
সত্য হলো, মৃত ব্যক্তি শুরুতে টের পান (জানাজা শেষে ফিরে যাওয়ার সময় পায়ের শব্দ শুনেন) কিন্ত অনেক দিন হয়ে গেলে বা লাশ/মস্তিষ্ক পচে গেলে আর শুনেন না। বদরের যুদ্ধের পরে কাফেরদের লাশ যখন একটি গর্তে রেখে দেয়া হলো, তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের লাশদের উদ্দেশ্য করে নাম ধরে ডেকে ডেকে বললেনঃ তোমরা কি তোমাদের মা’বুদদের কৃত ওয়াদাকে বাস্তব পেয়েছ? আমরা তো আমাদের মা’বুদের ওয়াদা বাস্তব পেয়েছি। সাহাবীগণ বললেনঃ রাসূল! আপনি এমন লোকদের সাথে কি কথা বলছেন যারা মরে পচে গেছে? তিনি বললেনঃ “আল্লাহর শপথ! তোমরা আমার কথা তাদের থেকে বেশী শুনতে পাচ্ছো না”। [বুখারীঃ ৩৭৫৭] আধুনিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তির সর্বশেষ অনুভূতি যেটা লোপ পায় তা হলো শ্রবণ শক্তি । যেহেতু মৃত্যু হলে কেউ জবাব বা respond করতে পারে না তাই আমরা বুঝতে পারি না যে তাঁরা শুনতে পান। বাস্তবতা হলো, মৃত ব্যক্তির শ্রবণ শক্তি ততক্ষণ থাকে যতক্ষণ তার মস্তিষ্ক সতেজ থাকে বা নষ্ট না হয়। তবে তাদের শুনা হয়তো জীবিতদের মতো নয়, ঘুমন্ত ব্যক্তি যেমন আশেপাশের শব্দ শুনে ক্ন্তিু বুঝতে পারে না তেমন হয়তো ( ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জোরে ডাকলে সে জেগে উঠে)। আর আল্লাহ ভালো জানেন। আল্লাহ বলেন, মৃতকে তো আপনি শোনাতে পারবেন না, বধিরকেও পারবেন না ডাক শুনাতে, যখন তারা পিঠ ফিরিয়ে চলে যায়। (২৭:৮০)
বারযাখ নামক পর্দা অভেদ্য হয়ে যায় যখন মানুষের মস্তিষ্ক পুরোপুরি বিনষ্ট হয়ে যায়। দুনিয়া থেকে কোন stimulator/অনুভূতি/সেন্স তখন এই বারযাখের পর্দা ভেদ করতে পারে না।
যখন তাদের (অবিশ্বাসী ও পাপীদের) কারো মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন সে বলে, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে পুনরায় (দুনিয়ায়) প্রেরণ কর।যেন আমি সৎকাজ করতে পারি যা আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম।’ কখনো নয়, এটি একটি বাক্য যা সে বলবে। যেদিন তাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে সেদিন পর্যন্ত তাদের সামনে থাকবে বরযখ। (২৩:৯৯-১০০)
আল্লাহই প্রাণ হরণ করেন জীবসমূহের, তাদের মৃত্যুর সময় এবং যাদের মৃত্যু আসেনি তাদের প্রাণও নিদ্রার সময়। অতঃপর যার জন্য মৃত্যুর সিদ্ধান্ত করেন তার প্রাণ তিনি রেখে দেন এবং অপরগুলি ফিরিয়ে দেন, এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য। (৩৯:৪২)
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


