somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বানরেরা যে কারণে কথা বলতে পারে না

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


তোতাপাখির শব্দভাণ্ডারে ১০০+ শব্দ থাকতে পারে। Kosik নামের হাতিটি অল্প একটু কোরিয়ান ভাষা বলতে পারে। আশ্চর্য যে আমাদের সবচেয়ে কাছের প্রজাতি বানর ও শিম্পাঞ্জি কথা বলতে পারে না। তারা কেবল একটু আধটু কিচির মিচিরেই সীমাবদ্ধ থাকে। কয়েক দশক ধরেই বিজ্ঞানীরা বানরের কথা বলার অক্ষমতার জন্য কণ্ঠনালীর গঠনকেই দায়ী করছে।

কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে বানর ও কাছাকাছি গোত্রের প্রাণিগুলোর কথা বলার অক্ষমতার জন্য দায়ী তাদের মস্তিষ্ক। তাদের মস্তিষ্ক কথা বলার জন্য যথাযথভাবে গঠিত হয়নি।
গবেষণায় প্রমাণিত যে বানরের কণ্ঠনালী কথা বলতে অনেক বেশি সক্ষম যতটা আগে ভাবা হতো। বলেছেন জন এসলিঙ, একজন ভাষাতাত্ত্বিক ও ধ্বনি বিশেষজ্ঞ, ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডা।

গবেষণার প্রধান নেতৃত্বদানকারী, Willium Tecumseh Sherman Fitch III, একজন বিবর্তন জীববিজ্ঞানী, বলেছেন যে, বানরেরা কেন কথা বলে না, এই প্রশ্ন ডারউইনের আমল থেকেই। ডারউইন ভাবতো মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রজাতি গুলোর মস্তিষ্ক কথা বলার জন্য উপযুক্ত নয়। কিন্তু পরবর্তীতে নৃতত্ত্ববিদরা বলেন যে প্রাণিগুলোর কথা বলার অক্ষমতার জন্য দায়ী তাদের কণ্ঠনালীর গঠন। কণ্ঠনালীগুলো যথেষ্ট নমনীয় (ফ্লেক্সিবল) না হওয়ায় প্রয়োজনীয় শব্দতরঙ্গ উৎপন্ন হয় না। বর্তমানের পাঠ্যবইগুলোতে এই কারণটিই দেয়া আছে।

ফিচ এবং তার সহগবেষক আসিফ গজনফর (নিউরোসাইন্টিস্ট@প্রিন্সটন ইউনি) বলেন যে ডারউইনই ঠিক বলেছিলেন। প্রাণিগুলোর মস্তিষ্ক অপরিপক্ব হওয়ায় তারা কথা বলতে পারে না।
তারা একটি বানরকে ট্রেনিং দিয়ে চেয়ারে বসিয়ে তার খাওয়া মুখের নড়াচড়া, কণ্ঠস্বরের বিভিন্নতা এবং ঠোটের গতিপ্রকৃতির এক্সরে ভিডিও ধারণ করে। সেটা বিশ্লেষণ করে তারা কণ্ঠের ৯৯টি ভিন্ন ভিন্ন কনফিগারেশন পায়। এর উপর ভিত্তি করে তারা একটি মডেল তৈরি করে এবং একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামে তা প্রবেশ করায়। " Will you marry me?" বাক্যটি তারা ঐ কম্পিউটার প্রোগ্রামে চালিয়ে দেখে যে বানরের কণ্ঠস্বর ফ্ল্যাট ও কিছুটা কড়কড়ে কিন্তু শব্দগুলো পরিষ্কার ও কম্প্রেহেনসিভ।

গবেষণার সিদ্ধান্ত এই যে, বানর ও তৎসদৃশ গোত্রের প্রাণিদের কথা বলার জন্য যথাযথ অঙ্গ আছে। কিন্তু মস্তিষ্কের অক্ষমতার জন্য তারা কথা বলতে পারে না। তাদের যদি মানুষের মত মস্তিষ্ক থাকতো তবে ঠিকই কথা বলতে পারতো। আসলে তাদের শব্দ উৎপাদনকারি অঙ্গ সমূহ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা তাদের নেই। তাই তারা আমাদের মত বলতে পারে না।

বোঝার সুবিধার্থে লেখাটি সংক্ষিপ্ত ও সহজ করা হয়েছে। যারা ইংরেজিতে দক্ষ তারা মূল লেখাটি দেখে নিতে পারেন।

মূল লেখাটি দেখতে এনে ডুইক্কা পড়ুইন
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×