সূত্র আমাদের সময় ২৭/১২/২০১০View this link
৫৭ কোটি টাকার জন্য ঠেকানো যাচ্ছে না রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ
মিয়ানমার সীমান্তে অরক্ষিত ৩০ কিমি এলাকা
নজমূল হক সরকার: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকা অরক্ষিত থাকায় ঠেকানো যাচ্ছে না অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের। অভিযোগ রয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকে নাফনদী তীরবর্তী বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধটি সীমান্তরক্ষীদের টহলের একমাত্র সড়ক হলেও এটি সংস্কারে বরাবরই উদাসীন সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. গিয়াসউদ্দিন আহমেদ বাঁধটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারে ৭ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেন। ওই চিঠির সাড়া দিয়ে ২১ ডিসেম্বর বাঁধটি দ্রুত নির্মাণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানায়। বাংলানিউজ
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. গিয়াসউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাঁধটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী নিয়মিত টহল দিতে পারছে না। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছি।’ ডিসি জানান, এ বাঁধ নির্মাণে মাত্র ৫৭ কোটি টাকার প্রয়োজন। বাঁধটি দ্রুত চলাচলের উপযোগী করে সংস্কার করা প্রয়োজন। রাস্তা মেরামত না করে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সংখ্যা বাড়িয়ে কোনো লাভ হবে না।’
ডিসির লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, টেকনাফ জেলার নাফ নদী সংলগ্ন সুদীর্ঘ ৬০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিডিআর-এর ৮টি বিওপি রয়েছে। চিঠিতে আরো বলা হয়, টেকনাফ উপজেলার তিনদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৯৭৩ সালের নির্মিত ৬৮ নং পোল্ডার অবস্থিত। এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২৯ দশমিক ৯৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৩১