somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রিয় ব্লগার আসুন নিজেরাই সতর্ক হই। নোংরামি নোংরাদের কাজ

১৫ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি কয়েকদিন হলো জেনারেল হয়েছি। হওয়ার পরপরেই আমার অনেকদিনের ইচ্ছানুযায়ী একটা দাবিমুলক পোষ্ট দিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য মাত্র কয়েকটি কমেন্ট পেয়েছিলাম। হতে পারে আমি নতুন এজন্য অথবা সবাই আমাকে পাগলও ভেবে থাকতে পারে। তারপরেই বেশ কয়েকজন ব্লগার তাদের মতামত দিয়েছেন। অবশ্য রি-পোষ্টও দিয়েছিলাম। সবার মতো আমারও ইচ্ছে করে অনেক কমেন্ট ও আলোচনা/সমালোচনা করতে ও পেতে। সেই অর্থে আমার পোষ্টটি বাজারদরে মার খেয়েছে বলা যায়। যারা আগের পোষ্টি পড়েছেন তারা জানেন সেটি ছিল ব্লগের পরিবেশ সুস্থ করার জন্য সামু'র প্রতি একজন সাধারন ব্লগারের আর্জি। অতীব দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, সামু হয়ত পাত্তাই দেয়নি। কারন মডুদের পক্ষে কোন কমেন্ট নাই।

সেখানে আমার কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানিয়েছিলাম, মুক্ত মত প্রকাশের তীর্থভূমি এই ব্লগকে নির্ভেজাল রাখতে, অনলাইন মিডিয়াকে কোনরকম আইনের আওতায় যাতে সরকার নিতে বাধ্য না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হিসেবে সকল ব্লগীয় সংঘাতের গোড়া খুজে বের করুন। কারন আমি মনে করি সংকটের গোড়া খুজে বের করে সেখানেই আঘাত করতে হবে
একজন ব্লগারকে উত্তরে লিখেছিলাম বাংলাদেশের চিত্রটা ব্লগে এলেই দেখা যায়। সরকার রুপে ব্লগ কর্তৃপক্ষ এবং জনগন রুপে ব্লগার। মিলিয়ে দেখুন সত্যিই দেখা যায়। আজও একথার পুনরাবৃত্তি করতে আমার একটুও দ্বিধা নাই।
কারন আজ বাঙালি ও বাংলা ভাষাভাষীদের একটি স্বতন্ত্র আবাস ভুমি প্রতিষ্ঠায় যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই সাহসী পুরুষের মৃত্যু দিবস। আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরন করছি ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুসহ শহীদ সকল সদস্যকে। তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
অনেকেই সেই ভয়ংকর হত্যাকান্ডকে নিয়ে তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট দিয়েছেন।
অপরদিকে আজ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন। অবশ্য এই বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক চলছে। প্রথম বিতর্ক সত্যিই জন্মদিন ১৫ আগস্ট কিনা, অনেকেই ফেবি/ব্লগে সম্ভাব্য তিনটি জন্মতারিখ সমেত দলিল দস্তাবেজও হাজির করছেন এবং অতীতেও করেছে। দ্বিতীয় বিতর্ক যদি হয়েই থাকে তাহলে সেটা ঘটা করে পালন করাটা কতটুকু মানবিক ও যৌক্তিক। আমার উদ্দেশ্য সেই বিতর্কে অংশগ্রহন করা নয়। যদি বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন সত্যিই হয়ে থাকে তাহলে শুভেচ্ছা জানাই।

বাংলাদেশে ক্রিয়াশীল সকল রাজনৈতিক দলের অনুসারীই হয়ত সামুতে ব্লগিং করেন। কাজেই তারা তাদের রাজনৈতিক আদর্শ চর্চা ও প্রচারের পক্ষে লেখালেখি করবেন। অনেকেই তাদের সাবেক ও বর্তমান নেতানেত্রীদের কিংবদন্তীতে পরিনত করবে এটাই স্বাভাবিক। কারন এই চর্চা পৃথিবীতে সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই হয়ে আসছে। তাতে আমার কোনোই আপত্তি নেই। কখনো বিরক্ত লাগলেও সেটা অপ্রকাশিতই রাখার চেষ্টা করবো।

