আমাকে সবাই বলছে আমি নাকি পাগল, আমি নাকি মিলই নাই সাধারন মানুষদের সাথে । আমি নাকি নরমাল না, আমি সব অদ্ভুত চিন্তা করি। আমি নাকি কবি হওয়ার চেষ্টা করি ।
আমি অনেক ভাবলাম, তারপর নিজের মাঝে প্রমান করলাম।
আমি শুধু এতোটুকু বলবো,
মানুষ সাধারণতও বাঁচে ৬০-৭০ বছর। যারা আরও বেশিদিন বাচেন তারা সৌভাগ্যবান।
আমরা জন্মানোর পর থেকে বুঝ হতে লাগে ১৫ বছর, উচ্চ মাধ্যমিকে উঠতে লাগে ২০ থেকে ২২ বছর। তারপর জীবন চলার সময় আস্তে আস্তে ঘাড়ে চাপতে শুরু করে। নতুন নতুন জিনিষ নিজ থেকে পরিচয় হয়, নতুন জিনিষকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে কেটে যায় সময়। যে জিনিষ গুলো আগেও দেকছি তা নতুন ভাবে রুপ নেয়।
কিন্তু তা নিয়ে ভাবার কারো কোন সময় নাই, সবাই ব্যাস্ত নিজেকে নিয়ে, যন্ত্রর মতো ছুটছে সব। নিল বিশাল আকাশ, রাতের তারা অথবা নিজেকে নিয়ে চিন্তার সময় নাই। নিজের চিন্তা বলতে নিজের মন কি চায়, তা?
সবাই আগে ছুটছে, নতুবা সে পিছে পড়ে যাবে। ভবিষ্যৎ ভবিষ্যৎ আর টাকা। সুন্দর একটা গার্ল ফ্রেন্ড, আর সুখ।
তারা ভাবে সূর্যও তো প্রতিদিন উঠে, সকালের আকাশ তো প্রতিদিন একি থাকে, তা দেখার কি আছে। ঢাকার সেই জ্যাম রাস্তা গুলোর মতো তারাও থেমে থাকে,একটু একটু করে আগায়,আবার থামে,কিন্তু বাস্ততার মাঝে তারা আকাশ দেখে না। সত্যি তো কি আছে ওই আকাশের মাঝে।
বয়স হয়, একদিন ওই রাস্তায় এম্বুলেন্সে জ্যামে আঁটকে থাকে, অসহায়ের মতো যখন মৃত্যুর অপেক্ষা করে, তখন ঝাপসা গ্লাস দিয়ে দুরের আকাশ দেখে। এতো সুন্দর ভাবে সে দেখে মনে হয় এই সেই সুন্দর যা নাকের ডগায় ছিল কিন্তু উপভগ করতে পারে নাই ।বাচার অনেক ইচ্ছা জাগে কিন্তু সময় সেখানে সমাপ্ত হয়।
আমি যে ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবী না, তা নয়। আমার যে টাকা দরকার নাই তা না। আমাকে যে জ্যামে আটকাতে হয় না তাও নয় । আমার চিন্তা করতে ভালো লাগে,চিন্তা করার জন্য আমার কোটি কোটি নিউরন পড়ে আছে। এমন তো না চিন্তা করলে মাথা লোড নিতে না পেড়ে নষ্ট হবে।
তবে কেন সবাই এমন করে, আমিও সব চাই, তবে যন্ত্র হতে না। আমি সব করব তবে যন্ত্র না হয়ে। সবাই যেমন মজা করে সব করে তেমন ভাবে ।যাতে শেষ বয়সে আমার কোন অপূর্ণতা না থাকে।
যমদূত যখন আসবে, তাকে আমি হেসে বলবো, আমি তো সব দেখেছি। আমি পড়াশুনায় খারাপ, তবে এমন না আমি ইঞ্জিনিয়ার হতে পারব না। আমি হব, হইত সবার মতো ওত ভালো না। যখন শেষ সময় আসবে তখন যেন হাঁসতে পারি, যা দেখার আমি সব দেখেছি।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০৫