somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগে প্রকাশিত লেখাকে ‘গার্বেজ’ আখ্যা দেওয়া: বৈজ্ঞানিক যুক্তিমুলক মূল্যায়ন নয়

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ইন্টারনেট যুগে জ্ঞানচর্চা ও তথ্যবিনিময়ের প্রধান মাধ্যমগুলোর একটি হলো ব্লগ।ব্লগে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা , গবেষনা , গল্প , কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ , নিবন্ধ , ফিচার , ছবিব্লগ, ভ্রমন কাহিনী প্রভৃতি প্রকাশ পায়, এবং বহুমাত্রিক পাঠকসমাজ সেগুলি থেকে উপকৃত হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, অল্প বোধগম্যতা কিংবা ব্যক্তিগত অস্বস্তি থেকে কেউ কেউ এসব জ্ঞানগর্ব বা চিন্তাকেন্দ্রিক লেখাকে “গার্বেজ” বলে অবজ্ঞা করছেন। এই ধরনের মন্তব্য এবং ক্ষেত্র বিশেষে কারো নাম উল্লেখপুর্বক পোস্টও প্রকাশ করা হয় , তা শুধু বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না; বরং জ্ঞানের মৌলিক মূল্যবোধকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে। বৈজ্ঞানিক যুক্তিতর্ক অনুসারে কেন এমন মূল্যায়ন বিভ্রান্তিকর তার কয়েকটি দিক এখানে বিশ্লেষণ করা হলো।

১. “গার্বেজ” শব্দটি মুলত কোন বৈজ্ঞানিক যুক্তিমুলক মূল্যায়ন নয় এটি একটি আবেগজনিত প্রতিক্রিয়া।
কোন লেখার উপর সমালোচনার মূল নীতি হলো:-
যে দাবি করা হচ্ছে, তা প্রমাণ/যুক্তি নির্ভর কি না?
ক্ষেত্রবিশেষে তার যুক্তিগুলো কতটা যাচাইযোগ্য বা গ্রহনযোগ্য ?
কিন্তু “গার্বেজ” শব্দটি এমন কোনো বিশ্লেষণ দেয় না। এটি কেবল আবেগ-নির্ভর, বিষয়টিকে বোঝার চেষ্টাহীন একটি প্রতিক্রিয়া। পাঠকের বোঝাপড়ার ঘাটতি থাকলেও লেখাটি ‘ব্যর্থ’ হয় না; বরং পাঠককে নতুন করে চিন্তা করতে আমন্ত্রণ জানায়। বিজ্ঞানেও একই নীতি যথা কোয়ান্টাম মেকানিক্স, টপোলজি অথবা জেনেটিক্স প্রভৃতি সংক্রান্ত কোন কিছুর আলোচনা অস্পষ্ট জটিল বা বোধগম্যহীন বা খ্রান্ত বলে মনে হলেও সেগুলোকে “গার্বেজ” বলা যায় না, কারণ ভ্রান্ত হলেও সেগুলির বৈজ্ঞানিক যুক্তি তর্ক থাকে ।

২. কগনিটিভ লোড থিওরির আলোকে পাঠক বোধের সীমাবদ্ধতা
শিক্ষাবিজ্ঞানের Cognitive Load Theory দেখায়, জটিল ধারণা প্রথমবার পড়লে মানুষের মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হতে পারে। তখন অনেকেই বিষয়টিকে ভুল বা “অকার্যকর” মনে করেন। কিন্তু এর মানে এই নয় যে লেখাটি খারাপ; বরং পাঠকের তথ্য প্রক্রিয়াকরণে আরও সময় বা অভ্যাস প্রয়োজন।
অর্থাৎ, কারো জন্য কঠিন হওয়া = লেখাটি গার্বেজ
এটি একটি মারাত্বক বিভ্রম, যা নিজেদের সীমাবদ্ধতাকে লেখকের উপর চাপিয়ে দেওয়ার সমান।

৩. ব্লগে ভদ্রজনোচিত যে কোন লেখাই একটি তথ্য-ইকোসিসটেম সৃষ্টি করে
একটি লেখাকে গার্বেজ তথা মূল্যহীন বলার আগে দেখতে হবে, সেটির ইনফরমেশন ভ্যালু কী:
এটি নতুন ধারণা দিচ্ছে কি?
এটি কোনো কল্যানমুখী দিক নির্দেশ করছে কি?
এটি পাঠককে নতুন চিন্তাভাবনার দিকে ঠেলে দিচ্ছে কি?
ব্লগে ভদ্রজনোচিত ভাষায় কল্যানকামী যে কোন গল্প কবিতা উপন্যাস, প্রবন্ধ, ফিচার প্রভৃতি সাধারণত জ্ঞানতাত্ত্বিকভাবে মূল্যবান। তথ্যবিজ্ঞান বা ভাববোধক কথাসমৃদ্ধ কোনো লেখা যদি জটিল ধারণাকে প্রসারিত করে যথা আঁধারের মাঝেও আলো থাকে , এ ধরনের কাব্যিক কথামালার মধ্যে একটি উচ্চ semantic density থাকে। কারণ “আধারের মাঝেও আলো থাকে “ কবিতার এই কথাগুলির ব্যাপক ভাব সম্প্রসারন রয়েছে যা নীজস্ব চিন্তাশক্তি প্রয়োগ করে বুঝতে হয়। একজন দক্ষমাঝি যেমন তার পালের নৌকাকে অনুকুল কিংবা প্রতিকুল বায়ু ব্যবহার করে তার গন্তব্যের পথে চালিত করতে পারেন তেমনি উচ্চ semantic density যুক্ত লেখাকে নিম্ন বোধগম্য পাঠক “গার্বেজ” বললেও, বৈজ্ঞানিক মানদণ্ডে এটি আসলে আরও অনেক উন্নত।

