যখন আবিস্কার করলুম বড়ো হয়ে গেছি, বুঝলাম পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মত একখান গোটা জীবন রয়েছে হাতের মুঠোয়.... তখন বেশ মজা পেয়েছিলাম। চারপাশে রূপ, রস, বর্ণ, গন্ধের ছড়াছড়ি। কোনটা ছেড়ে কোনটার আস্বাদ নিই ! ততক্ষণ দিন কাটছিলো সুখে যতদিনে চিনতে শিখলাম এ মাটিতে বাঁচা মানেই আপোষ করে! সময় পেরিয়ে গেছে বেশ কিছু আবর্তন তখন। সে চিনিয়ে দিলে টিকে থাকার পথ। আর কানে কানে বললে যদি বাঁচতে চাও তো গোল্লায় যাও। তোমার সাথে কোন সহচরবৃত্তি নেই। বুঝলাম বেঁচে থাকতে চাইলে এই হয়ে উঠবে আমার প্রবল প্রতিপক্ষ। সেই শুরু.....।
আজ প্রবল পরাক্রমে যখন আকাশবাড়ির একচিলতে কোন, সুখের হরেকরকমবা আয়োজন, সমস্ত পাহাড় করে রাখা স্বপ্ন আমাকে আড়াল করে নির্জনে, সে এসে দাঁড়ায় সামনে। হাসে। আমি নক্আউট হয়ে যাওয়া খেলোয়াড়ের মতো হতঃশ্বাস হয়ে ঘাড় গুঁজে দ' হয়ে থাকি। আর লিখি। দিস্তা দিস্তা কাগুজে স্বপ্ন। বাতিল হয়ে যাওয়া অভিমান। অক্ষম আক্রোশ। ...........
সময়। আমার একমাত্র নেশা। আমার একমাত্র উত্সন্নতা। আমার একমাত্র প্রেম। আমার অনতিক্রম্য প্রতিদ্বন্দী। কোন একদিন আসবে, অবশ্যই আসবে, আমি ওর বুকের ওপরে উলঙ্গিনী নৃত্য করবো। আমার আকাশবাড়ির মাটির নাগালছাড়া ছাদ থেকে জড়িয়ে ধরবো ওকে, আশ্লেষে মিশিয়ে ফেলবো আমার কবিতায় খাতায়। সেদিন চাঁদ হলুদ হয়ে উঠবে। সোঁদা মাটির গন্ধ উঠে আসবে সাজানো সংসারে। ডিমের খোসার মতো খুলে যাবে স্বাচ্ছন্দ্যের পরকীয়া আস্তরণ। আমি উন্মুক্ত হবো রেললাইনের ধারের বস্তিতে। নোংরা, কাদামাখা কটুগন্ধময় গর্ভিনীর জঠরে। সেইদিন আবার লিখবো জয়বার্তা। সন্মুখসমরে আহ্বান করবো ওকে অনন্ত বিশ্বাসে। তারপর....... আবার মিলিয়ে যাবো ওর সঙ্গে - কোন এক রাত্রিভোর সংগ্রামের মানচিত্রে।