২৪৭৯৭ রোহিঙ্গার ফেরত যাওয়া অনিশ্চিত
বিশ্বের আটটি দেশে ৭৫৬ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী পুনর্বাসিত হয়েছেন। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ছাড়পত্র দেয়ার পরও ১০ হাজার ১০৪ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে দেশটি পাঁচ বছর ধরে ফিরিয়ে নিচ্ছে না। আরও ১৪ হাজার ৬৯৩ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীর নাম, ঠিকানা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে চার বছর আগে দেয়া হয়েছে যাচাই করে ছাড়পত্র দেয়ার জন্য। দীর্ঘ সময়েও তারা এদের ব্যাপারে ছাড়পত্র দিচ্ছে না। জানা যায়, কানাডায় ১৭৯ জন, যুক্তরাজ্যে ১০৯ জন, নিউজিল্যান্ডে ২৩ জন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬১ জন, নরওয়েতে ৪ জন, আয়ারল্যান্ডে ১২৯ জন, সুইডেনে ১৯ জন ও অস্ট্রেলিয়ায় ৩৩২ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় লাভ করেছেন। তারা সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগ পেয়েছেন। ১৯৯১ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৯২ সালের জুন পর্যন্ত ২ লাখ ৫০ হাজার ৮৭৭ জন রোহিঙ্গা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের নির্যাতনে সে দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এ পর্যন্ত ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৯ জনকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ফিরিয়ে নিয়েছে। অবশিষ্ট ২৪ হাজার ৭৯৭ জন উখিয়ার কুতুপালং ও টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরে রয়েছেন। এদের মধ্যে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী ১০ হাজার ১০৪ জন শরণার্থীর নাম, পৈতৃক ঠিকানা তাদেরকে সরবরাহ করা হয়। তালিকা যাচাই-বাছাই করে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাদের ফেরত নেয়ার কথা। তারা বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু যাচাই করা তালিকা অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ফেরত নিচ্ছে না। যাচাই করার জন্য দেয়া তালিকার ভিত্তিতে যাচাই কাজও করছে না।
এদিকে রেজিস্ট্রিকৃত এই রোহিঙ্গাদের ছাড়াও কুতুপালং ক্যাম্পের কাছে প্রায় ৪০ হাজার, লেদা ক্যাম্পে ১৩ হাজার ৬২৪ জন এবং নয়াপাড়া ও কুতুপালং ক্যাম্পে ৪ হাজার ২৩৩ জন রোহিঙ্গা অবৈধভাবে অবস্থান করছে।
এদের ছাড়াও লক্ষাধিক রোহিঙ্গা কক্সবাজার, চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। অবৈধ প্রক্রিয়ায় এদের অনেকে ভোটারও হয়েছেন। সামাজিক অপরাধ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন এরা। স্থানীয় প্রশাসন এদের নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছে। মিয়ানমারের এই শরণার্থীদের ফিরিয়ে আনার জন্য মিয়ানমার থেকে অভ্যন্তরীণভাবেও চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। দেশটিতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ এলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আশা করছেন। আঞ্চলিকভাবেও চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে সরকার।
সুত্রঃ Click This Link
শনিবার, ০৫ মার্চ ২০১১