৪.কোন সমালোচনা বৈজ্ঞানিক হতে হলে যুক্তি চাই, নিন্দা নয়
বৈজ্ঞানিক সমালোচনার চারটি ভিত্তি রয়েছে:-
১. সুনির্দিষ্ট বক্তব্য
২. যাচাইযোগ্য প্রমাণ
৩. যৌক্তিক বিশ্লেষণ
৪.প্রাসঙ্গিকতা
কিন্তু “গার্বেজ” মন্তব্য এগুলোর কোনোটাই পূরণ করে না।এটি আসলে একটি Argumentum ad Hominem অর্থাৎ ব্যক্তি বা লেখার চরিত্রকে আক্রমণ করা, তার বিষয়বস্তুকে না বুঝেই।
এটি সমালোচনা নয়; এটি বুদ্ধিবৃত্তিক আলসেমি।

৫.ব্লগে জ্ঞানগর্বমুলক যেকোন লেখার অস্তিত্বই বুদ্ধিবৃত্তিক বৈচিত্র্যের লক্ষণ
উদাহরন হিসাবে একটি নমুনা নীচে তুলা ধরা হল ;

এই সামু ব্লগে সাম্প্রতিক প্রকাশিত “আঁধারের মাঝেও আলো আছে” শীর্ষক একটি কবিতায় কিছু পঙতিতে বলা হয়েছে -

মানুষের কষ্ট, ব্যথা, হাহাকার
তাকে শেখায় আরও মমতা
ব্যথার মাঝেও জন্ম নেয় তখন
আলোর পথে চলার দৃঢ়তা।

অন্ধকারের প্রতিটি দিন
এক নতুন আলোকের জন্ম দেয়
সহমর্মিতার ছোট্ট প্রদীপ
মানুষের মনেই জ্বলে জ্বলে ওঠে।

শেষমেশ জীবন শেখায় আমায়
অন্ধকারেরও আছে ঘোষণা
যেখানে রাত হয় ঘনীভূত
সেখানে ভোরেরই উন্মেষ রচনা।

তাই আলো খুঁজতে চাইলে আগে
নিজেই হতে হয় আলোর মতো
কারণ, ঘন আঁধারেও আলো থাকে
সে আলো জাগে মানুষের অন্তর তলে।

তাই প্রতিদিন একটি আয়াত
কিংবা একটি ধর্মবাণী কিংবা
নীতি কথা পাঠ ও অনুসরণ
অন্তরে ঘটাবে আলোর বিস্ফোরণ
মানব সমাজ দেশ পাবে সুশাসন।

সেই লেখাটিতে থাকা পুর্বাপর লেখাগুলি পাঠ কিংবা আমলে না নিয়ে
কবিতাংশটির মাত্র দুটি লাইন তথা –

তাই প্রতিদিন একটি আয়াত
কিংবা একটি ধর্মবাণী

এই গুটি কথক কথার সুত্র ধরে লেখক বা লেখাকে গার্বেজ বলা খুব একটি বিজ্ঞতাসুলভ আচরণ নয় ।
কারণ সমালোচক আরো একটু কষ্ট করলে পরের লাইনেই দেখতে পেতেন বলা হয়েছে-
নীতি কথা পাঠ ও অনুসরণ

“নীতি কথা পাঠ ও অনুসরণ” একটি বহুমাত্রিক উপলব্ধি
“নীতি কথা পাঠ ও অনুসরণ” কেবল নৈতিক বাণী পড়া নয়; এটি মানুষের জ্ঞান, চেতনা, আচরণ ও সামাজিক কাঠামোকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে এমন এক সমন্বিত প্রক্রিয়া।
বৈজ্ঞানিকভাবে, নীতি-শিক্ষা মানব মস্তিষ্কের নির্বাহী কার্যকলাপকে (executive functions) পরিশীলিত করে, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, Self-regulation এবং আচরণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়। দার্শনিক দৃষ্টিতে, নীতিকথা মানুষের অস্তিত্ব, কর্তব্য, ন্যায় অন্যায়ের সীমা ও জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভাবতে শেখায়। যুক্তিক বিশ্লেষণ এ ধারণাকে আরও দৃঢ় করে, কারণ নীতি অনুসরণ মানেই সত্য-মিথ্যা পৃথক করতে যুক্তি প্রয়োগ, প্রমাণ বিচার এবং বিবেক-নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ। ধর্মনৈতিক দৃষ্টিকোণে, নীতি কথা মানব চরিত্র, পরহিতব্রত, ন্যায়পরায়ণতা ও সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাসের আলোকে জীবনকে শুদ্ধ পথে পরিচালনার দীক্ষা দেয়।

