কেমন হবে সেই সময়, যখন নিরব হবে সব কিছু, থেমে যাবে ঘড়ির কাঁটা, বাঁচার জন্য মন ব্যাকুল হয়ে উঠবে।
ভেসে উঠবে পূর্বের সব সৃতি , গলার আওয়াজ কমে যাবে, খিদে চলে যাবে, শুধু পানির তৃষ্ণায় গলা ফেটে যাবেতবুও এক ফোটা পানি গলা দিয়ে নামবে না। পাশে বসে থাকবে মা, বাবা অথবা প্রিয়তমা স্ত্রী।
এইটা সেই সময় যাকে কল্পনা করা যায় না, তবে অনুভব করা যায়। অনুভব করা যায় সেই ভাবে, যে ভাবে মুখে হাত দিয়ে নিশ্বাস বন্ধ করলে যে রকম মনে হয়।
আসবে আসবে, সবারই সেই সময় আসবে। যাকে অবহেলা করে বসে বসে আমি প্রিয়তমা তোমার কথা ভাবছি। যখন সেই সময় আসবে কেউ হয়ত জানবে না, জানবে না আমার বাবা মা, সবার অগচরে থাকবো আমি।
আমি সেই শেষ প্রান্তের কথা বলছি, জুক্তির উপড়ে সেই শেষ প্রান্তও। অপূর্ব পৃথিবীর রুপক বাস্তব শেষ প্রান্তও। অদৃশ্য শেষ সময়। যা সবার কাছে আসবে। আমার আপনার অথবা পৃথিবী শাসন করা রাজারও।
জুক্তির উপর আমি, আমি কবিতা লিখি, আমি নেশায় হাঁরাই অথবা যৌবনের সেই খুদায় হারিয়ে যখন আমি শেষ প্রান্তে অথবা যখন সব সমাপ্তও এখন হয় নি তখনও আমার শেষ প্রান্তের কথা মনে পড়ে।
সবাই বলে আমি আধ্যাত্মিক চিন্তায় মগ্ন, তবে বাস্তব বাদি মানুষ কেনও এই চরম বাস্তবকে মানতে নারাজ। কেন যখন মনে পড়ে এসব, তখন কথা ঘুরাতে চেষ্টা করে? তখন হয়ত আকাশের চাদকে দেখে চোখের এক ফোটা জল ফেলে। কেউ দেখে না, সূর্য উঠতেই আবার সেই আগের পথে ফিরে আশে।
কেন গাঁজার নেশায় পাগল হয়ে আল্লাহকে না ভেবে লালন ফকিরের গান শুনে। গাজা খেয়ে যদি আল্লার কথা মনে পড়ে তবে ভোলার জন্য আরও জোরে কলকিতে টান দেয়।
সময় তো শেষ হবে একদিন, একথা ভাবে একটা কীট পর্যন্ত।
আমি দাড়িয়ে আছি, সেই রাস্তায়, হয়তো রাস্তা শেষ হবে। যদি আমি আমার মনের কথা আজ না লিখি তবে তা অগচরেই থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৪