
গল্পটা বোধ হয় আমরা সবাই জানি। একবার কোন এক মাহফিলে ওয়াজের এক পর্যায়ে হুজুর জিজ্ঞাসা করল, সেখানে কেউ নোয়াখালীর মানুষ আছে কিনা, কারণ নোয়াখাইল্লা থাকলে ঘটনাটা বলা যাবে না। উপস্থিত সকলে অভয় দিলে তিনি বলা শুরু করলেন। কোন এক নদীর তীরে এক অপার্থিব বিশাল গাছ আছে। সেই গাছের প্রত্যেক পাতায় নাকি একজন করে মানুষের নাম লিপিবদ্ধ আছে। কোন মানুষের মৃত্যুর সময় সেই গাছ হতে তার নামাঙ্কিত পাতা নীচে পড়ে যায়। পাতাটি যদি নদীর পনিতে পড়ে তাহলে সে স্বর্গবাসী আর যাদ মাটিতে পড়ে তাহলে নরকবাসী। হুজুরের গল্প শেষ হতে না হতেই এক ব্যক্তি বলে উঠল, হুজুর পাতাটার যদি অর্ধেক পানিতে আর অর্ধেক মাটিতে পড়ে তাহলে কী হবে? হুজুর জিগায়, আন্নের বাড়ি নোয়াখালী নি? সে মাথা উপর-নীচ করতেই, তিনি বললেন আমি তো আগেই বলেছিলাম এখানে কোন নোয়াখাইল্লা থাকলে গল্পটা বলা যাবে না। বলাই বাহু্ল্য, গল্পটা কাল্পনিক।
উপরেরটা কৌতুক হলেও বাস্তবে এমন অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। যেমন- কোথাও এক নাস্তিক ব্লগার লিখলেন, প্রস্রাব যদি অপবিত্র হয় তাহলে, এর প্রতিটি উপাদান ল্যাবরেটরীতে বানিয়ে প্রস্রাবের মতো একটি মিশ্রণ তৈরি করলে তার ব্যাপারে কী ফতোয়া? কিংবা আমরা ফসলের মাঠে যে ইউরিয়া সার দিই সেটা কিন্তু প্রস্রাবের একটা উপাদান। তাহলে ইউরিয়া গায়ে লাগলে অযু কি আবার করতে হবে?
আমাদের সর্বজ্ঞানী মহাজাগতিক ভাই কী বলবেন?
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


