জঙ্গীবাদ শব্দটা শুনতে ভয়ংকর লাগে।জঙ্গী ও জঙ্গীবাদ বিরোধী যত আন্দোলন হয়,যত প্রচার হয়,এর পৃষ্টপোষকদের বিরুদ্ধে সেইভাবে সোচ্চার হতে দেখি না।কারণ ইসলাম।ইসলাম এবং মুসলিমদের সাথে জঙ্গীবাদ শব্দটা লেপটে দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা কম বেশী সবাই জানি ও স্বীকার করি যে আমেরিকা আর ইসরায়েল সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের সবচেয়ে বড় মদত দাতা।আমেরিকা,ইসরায়েল আইএসের পক্ষে নিরবে কাজ করছে আর রাশিয়াকে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।সৌদি আরবের মত দেশে পবিত্র ও স্পর্শকাতর স্থানে হামলা চালানোর মত দুঃসাহস কেউ দেখাতে পারে এমনটা সৌদি আরবও ভাবেনি।আইএস মূলত আমেরিকা ও ইসরায়েলের দুগ্ধপোষ্য হিংস্র পশু।ইসলামের ভুল ব্যাখ্যাকে যারা সঠিক ভেবে জিহাদী মন্ত্র জপে তারা নিজ স্বজাতিকেও হামলার লক্ষ্য বানিয়েছে।এক মুসলমান অন্য মুসলমানের ভাই এই সত্য যারা ভুলে গিয়ে বাছবিচার না করে মানুষ হত্যা করছে তারা তো ইসলাম থেকেই খারিজ হয়ে গেছে।
ইসলাম বলছে,'যে একজন মানুষকে হত্যা করল (সে অমুসলিম হলেও) তার জন্য জান্নাত হারাম।'আইএস ইসলামের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করছে।ইসলামিক রাষ্ট্রে হামলা চালিয়ে সেই দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।আইএস যদি ইসলামের জন্য,মজলুম মুসলমানদের জন্য কাজ করত তাহলে তাদের প্রধান শত্রু হওয়ার কথা ছিল ইসরায়েল।অথচ তারাই ইসরায়েলের কাঙ্কিত উদ্দেশ্য সাধনে কাজ করছে।সমগ্র বিশ্বে ইসলামকে জঙ্গীবাদী ধর্ম হিসাবে উপস্থাপন করছে।কোন ইহুদি-খ্রিস্টান দেশে সন্ত্রাসবাদ কিংবা জঙ্গীবাদ জায়গা পায় নি।কিন্তু শক্তিশালী খ্রিস্টান-ইহুদিরাই ইসলাম ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে মুসলমানদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে।বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।সম্ভাবনাময় শিক্ষিত আধুনিক তরুণদের জীবন শেষ করে দিচ্ছে।মুসলমানদের ধর্মীয় আবেগের ফায়দা লুটছে।এর দায়ভার শুধু আইএস নামদারী বিপথগামী মুসলিমদের উপর বর্তায় না,এর পৃষ্টপোষক ইসরায়েল,আমেরিকার উপরও বর্তায়।