লেখেন। গত সপ্তাহে উনার ব্লগিং;এর ১৩ বছর পুর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিয়তির খেলায়: ইউনুস ও এনসিপিনামা

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৪



২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া আমেরিকান চলচ্চিত্র 'আনব্রোকেন' একটি সত্যি ঘটনার ওপর নির্মিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে, আমেরিকান বোমারু বিমানের কিছু ক্রু একটি মিশন পরিচালনা করার সময় জাপানিজ যুদ্ধ বিমানের আঘাতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×