somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিজ্ঞানের জন্ম!!!

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিজ্ঞান এমন একটি জ্ঞান জগত, যা পৃথিবীর এবং মহাবিশ্বের সমস্ত জ্ঞানের ও বিশ্বাসের উপযুক্ত কারন আর ব্যাখ্যার সমষ্টি। তা এই বিজ্ঞানের জন্ম হয়েছে কিভাবে?


আসলে এই প্রশ্নের উওর এক লাইনে দেয়া সম্ভব হবে না। কারন লক্ষ লক্ষ বছরের তিল তিল করে গড়ে উঠা এই জ্ঞান নিয়েই বিজ্ঞান। যখন মানুষ প্রথম তার কোন কিছুর অভাব বুঝল তখনই জন্ম দিয়েছে বিজ্ঞানের। তাই বলা যায় অভাব বা আকঙ্খাই বিজ্ঞানের জন্মদাতা। যেমন ধরা যাক, প্রথম প্রথম মানুষ তার ক্ষুধা মেটানো জন্য কাচাঁ মাংস খেত। তার আগেই কিন্তু সে জেনেছে যে তার ক্ষুধা নামক এক অনুভুতি আছে । সেই ক্ষুধাই তাকে নিয়ে গেছে কাচাঁ মাংসের দিকে। তারপর এই কাচাঁ মাংসের জন্যই বিভিন্ন প্রাণীকে সে হত্যা শুরু করেছে । তখন সে হয়ত কামড়ে কামড়ে চামড়া সহই মাংস খেত। কিছুদিনের মধ্যেই সে আবিষ্কার করল চামড়া বদলে ভিতরের মাংসই স্বাদে উত্তম। আবার এই চামড়া শীত থেকে তাকে রক্ষা করতে। আবার প্রানীটিকে হত্যার জন্য সে হয়ত ঢিল মারত। পারবে। তাতেই কিন্তু জন্ম নিয়েছে অস্র বিজ্ঞান নামক শাখাটির। একসময় এই ঢিল মারা পাথরকেই সে উন্নত করল ততদিনে প্রতিটি পদে পদে ধাক্কা খেতে খেতে কিন্তু সে অনেক কিছুই শিখে ফেলেছে।



একসময় মানুষ আগুনকে ভয় পেত। বনে জঙ্গলের লেগে যাওয়া এই আগুনের ভয়ই তাকে বের করে এনেছে বন থেকে। হয়ত সে পুড়ে মরেছে হয়তবা কোন রকমে বেচেছেঁ এই আগুন থেকে। কিন্তু যখন সে বুঝতে পারল আগুন তার অনেক উপকার করবে তখন এই আগুনের উৎস সন্ধানে নেমে গেল সে। একসময় সে আগুন ধরাতে শিখল। সাথে সাথে জন্ম হল এক নতুন সভ্যতার। এই আগুন জ্বালানোর অনেকদিন পর সে এই আগুনকে নিয়ন্ত্রন করতে শেখেছে। তবে এর জন্য হয়ত তাকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। হয়ত এমনও হয়েছে আগুন লাগিয়েছে কিন্তু তা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো জঙ্গলে। যার ফলে তাকে হয়ত শেষ পর্যন্ত এই জঙ্গল থেকেই পালিয়ে আসতে হয়েছে।



যখন মানুষ দেখল তার বিশেষ বিশেষ অঙ্গ ডেকে রাখলে সৌন্দর্য বেড়ে যায়। তখনই সে আবিষ্কার করল আরেকটি মৌলিক জ্ঞান এর। পাতা দিয়ে শুরু হল তার সৌন্দর্য চর্চা তার সাথে সাথে সে আবিষ্কার করল সে, এটি তার শরীর কে যেমন উষ্ঞ্ন রাখে তেমনি অনেক বিপদ থেকে এই স্পর্শকাতর স্থানগুলোকে রক্ষা করে।



যদিও কাচাঁ মাংস থেকে আগুন জ্বালানো অথবা বস্রের আবিষ্কারে হয়ত অনেক সময় ব্যয় হয়ে গিয়েছে এই মানব জাতির। কিন্তু এই প্রতিটি ঘটনা মানুষের মনকে করেছে বিকশিত দিয়েছে অভিজ্ঞতা। এই বিকশিত জ্ঞান আর অভিজ্ঞতাই তাকে পর্যায়ক্রমে জ্ঞানী করে তুলেছে। এই জ্ঞানই আবার তাকে দিয়ে জ্ঞানের গতি। মানুষের প্রতিটি কার্যকলাপ তার মন দ্বারা নির্দেশিত। আর এভাবেই গড়ে উঠেছে মস্তিকের জ্ঞানভান্ডার, যা আর কিছুই নয় সম্মিলিত মনোবিকাশের জ্ঞান। একসময় সেই সত্যটিকে সে আবিষ্কার করে বিভিন্ন পরিক্ষা লব্দ ফলাফলের দ্বারা। তাই তা ভুল হয়ত বর্তমান সময়ের জন্য কিন্তু তা সত্য ছিল এবং তাই একসময় বিজ্ঞান ছিল।

[ এটিকে সরাসরি বিজ্ঞান প্রবন্ধ বলা যাবে না। কারন এর সাথে কিছুটা ফ্যান্টাসি আছে। এই ধরনের লেখা কে কি বলে আমি জানি না। তবে আইজাক আসিমভের এই ধরনের কয়েকটি প্রবন্ধ আমি পড়েছি। বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরও "“বৃক্ষ"” নামে এইধরনেরই ফ্যান্টাসিধর্মী কবিতা লিখেছেন। এগুলো আমার বড়ই প্রিয়। ]
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×