somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল-আমিন
ঢাকার এই ব্যাস্ত নগরীর আমি এক ক্ষুদ্র পথচারী , লিখা লিখি করার ভীষন ইচ্ছা । তাই নিজের কথা গুলো তুলে ধরতে্‌ আমি ব্লগে লিখা লিখি শুরু করলাম।আমি আল-আমিন । মধ্যবৃত্য পরিবারের আমি সন্তান। স্বপ্ন তো সবাই দেখতে পারে । তাই আমিও দেখছি।

মৃত্যু আর মানুষ

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রতিটা সময় আমার বিষণ্ণতার একটা অংশ মৃত্যু। সংজ্ঞাহীন এই বিষয় যার থেকে যত জল্পনাকল্পনার শুরু। শিশু বয়সে মৃত্যুকে নিয়ে কেউ ভাবে না। আমিও ভাবিনি কিন্তু বয়স হতে মৃত্যু আমার সব কিছুর এক বিরক্ততম অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন বিষয় যাকে না এড়িয়ে চলতে পারছি না মানতে পারছি।

রাতে যখন চোখ বন্ধ করি আর ঘুমানোর জন্য চেষ্টা করি তখন মৃত্যুর কথা আমার বেশি মনে পড়ে। যদি কারো কাছে আমি এই সব বলি, তারা উত্তরে বলে এসব নিয়ে যাতে আমি না ভাবি। মাঝে মাঝে হইতও ভুলেও যাই কিন্তু পর মুহূর্তে আবার আমাকে তাঁর ভয় আঁকরে ধরে।

সেদিন একজনের ব্লগে মৃত্যুকে জয় করার কথা পড়লাম। ভালো লিখেছেন তিনি কিন্তু তা সম্ভব নয় তা আমিও জানি আর যে লিখেছেন সেও জানেন। মৃত্যু এমন এক সর্তা যাকে মানতেই হবে যাকে সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব নয়। পৃথিবী এমন এক স্থান যেখানে অতিতের কথা বলা যায়, বর্তমানকেও বুঝা যায় তবে ভবিষ্যতকে বলা যায় না। যদিও ভবিষ্যৎবানী করা যায় তবুও তা পুরোপুরি সত্য কখনও হয় না। মৃত্যুকে জয় করা ঠিক সেই রকমই এক রুপকথা। যাকে কেউ সংজ্ঞায়িত করতে পারবে নয়তো নিশ্চয়তার সাথে তাঁকে জয় করার কথা বলতে পারবে।

মৃত্যুর সাথে যে জিনিষটা নিবিড় ভাবে সম্পর্কিত তা হলও ধর্ম। বিজ্ঞানের কাছে মৃত্যু এক প্রাকৃতিক নিয়ম তবে ধর্মের মাঝে এর গুরুত্ব অপরিসীম। ধর্ম বিশ্বাস মানুষের মাঝে মৃত্যুর জন্যই আছে আর তা রবে।


যদি আমি মৃত্যুকে প্রাকৃতিক নিয়ম ভাবি তবে তা কি ঠিক হবে। ঠিক হতও যদি জানা যেত মৃত্যুর পর কি হয় শিও আত্মার। কোথায় যায় পুরো পৃথিবীর সেকেন্ডে সেকেন্ডে মারা যাওয়া মানুষ গুলো। মানুষ তো শক্তির রুপান্তর দেখাতে পারে। আত্মার রুপান্তর কি কোনদিনও সম্ভব। যদিও পৃথিবীর অনেক মানুষ পূর্ণজন্মও বিশ্বাস করে। যদি তাই চিন্তা করি তবে পৃথিবীর জনসংখ্যা যে ভাবে বাড়ছে সেইদিক দিয়েও তা সম্ভব না।(পূর্ণজন্মও যারা বিশ্বাস করেন তাদের আমি আঘাত করছি না।আমি শুধু আমার মত তুলে ধরছি)


