বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও চট্টগ্রামের মেয়র এম মনজুর আলম।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অঙ্গীকার করেন। পাশাপাশি তিনি বঙ্গবন্ধুকে ‘জাতির পিতা’ বলে উল্লেখ করে তার হত্যার দিনটিকে ইতিহাসের কলংকজনক অধ্যায় আখ্যা দেন।
মেয়র বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমাদের দায়িত্ব হবে, দেশকে একটি সুখি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করে, জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণ করা। আমাদের জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যেতে হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা যদি সত্যিকারের সোনার বাংলা গঠন করতে পারি তাহলে জাতির পিতার আত্মা শান্তি পাবে। আর এর মাধ্যমেই আমরা এ মহান নেতার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারব।”
মেয়র বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করে। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এটি এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।’
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কে বি আব্দুস সাত্তার মিলনায়তনে প্যানেল মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হোসেনের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় চসিকের সচিব মো. সামশুদ্দোহা এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি দোস্ত মোহাম্মদ বক্তব্য রাখেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এবং সভায় উপস্থিত কাউন্সিলরদের সূত্রে মেয়রের এ বক্তব্য পাওয়া গেছে।
আলোচনা সভার আগে চসিকের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের স্মরণে খতমে কোরআন ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সমর্থনে চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর কাট্টলী থেকে পরপর তিনবার সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন মনজুর। তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে তিন মেয়াদে তিনি টানা ৩২ বার ভারপ্রাপ্ত মেয়রেরও দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর গত ওয়ান-ইলেভেনের সময় রাজনৈতিক গুরু এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী কারাগারে গেলে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্কের সুবাদে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পান এম মনজুর আলম।
মূলত জরুরি অবস্থার সময় এম মনজুর আলমের বিভিন্ন কর্মকা- নিয়ে মহিউদ্দিনের সঙ্গে তার দূরত্বের সৃষ্টি হয়। মহিউদ্দিন কারাগার থেকে বের হবার পরও সম্পর্ক তিক্তই থাকে। এর এক পর্যায়ে ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে এম মনজুর আলম বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে বিএনপিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে চট্টগ্রাম-৯ আসনে দলটির মনোনয়ন চান।
মনোনয়নবঞ্চিত মনজুর এসময় স্বত্যন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনও করেন এবং জামানত হারান। এরপর কিছুদিন চুপ থেকে ২০১০ সালে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় বিএনপি-জামায়াত তাকে মেয়র পদে সমর্থন দেয়। নির্বাচনে মহিউদ্দিনকে প্রায় ৯৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মনজুর মেয়র নির্বাচিত হন।
সম্প্রতি এম মনজুর আলমকে দলের সহ-সভাপতির মর্যাদায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে মনজুরকে বিএনপির রাজনীতিতেও সক্রিয় করা হয়।
মনজুরের বর্তমান দল বিএনপি বঙ্গবন্ধু হত্যার দিনটিতে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে কোন কর্মসূচি পালন করে না। এমনকি এদিন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন করা হয়।
এম মনজুর আলম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির পিতা’ উল্লেখ করলেও তার দল বিএনপি সেই স্বীকৃতি মানে না বলে এ দলের নেতারা বিভিন্ন বক্তব্য-বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।
সুত্রঃ বাংলানিউজ১৪ডটকম Click This Link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