আমার ধারনা শুধু আমি নই আমার মতো অনেকেরই সমস্যা বা বিরক্তি অন্য বিষয়ে। সেটি হলো যে বা যারাই তাদের পক্ষে পোষ্ট দিয়ে থাকুক সেটাকে সম্মান করতে না পারি ব্যঙ্গ, ঝগড়া বা গালাগালি করবো কেনো? কারো কোন পোষ্ট ভালো না লাগলে সেখানে গালাগালি করার দরকারটা কী? কোন কমেন্ট না করলেই হয়। তাহলে তো অন্তত আমাদের রুচির একটা পরিচয় পাওয়া যায়।

অনেকেই বলতে পারেন, আমি ব্লগের পরিবেশ নিয়ে এত কাউমাউ করছি কেন? আমার সোজা উত্তর, ব্লগের যে পরিবেশ এবং যে অসহনশীলতা অনেকের মধ্যে দেখি সেটা খুবই লজ্জাকর ও ভয়ংকর। কারন অন্যকোন বিষয়ে লিখলেও সেই লেখার নিরাপত্তা নিয়ে হুমকি বোধ করছি।

কারন সত্য এমনিভাবে সত্য যে সেটা শুধু দিন দিন শত্রুর সংখ্যাই বৃদ্ধি করে। তাছাড়া ব্যক্তি, সমাজ ও দেশ নিয়ে কিছু লিখলে সেটা কারো না কারো পক্ষে যাবেই। তখন নিশ্চয়ই আরেকপক্ষ গালাগালি শুরু করবে। আমাদের দেশের সকল রাজনীতিকরা গালি দেয় সুশীলদের আবার সুশীলরা রাজনীতিকদের সহ্য করতে পারেনা। আমি খেয়াল করে দেখেছি ব্লগেও সেটা বিদ্যমান। আরও রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হিতাকাংখী ব্লগার, আস্তিক, নাস্তিক, মৌলবাদী, জঙ্গী এরকম দেশে যত শ্রেনীর মানুষ রয়েছে সম্ভবত সকল শ্রেনীর প্রতিনিধি এখানেও রয়েছে। আমার পক্ষ থেকে সবার প্রতিই নিবেদন, আপনারা যা খুশি লিখুন কিন্তু শালীনতার মধ্যে লিখুন। আলোচনা/সমালোচনা করুন কিন্তু গালাগালি পরিহার করুন। সত্য বলুন এবং অপরের সত্যকে মেনে নিতে শিখুন।
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, আমাদের বন্ধুদের মধ্যে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, বামদল প্রভৃতির বন্ধুরাও ঘরোয়া আড্ডায় অনেক সত্যই স্বীকার করেছেন এবং মেনেও নেন। কিন্তু আবার তাদেরকেই দেখেছি দুপুরে অপরাজেয় বাংলায় বা বটতলায় সমাবেশে অন্য পার্টিকে তুলোধুনো করতে। আবার সন্ধ্যায় একত্রে আড্ডা দিয়েছে। জাতীয় রাজনীতিতেও দেখা যায়, আত্মীয়তা, দাওয়াত ইত্যাদিতে সকল দলের নেতাদের একত্রে। সেখানেও হয়ত ঘরোয়াভাবে তারা অনেক সত্যই স্বীকার করেন। রাজপথে আবার মিথ্যাচার করতেও পিছপা হন না।
কিন্তু ব্লগে এখনো একজনকেও পাইনি, যে সত্য স্বীকার করতে পারে।

এজন্যই সচেতন ব্লগারদের প্রতি আবেদন, আমরা কারো অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে না পারলেও যেন অন্যায়কে উসকে না দেই। যেসব পোষ্টে গালাগালি হয় সেগুলো এড়িয়ে চলি। তাহলে হয়ত সেই সব ঝগড়াবাদী মহান ব্লগারের 'থামাইলে থামা নইলে নিজেই থেমে গেলাম' এভাবেই থেমে যাবে। পাশাপাশি সামু কর্তৃপক্ষের নিকট আগের দাবীটিও পুনরায় জানিয়ে গেলাম।
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×