
সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”
একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?
যেদিন দেশ জঙ্গিদের দেওয়া আগুনে পুড়ছিল,
যেদিন ঘরবাড়ি, উপাসনালয়, মানুষের জীবন নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছিল—
সেদিনও আপনারা সেই আগুনকে “বিক্ষুব্ধ জনতার ক্ষোভ” বলে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
আজ যখন আপনাদেরই দেবালয় পুড়ে ছাই,
আজ কী বলবেন?
আজও কি সেটাকে “ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ” বলবেন?
ডেইলি স্টার-এর সম্পাদক মহোদয় একসময় কলাম লিখে বলেছিলেন—
“আপনি যাবেন না ইউনুস ভাই, গেলে সব শেষ হয়ে যাবে।”
আজ যখন বাস্তবতা ভিন্নভাবে দাঁড়িয়ে গেছে,
আজ কি আবার কলাম লিখে সেই একই কথা বলবেন?
নাকি এবার নীরবতাই হবে আপনার সম্পাদকীয় অবস্থান?
নিউ এজ-এর সম্পাদক সাহেব,
স্বৈরাচারী আচরণ, মব জাস্টিস আর সন্ত্রাসী ফ্যাসিবাদের সংজ্ঞা কি এবারও বদলাবে না?
এবার তো এদের বলা হচ্ছে “বিপ্লবী”—
তাই কি এদের সব কর্মকাণ্ডই বৈধ হয়ে যায়?
টক শোতে গিয়ে কি এবারও বলবেন—
“এগুলো বিপ্লবী কর্মকাণ্ড”?
---
জনাবগণ, আমার আজ সত্যিই কিছু প্রশ্নের উত্তর জানার খুব প্রয়োজন আছে—
1. আগুন যদি ক্ষমতার পক্ষে লাগে, তখন কি তা বিপ্লব—আর বিপক্ষে লাগলে তা সন্ত্রাস?
2. মানবাধিকার কি কেবল পছন্দের মানুষের জন্য, নাকি তা সার্বজনীন?
3. সংবাদমাধ্যম কি ক্ষমতার ভাষ্য বৈধ করার যন্ত্র, নাকি জনগণের বিবেক?
4. আপনারা কি ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে পারবেন—আপনারা সত্যের পক্ষে ছিলেন?
5. নাকি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পড়বে—এই সময়েও কিছু সংবাদমাধ্যম নির্বাক দর্শক ছিলো! কেউ কেউ সহযোগী॥
আমি শুধু একজন নাগরিক—
যে জানতে চায়,
দেশ জললে আসলে আপনারা কোথায় দাড়ান?
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





