//
হুমায়ূন আহমেদ।
ঘৃণা করে ভালোবেসে মায়ায় জড়িয়ে পড়া একটি নাম।
২০১২ সালের কথা।একদিন এফএম এ বিবিসি শুনছি।
হুমায়ূন আহমেদ এর সাক্ষাতকার প্রচারিত হচ্ছিল।একপর্যায়ে হুমায়ূন আহমেদকে প্রশ্ন করা হল আপনার জীবনের শেষ ইচ্ছে কি?
তিনি উত্তর দিলেন,"আমি মরার আগ পর্যন্ত লিখতে চাই।একটা লাইন হলেও লিখতে চাই।"
শুনে আমার মাথা ঘুরে গেল।এ পাগল কি বলে?কিছুদিন পরে প্রথম আলোতে শুক্রবারের সাহিত্য পাতায় "নিউইয়র্কের আকাশে ঝকঝকে রোদ " (বর্তমান নামকরণ) শিরোনামে হুমায়ূন আহমেদের লেখা ছাপা হল।পাগলের লেখা পড়লাম।তেমন কিছুই না।চিকিত্সা নিতে গিয়ে কি কি করতে হচ্ছে আর পুত্র নিনাদ ও নিনিত এর পাগলামীর কথা লেখা হয়েছিল।সামান্য এই লেখা আমাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে ফেলেছে।মোহাবিষ্ট করে দিয়েছে।
যেদিন শুনলাম তিনি মারা গিয়েছেন তখন কেঁদেছি।ক্যালেন্ডারে ১৯ শে জুলাই গোল দাগ দিয়ে রেখেছি।তার জানাযা এবং দাফন প্রক্রিয়ার প্রতিমুহূর্তের খবর রেখেছি।বাসায় তখনও ডিশ সংযোগ ছিলনা বলে গলির সামনে দোকানের বাইরে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে লাইভ কভারেজ দেখেছি।
প্রথম আলো ঈদ সংখ্যায় প্রকাশিত "মেঘের উপরে বাড়ি" আমার পড়া হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস।এরপর আর কোন লেখকের বই পড়ে তৃপ্তি পাই নি।হুমায়ূনে মজে গিয়েছি।যখন তাকে চিনতে পেরছি,বুঝতে পেরেছি হুমায়ূন আহমেদ কি,তখন তিনি আর পৃথিবীতে নেই।
একসময় হুমায়ূন আহমেদকে গালমন্দ করা আন্দালিব রাশিদও ২০ শে জুলাই প্রথম আলোতে আবেগী কলাম লিখেছেন।
চোখ ভিজে যায়।
ভালো থাকুক প্রিয় মানুষটি।