somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছবি ব্লগ: শান্ত শীতল সরোবরে জলে,স্থলে,অন্তরিক্ষে থাকা এক ঝাক রাজহংসের সাথে কাটানো কিছুটা সময়।(ছবি ব্লগটি প্রতিযোগীতার জন্য নয়)

২১ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সামুতে লগ ইন করার পরে প্রথমেই চোখে ভাসে দৃষ্টি আকর্ষন: ছবি ব্লগ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহনের আহ্নান।
ফটোগ্রাফিতে আমি বড়ই দুর্বল, তার পরেও আমার অনেক পোষ্টে আমি ধার করা অনেক ছবি ব্যবহার করি ।
ব্লগে ছবি ব্যবহার করি বলে ছবির প্রতি সকল সময়ই আমার আকর্ষন রয়েছে। আমি জানি, এই ব্লগে খুবই উঁচুমানের
ফটোগ্রাফার রয়েছেন , তাঁদের ছবির কাছে আমার আনারী হাতের ছবি একেবারেই নগন্য। তাই প্রতিযোগীতাটি তোলা
রইল সে সকল গুণী ব্লগারদের জন্য। তবে ব্লগের একটি আহবানের প্রেক্ষিতে প্রতিযোগীতার জন্য না হলেও একটি
ছবি ব্লগ পোষ্ট দেয়ার আকাংখা হতেও এই পোষ্টের পথচলা। পুর্বে প্রথম প্রকাশের সময় প্রতিযোগীতার জন্য নয়
বলে উল্লেখ করা হয়নি বলে এখন এডিট করে শিরোনামে বন্ধনীর ভিতরে পরিস্কারভাবে কথাটি উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।
আমার এ ভুলের জন্য সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আশা করি বিষয়টি সকলে ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবেন ।
যাহোক, ইদানিং আমার দৈনন্দিন জীবনের অংশে পরিনত হওয়া কিছু অভিজ্ঞতা; ছবি যেন কথা বলে আকারে এই ছবি
ব্লগে তুলে ধরা হল।

ঘরের কাছেই মনোরম এক সরোবরে প্রায় প্রতিদিনই পড়ন্ত বেলায় রাজহংসদের মিলন মেলায় ঘুরতে যাই সপরিবারে।
সাথে নিয়ে যাওয়া কিছু গম আর ভুট্টাদানা জলে স্থলে ছড়িয়ে দিয়ে অপরুপ কিছু দৃশ্য দেখে আনন্দে হয়ে যাই
আটখানা।আনন্দঘন মহুর্তের কিছু ছবি এখানে সকলের তরে শেয়ার করা হ‌'ল বদ্ধ ঘরে বন্দি না থেকে করোনার বিষাদময়
সময়ে কোলাহলমুক্ত নির্মল পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘুরাফিরায় অনুপ্রেরনার তরে। সকলেই একটু সচেষ্ট হলে এমন
অনেক জীব বৈচিত্রময় সরোবর গড়া যায় আমাদের দেশের বসতি এলাকার ধারে কাছে,শুধু কঠোর হস্তে দমন করতে হবে
জলাসয়খোর ভুমি দস্যুদেরে। যাহোক, সপরিবারে পড়ন্ত বেলায় সবোবরে কাছে গিয়ে গাড়ী হতে নেমেই হাতে
তালি দিয়ে বলি; হংস উড়ে গিয়ে তোর সাথীদেরে বলনা,রোজকার সঙ্গীরা এসে গেছে হাতে নিয়ে খাজনা (প্রচ্ছদ ছবি)
ক্ষনিকেই চিরচেনা সোয়ান আর রাজহংসের পাল (সোয়ান আর রাজ হংসের মাঝে পার্থক্য আছে) দেখে মনে বাজে,
১)আর জনমে হংস মিথুন ছিলাম, ছিলাম নদীর জলে


২) খবর পেয়ে ধেয়ে আসে রাজ হংসপাল দলে দলে


উপারে কাশবন, এপারে নলখাগড়া ঝোপের পাড়ে
৩) বালিহাস পায় পায় হেটে চলছে খাদ্যের তরে


৪) ছায়া দেখেই বুঝে গেছে মিলবে খানা এখানেই আশে পাশে


হংসদলের দৃশ্য দেখতে দেখতে, খানিকটা এগিয়ে গেলে মিলবে
৫) ছোট ছোট বাচ্চাসহ আনন্দঘন দৃশ্য সরোবর কিনাড়ে


৬) তবে সকলেই কিছুটা ভয়ে থাকে মাথার উপরে তিনাকে (ঈগল) দেখলে পরে


৭) পুটলায় থাকা খাবারের আশায় হংস মহাশয় (সোয়ান) পায় পায় উঠে আসে জলের উপরে


৮) ঘোমটা দেয়া মাথা ঢাকা গৃহবধুদের দেখে রাজহংস লাজে মরে,রমনীকুল হতবিহবল এমনতর দৃশ্য দেখে


৯) লোকে বলে এই গাছের ডালে সুন্দর ফুলের মালা বেঁধে রেখে গেলে, মানত পুরণ হয় পুর্ণিমাকালে


১০)শুভ পরিনয়ের নিয়তে বাঁধা মালা দেখে জলে ভাসা রাজহংসটি যেন বলছে মানত পুরণ হবেই হবে


১১) গড়ল প্রেমে জড়িয়ে লোক দেখানো কারো মালার বাঁধন দেখে রাজহংসীটি যেন লজ্জায় মুখ ঢাকে


সত্যই সুন্দর, সত্যের নেই কোন উপহাস, নির্মল আনন্দ নিয়ে সবাই ঘরে ফিরুক একামনাই যেন রয়েছে প্রতিটি হংসের
অন্তরে। করোনা নিপাত যাক, সকলেই সুখে শান্তিতে থাক,ঘুরে বেড়াক নির্মল ও নিরাপদ প্রকৃতির বুকে। বিবিধ জাতের
হংস পালের সাথে মানুষের নিরাপদ সৌহার্দপুর্ণ আচরণ ও সহবস্থানের সুরই বাজে শান্ত স্নিগ্ধ সরোবরের চারিধারে।
নির্মল বাযু সেবনের সাথে সুখের অনুভুতি নিয়েই ঘরে ফিরি হংসকুলের সাথে আনন্দঘন কিছুটা সময় কাটিয়ে।

ছবি সুত্র :
সকল ছবি নীজ মোবাইল ফোনের ক্যমেরায় তোলা। স্থান হাইল্যান্ড,তারিখ ১৮ই জুন ২০২১, রোদ্রজ্জল অপরাহ্ন বেলা।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:১০
৩৮টি মন্তব্য ৩৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×