somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল-আমিন
ঢাকার এই ব্যাস্ত নগরীর আমি এক ক্ষুদ্র পথচারী , লিখা লিখি করার ভীষন ইচ্ছা । তাই নিজের কথা গুলো তুলে ধরতে্‌ আমি ব্লগে লিখা লিখি শুরু করলাম।আমি আল-আমিন । মধ্যবৃত্য পরিবারের আমি সন্তান। স্বপ্ন তো সবাই দেখতে পারে । তাই আমিও দেখছি।

বেলা অসমাপ্তই থাকলো

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পিচ ঢালা গরম রাস্তায় দাড়িয়ে এতো এতো মানুষের ভিড়ে নিজে কে, কি ভাবে প্রমান করি? কথা বলতেই সব আমার বিপরীতে চলে যায়। পর মুহূর্তে কথা বলার মানুষটিও পাই না। তখন আমার সাথী আকাশের দিকে তাকিয়ে নিজের সাথে কথা বলি। কত সুখী মনে হয় তখন। কোন তর্কও করে না আমার বোকা মনটা।
প্রতিটা দিন সকালে যখন হাঁটতে বেড় হই, পরিবেশটা কত রোমাঞ্চওকর মনে হয়। মনে হয় কিছু একটা আমার সাথে নেই। পর মুহূর্তে মা ফোন থেকে ফোন আশে, -কিরে তুই ঘুম থেকে উঠছিস।
-হাসতে হাঁসতে, মা কটা বাজে।
-মা ফোন কেটে দেয়।
তারপর রুমে এসে, এক প্যাকেট লুডুস আর ডিম।এক খাবারে একাকার অবস্তা। তারপর নয়'টা বাজতে ব্যাগটা ঘারে নিয়ে বিজয়সারনির মড়ে। হয়তও বাস পাবো না। হাটা শুরু আর একা একা কথা বলা। মহাখালী চলে আশে। তারপর দৌরে গিয়ে বিআরটিসি তে। ৫ মিনিটের রাস্তায় তবু ২০ মিনিটের বেশি লাগে।

অবশেষে বাস নামিয়ে দেয় বনানী তে। অভার ব্রিজে উঠবো ঠিক তখন মধ্যবয়স্ক এক লোক। মামা লাগবো নাকি, পার সর্ট ৩০০ টাকা। মুখে একটা হাসি দেখিয়ে উঠে যাই ব্রিজে। কত রকমের চাকরি মানুষ করে এই ঢাকা শহরে।ভার্সিটি গিয়ে দেখবো সব ফ্রেন্ড আমার আগে চলে এসেছে। আমি সেদিনও লেট আর ল্যাব রিপোর্ট করে আনি নি। ক্লাস শেষ করে আবার বাসের জন্য দাড়িয়ে। কোন মতো উঠে গিয়ে একটু দাড়াতেই দেখি সামনে এক মেয়ে তাকিয়ে আছে। চেহারা মোটা মুটি ভালো। এরপর বার বার চোখে চোখ রাখার চেষ্টা। নিজেকে নিজের মাঝে লুচ্চা মনে হয় সে সময়। পড়ে হাসি দিয়ে আকর্ষিত করার চেষ্টা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে আবার জ্যাম। তাই বাধ্য হয়ে সেখানেই নামতে হয়। চোখে চোখে লিখা কাব্য সেখানেই সমাপ্ত।
বাসায় ঢোকার আগে চ্যাঁয়ের দোকানে বসে একটা সিগারেট আর লাল চা। সামনে সামনে দিয়ে গাড়ি চলছে। চোখ আমার গাড়ির চাকায়। শুধু দৌড় আর দৌড়। আমি চিন্তা করছিলাম চাকার সাথে আমার অমিল কোথায়। আছে আছে, আমি মানুষ।

বিজয়সারনি মড়ে আবার জ্যাম। এক পুচকি ফুল বেচছে। পুচকি মেয়েটি কখন আমার পাশে আসছে টের পাই নি। আস্তে করে বললও- ভাইয়া একটা ফুল নিবেন। আমি বললাম আমি ফুল দিয়ে কি করবো। আপারে দিবেন।
আমি বললাম আপা তো নাইরে। পুচকি মেয়েটির উত্তর রেডি। তাইলে মায়েরে দিবেন।

নিলাম ফুলটি দশ টাকা দিয়ে। অতি সুন্দর হাসি দিয়ে চলে গেল।

বেলা তখনও সন্ধ্যা নামে নি। বাবা-মা ছেড়ে এক অচেনা জায়গায় পড়ে আছি নিজের জগত গড়তে। মাকে কিভাবে ফুলটা দেই। বাসায় নিয়ে আসলাম, ফুলটি আজ শুকিয়ে গেছে।
মনে হচ্ছে বেলা আমার অসমাপ্তই থাকছে। সুখ গুলো মরে গেছে।
কাল আবার দিন শুরু হবে এক অসমাপ্তও বেলার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×