somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আইএস তুমি কার?

১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জঙ্গীবাদ শব্দটা শুনতে ভয়ংকর লাগে।জঙ্গী ও জঙ্গীবাদ বিরোধী যত আন্দোলন হয়,যত প্রচার হয়,এর পৃষ্টপোষকদের বিরুদ্ধে সেইভাবে সোচ্চার হতে দেখি না।কারণ ইসলাম।ইসলাম এবং মুসলিমদের সাথে জঙ্গীবাদ শব্দটা লেপটে দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা কম বেশী সবাই জানি ও স্বীকার করি যে আমেরিকা আর ইসরায়েল সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের সবচেয়ে বড় মদত দাতা।আমেরিকা,ইসরায়েল আইএসের পক্ষে নিরবে কাজ করছে আর রাশিয়াকে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।সৌদি আরবের মত দেশে পবিত্র ও স্পর্শকাতর স্থানে হামলা চালানোর মত দুঃসাহস কেউ দেখাতে পারে এমনটা সৌদি আরবও ভাবেনি।আইএস মূলত আমেরিকা ও ইসরায়েলের দুগ্ধপোষ্য হিংস্র পশু।ইসলামের ভুল ব্যাখ্যাকে যারা সঠিক ভেবে জিহাদী মন্ত্র জপে তারা নিজ স্বজাতিকেও হামলার লক্ষ্য বানিয়েছে।এক মুসলমান অন্য মুসলমানের ভাই এই সত্য যারা ভুলে গিয়ে বাছবিচার না করে মানুষ হত্যা করছে তারা তো ইসলাম থেকেই খারিজ হয়ে গেছে।



ইসলাম বলছে,'যে একজন মানুষকে হত্যা করল (সে অমুসলিম হলেও) তার জন্য জান্নাত হারাম।'আইএস ইসলামের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করছে।ইসলামিক রাষ্ট্রে হামলা চালিয়ে সেই দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।আইএস যদি ইসলামের জন্য,মজলুম মুসলমানদের জন্য কাজ করত তাহলে তাদের প্রধান শত্রু হওয়ার কথা ছিল ইসরায়েল।অথচ তারাই ইসরায়েলের কাঙ্কিত উদ্দেশ্য সাধনে কাজ করছে।সমগ্র বিশ্বে ইসলামকে জঙ্গীবাদী ধর্ম হিসাবে উপস্থাপন করছে।কোন ইহুদি-খ্রিস্টান দেশে সন্ত্রাসবাদ কিংবা জঙ্গীবাদ জায়গা পায় নি।কিন্তু শক্তিশালী খ্রিস্টান-ইহুদিরাই ইসলাম ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে মুসলমানদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে।বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।সম্ভাবনাময় শিক্ষিত আধুনিক তরুণদের জীবন শেষ করে দিচ্ছে।মুসলমানদের ধর্মীয় আবেগের ফায়দা লুটছে।এর দায়ভার শুধু আইএস নামদারী বিপথগামী মুসলিমদের উপর বর্তায় না,এর পৃষ্টপোষক ইসরায়েল,আমেরিকার উপরও বর্তায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড্রাকুলা

লিখেছেন সুদীপ কুমার, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

কোন একদিন তাদের মুখোশ খুলে যায়
বেরিয়ে আসে দানবীয় কপোট মুখায়ব।

অতীতে তারা ছিল আমাদের স্বপ্ন পুরুষ
তাদের দেশ ছিল স্বপ্নের দেশ।
তাদেরকে দেখলেই আমরা ভক্তিতে নুয়ে পড়তাম
ঠিক যেন তাদের চাকর,
অবশ্য আমাদের মেরুদন্ড তখনও... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×