মানুষের ভিতরে দুধরনের মত কাজ করে। এক মত যা মানুষকে ভালো কাজ করার নির্দেশ দেয় আর অপরটি খারাপ কাজের। মানুষ যে কোন একটিকে কাজে লাগিয়ে ওনেক ভালো অথবা খারাপ হয়ে বেঁচে থাকে। যখন সে মারা যায় এই ভালো আর খারাপ কাজের ফলশ্রুতি হিসাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাঁকে মনে রাখে। যেমনঃ হিটলারকে খারাপ হিসাবে আর মাদারতেরেসাকে ভালো হিসাবে। তারা মারা গিয়েছেন অনেক আগেই। তবুও আমরা আজ তাদেরকে মনে রাখছি। ভবিষ্যতের মানুষও রাখবে।
তাহলে আমি আপনি কি দোষ করছি যে আমাদের মৃত্যুর পর কেউ মনে রাখছে না। হইতও ১০০ বছর আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের মনে রাখবে তারপর আমরা হারাব কালের স্রতে। এতো ক্ষুদ্র আমাদের জীবন।
বুঝ হতে লাগে ২০ বছর, পড়াশুনা শেষ করতে বয়স হয় ৩০ বছর, চাকরি জীবন শেষ করতে ৫০-৬০ বছর। মানুষের গড় আয়ু ৬০-৭০ বছর। বুড়ো হতেই স্বভাব হয় আবার শিশুর মতো। তারপর মৃত্যু, এইটাই কি প্রাকৃতিক নিয়ম। আপনি আপনার জিবনে যেঁসব ভালো খারাপ কাজ করলেন, যেগুলো সবার অগোচরে আছে সেগুলোর কি হবে। আপনি আপনার মনের সেই ভালদিক থেকে একটু চিন্তা করুন এইটা কি ঠিক হবে, এরকম হওয়াটা কি পুরো উদ্দেশ্যহীন নয়।
‘’আমরা সবাই জানি পৃথিবীর কোন কাজ উদ্দেশ্য ছাড়া ঘটে না’’ এটিকে বিজ্ঞানও মানে আর ধর্মও মানে। আপনার জন্মরও উদ্দেশ্য ছিলও তাই আপনি জন্মিয়েছেন।

আমরা বিজ্ঞানের জগতের মানুষরা প্রমান ছাড়া কিছু মানতে নারাজ। আমরা বিজ্ঞানকে নিয়ে এতই গর্বিত যে আমরা আজ সৃষ্টিকর্তাকেও ভুলে গেছি। আমরা নাস্তিকতার বিশ্বাসের মাঝে হারাচ্ছি(আমি কারো বিশ্বাস নিয়ে কথা বলছি না, শুধু জাহ ভাবি তা তুলে ধরছি)।
আমরা নাস্তিকতাতে বিশ্বাস করছি কারণ ‘’আমরা স্রস্টাকে নিয়ে ভাবি অথচও তাঁর সৃষ্টি নিয়ে ভাবি না’’।
যেই পড়ছেন আমার লিখা একটু ভাবুনতো (যদি আপনি নাস্তিকও হন কিছুক্ষণের জন্য স্রস্টাকে বিশ্বাস করুন), যে এই বিশাল মহাবিশ্ব চালনা করছেন, যে পৃথিবী এতো হাজার হাজার সুত্র দ্বারা চালনা করছেন, যে আড়ালে থেকেও এতোটা সূক্ষ্মতার সাথে সবকিছু চালনা করছেন......আমাদের কতটুকু ক্ষমতা আছে ‘’আমরা তারই সৃষ্টি হয়ে তাঁর(স্রস্টা কিভাবে সৃষ্টি হয়েছেন) তাঁকে নিয়ে চিন্তা করি।
যেখানে আমাদের জন্মের পর অন্যদের সঙ্গও ছাড়া বাঁচতে পাড়ি না। পৃথিবীর সব জিনিষের উপর নির্ভরশীল। স্রস্টার তৈরি পৃথিবীর খাবারপানি ছাড়া আমরা বাঁচতে পাড়ি না। অদৃশ্য অক্সিজেন ছাড়া আমরা ১ মিনিটের বেশি বাচা সম্ভব না।
তাহলে কোন হিসাবে এতো সংক্ষিপ্ত জ্ঞান নিয়ে আমরা স্রস্টাকে নিয়ে ভাববো। আর যদি ভাবিও তবে সঠিক উত্তর আমরা কোনদিনও পাবো না। একটা মানুষ যদি মহাবিশ্বও নিয়ে ভাবতে থাকে তাহলে সব দেখতে দেখতে সে পাগল হয়ে যাবে। তাঁর মস্তিষ্কও এতো কিছু নিতে পারবে না। আর সেই বৃহৎ মহাবিশ্বর মালিকে নিয়ে ভাবে তো তাঁর কি হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×