somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুই শরর্ণাথী শিবিরে প্রায় ৩ লক্ষাধিক অবৈধ অনুপ্রবশেকারীদের অপরাধ বড়েইে চলছে

২২ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সুত্রঃ Click This Link

আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি
আবদুর রহিম সেলিম, উখিয়া

কক্সবাজারের দু’রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার ভারে নুয়ে পড়েছে। এর ফলে পুরো শিবির এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন সমস্যা। একদিকে রোহিঙ্গা শিবিরে বিরাজ করছে দ্রারিদ্র, ক্ষুধা, অপুষ্টিজনিত সমস্যার সঙ্গে যোগ হচ্ছে অবকাঠামোগত সমস্যা। বিশেষ করে উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী শিবির অভ্যন্তরে রয়েছে যাতায়াত, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন সংকট, পুলিশ ফাঁড়ি ও জনবল সংকটের মুখে পড়ে এক প্রকার ত্রাহি অবস্থায় পড়েছে। কুতুপালং শরনার্থী শিবির ইনচার্জ মীর শওকত আলী সাংবাদিকদের বলেন, জনসংখ্যা নিরূপনে সরকারী ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা পরিবার পরিকল্পনার উপর কাজ করে যাচ্ছে। শরনার্থীদের অসাবধানতার ফলে দ্রুত জনসংখ্যার বিস্তার হচ্ছে। শরনার্থীদের বহুমুখী সমস্যার ব্যাপারে শিবির ইনচার্জ মীর শওকত আলী আরো বলেন, শরনার্থীদের আবাসিক সংকট উত্তরণের জন্য তাদের প্রয়োজনে শেড নির্মাণ করা হয়েছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে ম্যাডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষার জন্য প্রতিটি ব্লকে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়া কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে রয়েছে ২লক্ষাধিক অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। বিশেষ করে শিবির অভ্যান্তরে কোন কাজ কর্ম না থাকায় এমনকি তালিকাভুক্ত শরনার্থী না হওয়ায় তারা রেশন পাওয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছে। যার ফলে রোহিঙ্গারা ক্ষুধার জ্বালা সইতে না পেরে এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই সহ নানা ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে। অপর দিকে টেকনাফের নয়াপাড়া শরনার্থী শিবিরে রয়েছে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সহ প্রায় আড়াই লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গারা কোন কাজ কর্ম না থাকায় গ্রামে গঞ্জে ঢুকে বিভিন্ন বাসা বাড়ীতে দিন মজুর হিসাবে কাজ করে থাকে। কাজ না পেলে ক্ষুধার জ্বালায় বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের দিকে পা বাড়ায়। যার ফলে দিন দিন উখিয়া টেকনাফের আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে উখিয়া টেকনাফের শরনার্থী শিবিরে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। ফলে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। রোহিঙ্গা শিবিরের জনসংখ্যার অস্থিরতার প্রতিফলন বন্ধ না হলে অচিরেই রোহিঙ্গাদের কবলে পড়বে উখিয়া টেকনাফ। জীবিকার সন্ধানে রোহিঙ্গার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছুটে চলার কারণে জনসংখ্যার দিক থেকে উখিয়া টেকনাফ হয়ে পড়েছে ভারসাম্যহীন। আর এ নীতিবাচক প্রভাবের শিকার হচ্ছে উপজেলার হাজার হাজার মানুষ।

অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা দলে দলে দেশে প্রবেশ করে কুতুপালং শরনার্থী শিবির ও টেকনাফের নয়াপাড়া শিবির এলাকার আশপাশে সরকারি সংরক্ষিত বনাঞ্চল উজাড় করে নির্বিঘেœ চিকন পাতার গাছ নিধন করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় এসব অবৈধ রোহিঙ্গারা বনাঞ্চল উজাড়ের পাশাপাশি দখল করে নিয়ে বনা বিভাগের জায়গা বেচা-বিক্রি করে যাচ্ছে। ২০০৯ সালে উখিয়া সদর বিটের আওতায় কুতুপালং শরনার্থী শিবিরের পশ্চিম পাশে সৃজিত আগর বাগানের ছোট ছোট কচি প্রায় ১ লক্ষাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলে এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হাসু মিয়া সওদাগর জানান। কিন্তু বন বিভাগ এখনো সংশ্লিষ্ট উপকারভোগীদের হাতে দলিল হস্তান্তর করে নাই। এ নিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন উপকারভোগী জানান, বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সুষ্ট ভাবে বরাদ্ধকৃত আগর প্লটের দলিল হস্তান্তর বিষয়টি কেন বন বিভাগ ঝুলিয়ে রেখেছে তা নিয়ে উপকারভোগী উদ্বিগ্ন। উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহ জালাল বলেন, বন বিভাগের জায়গার উপর সরকারের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। গাছ কাটার খবর পেলেই দ্রুত অভিযানে যাচ্ছি। উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট শাহ জালাল চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গারা উখিয়া টেকনাফ বাসীর জন্য বিষপোঁড়া হয়ে দাঁিড়য়েছে। তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:০০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×