অতএব, “নীতি কথা পাঠ ও অনুসরণ” মানবজীবনে নৈতিক বিকাশের পাশাপাশি জ্ঞানবিজ্ঞান, দর্শন, যুক্তি ও ধর্মনৈতিকতার এক সুসমন্বিত পথরেখা যা ব্যক্তিকে শুদ্ধ চরিত্র, সুশৃঙ্খল সমাজ ও অর্থবোধক জীবনযাপনের দিকে এগিয়ে নেয়। তাই এ ধরণের জ্ঞান গর্বমুলক একটি কথা বলার নিমিত্ত কাওকে নবুয়তি লাভের মত বাক্যবাণে বিদ্ধ করার প্রয়োজন হয়না, কেননা এ কথা বলার জন্য সামান্য জ্ঞান বুদ্ধি সমপন্ন হলেই চলে ।

গবেষণা দেখায়, যেসব সমাজে জটিল, বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনার সুযোগ বেশি, সেসব সমাজের উদ্ভাবন, নৈতিকতা ও চিন্তার গভীরতা বেশি হয়। ব্লগের মতো খোলা প্ল্যাটফর্মে যদি চিন্তার উচ্চতার জন্য লেখাকে গার্বেজ বলা হয়, তাহলে সম্পূর্ণ প্ল্যাটফর্মেই Anti -Intellectualism ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে।Anti-Intellectualism শেষ পর্যন্ত জ্ঞানবিস্তারকে দমন করে যা কোনো সমাজের জন্যই মঙ্গলজনক নয়।

৬. সামু ব্লগের মত প্রগতিশীল একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দেখায় চ্যালেঞ্জিং লেখা প্রগতির ইন্ধন
মানব সভ্যতার আদি থেকে আজ পর্যন্ত, প্রতিটি যুগান্তকারী চিন্তাই প্রথমে “অতিরঞ্জিত”, “অপ্রয়োজনীয়”, বা “বোঝা কঠিন” বলে আখ্যা পেয়েছে।কিন্তু সময় প্রমাণ করেছে-
জটিল চিন্তা = জ্ঞানের বিবর্তন।
ব্লগের জ্ঞানগর্ব লেখা পাঠককে স্থিরতায় রাখতে নয়, বরং আরো জানতে বা প্রশ্ন করতে প্রলুব্ধ করে যাতে তারা বাধ্য হয় প্রশ্ন করতে, শিখতে, এবং ভাবতে উদ্যোগী হয় ।
এই প্রলুব্দতাই জ্ঞানবিকাশের চালিকা শক্তি।

পরিশেষে বলতে চাই, জ্ঞানচর্চার প্রধান উদ্দেশ্য হলো মানুষকে চিন্তা করানো, প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করানো, এবং বোধকে প্রসারিত করা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজকের তথ্যবিস্ফোরণের যুগে বিশেষ কথক পাঠক আছেন যারা নিজেদের বোধের সংকীর্ণতাকে ঢাকতে গিয়ে ব্লগের জ্ঞানগর্ব, গবেষণাভিত্তিক বা চিন্তামূলক লেখাগুলোকে নির্দ্বিধায় “গার্বেজ” বলে অপমান করেন মর্মে দেখতে পাওয়া যায়।
এই অভিযোগ শুধু অযৌক্তিকই নয়, এটি এক ধরনের অজ্ঞতার প্রদর্শনী।

ব্লগের জ্ঞানগর্ব লেখাকে “গার্বেজ” বলা বিশেষজ্ঞতা নয়; এটি একটি বোধগত সংকীর্ণতা। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে জ্ঞানের মান নির্ধারিত হয় যুক্তি, তথ্য, বিশ্লেষণ ও প্রাসঙ্গিকতার ভিত্তিতে, কোনো ব্যক্তিগত অস্বস্তি বা বোঝাপড়ার সীমার ভিত্তিতে নয়। তাই জ্ঞানের প্রসার ঘটে এমন কোন জ্ঞানগর্ব লেখাকে ‘গার্বেজ’ বলা: যুক্তিহীনতার এক বিপজ্জনক লক্ষণ।

এমতাবস্থায়, যে কোন অযৌক্তিক গার্বেজ জাতীয় কথামালার বিপক্ষে দাঁড়ানো কেবল লেখকের মান রক্ষার প্রশ্ন নয়; এটি জ্ঞানচর্চার সামগ্রিক পরিবেশ রক্ষারও দায়িত্ব। একজন অতি সাধারণ বয়োবৃদ্ধ ব্লগারের দায়বদ্ধতার প্রেক্ষাপটে এই লেখাটির অবতারনা ।

সকলের প্রতি শুভেচ্ছা ও সুখী সমৃদ্ধ জীবনের জন্য দোয়া তথা প্রার্থনা রইল ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৯
২৭টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×