somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিল্প সাহিত্যের কিছু এলেবেলে তথ্য

০৯ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জোনাথন সুইফট

মনে আছে গ্যলিভার ট্রাভেলসের (Guilliver’s Travels) কথা। সেই বিখ্যাত বইটি কে লিখেছেন তা নিশ্চই বলে দিতে পারেন। হ্যা তিনি ছিলেন জোনাথন সুইফট। অসাধারন কল্পনা শক্তির অধিকারী এই মানুষটি কিন্তু সেই সাইন্স ফিকশন দ্বারাই বিজ্ঞানের কিছু বেশ কিছু আবিষ্কারের কথা জানিয়ে ছিলেন। তার এক কাহিনীতে সর্বপ্রথম সৌরজগতের মঙ্গল গ্রহের দুইটি চাদের কথা উল্লেখ করেন। তিনি তাদের নাম দেন ফবোস এব ডিমোস। শুধু কি নাম দিয়েই শেষ নয় তিনি সেই চাঁদদুটির আকার এবং গতিবিধি সম্পর্কিত নিখুত বর্ণনাও দিয়েছেন। তার এই কাহিনী প্রকাশের অনেক পরে বিজ্ঞানীর এই গ্রহদুটো আবিষ্কার করেছেন।

হাসতে হাসতে মরণ

সেই খৃস্টপূর্ব ২৬৩ সালের কথা। ফিলোমোন(খ্রি:পূ:৩৬০-২৬৩) নামে একজন কবি ছিলেন। তিনি কৌতুক লিখতেন।লেখায় তার হাস্যরস চুইয়ে পড়ত। তিনি মোট ৯৭টি কৌতুক রচনা করেছিলেন।
এবার আসি আসল ঘটনায়। উনার মৃত্যু হয়েছিল বেশ উদ্ভুত ভাবে, হাসতে হাসতে। একদিন তিনি দুপুরের খাবার খেতে বসবেন, খাবার বেশ সাজানো আছে টেবিলে। হাত মুখ ধুতে গেলেন বাথরুমে। ফিরে এসে দেখলেন বাইরে থেকে জানালা দিয়ে তার বেয়দপ গাধা তার সব খাবার সাবাড় করে ফেলেছ। তাই দেখে ফিলোমোন সাহেব হাসতে শুরু করলেন। একদিকে ক্ষুধার যন্ত্রণা আর গাধার খাদ্য ভক্ষণ। হাসি যেন আর তার থামেই না। শেষে হাসতে হাসতেই হার্ট এট্যাকে মারা গেলেন।তখন উনার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।


রবার্ট লুইস স্টিফেনসনের গল্প লেখা

গুপ্তধনের দ্বীপ(Treasure Island) সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী গ্রন্থের নাম এই লেখকের। মজার একটি কৌতুক প্রচলিত আছে এ উপন্যাস নিয়ে।
অঝোর বৃষ্টির দিন ছিল সেই দিন। ছেলের সাথে ঘরে বসে গল্প করেছিলেন। সাদা কাগজে ম্যাপ একে তিনি একটি দ্বীপের নির্দেশ করেছিলেন এবং এই দ্বীপটাই ছিল একটি গুপ্তধনের দ্বীপ।
এই ম্যাপ তৈরি করার পরই ছেলে বায়না ধরে বসল কিভাবে সেই গুপ্তধন পাওয়া যাবে তা বলতেই হবে। এবার শুরু হল উনার বানানো কাহিনী। মুখে মুখে কৌতুকের মধ্যদিয়ে তৈরী হয়ে গেল সেই বিখ্যাত উপন্যাসের মূল কাঠামো। সেইটি পড়ে উনি ভাষায় প্রকাশ করেন।
আরেকটি মজার কাহিনী হল তিনি Strange Case of Dr Jekyll and Mr Hyde এই উপন্যাসের প্লটটা পেয়েছিলেন স্বপ্নে।


মহাকবি হোমারের মৃত্য

ইলিয়ড ’ এবং ‘ওডিসি ’ মহাকাব্যদ্বয়ের অমর স্রষ্টা মহাকবি হোমারের(Homer) মৃত্যু নিয়ে মজার একটি কাহিনী প্রচলিত আছে।
তার মৃত্যু হয়েছে একটি ধাঁধার উত্তর দিতে না পারার যন্ত্রনা নিয়ে। প্রচন্ড লজ্জায়, মর্মাহত অপমানিত হয়ে তার মৃত্য হয়।
হোমার একদিন একদল জেলেকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তোমাদের মাছ ধরা কেমন চলছে? এই উত্তরে জেলেরা তাকে ছুড়ে দিয়ে ছিল এক অদ্ভুত ধাঁধা। জেলেরা বলেছিল “আমরা যা ধরি তা ফেলে দিই, আর যা ধরতে পারি না তা ঘরে নিয়ে যাই।”
তাহলে প্রশ্ন হল জেলেরা এমন কি জিনিস ধরত, যা ধরতে পারলে ফেলে দিত আর ধরতে না পারলে বাড়ি নিয়ে যেত?
এই ধাঁধার উত্তর দিতে পারেন নি হোমার। শেষে লজ্জায় ও অপমানে অস্থির হয়ে পড়েন। অসুস্থ হয়ে যান এবং মারা যান।
যাই হোক এবার ধাঁধার উত্তরটি দিয়ে যাই।
উত্তরটি সহজ জেলেরা মাছ ধরার সময় একধরনের নদীর পোকা জালের সাথে উঠত। সেই পোকা গুলোই তারা ধরে ধরে তারা ফেলে দিত নদীতে। তারপরও কিছু কিছু পোকা থেকে যেত তাদের জালে। এগুলো জালের সাথে জেলেদের বাড়িতে চলে আসত।

তথ্যসূত্র: জ্ঞানকোষ---ভবেশ রায়, উইকিপিডিয়া.ওআরজি
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১২:৫৩
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×