কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ঠকঠকিয়ে কাঁপছে রাজবদ্যি|হুঙ্কার দিয়ে শুরু করলেন রাজা|
রাজাঃ-তোর ঔষধ খাইয়া আমার লুতুপুতু কুতুকুতু বাবুর হিসু বন্ধ হইয়া গিয়াছে |বল কি খাইয়েছিলি?নইলে তোর গর্দান দিয়ে আমি ফুটবল খেলিব|
বদ্যিঃ (কাঁপতে কাঁপতে)আজ্ঞে রিদুফুমাস বৃক্ষের পত্রের----
রাজাঃ কি?! রিদুফুমাস!বুড়া ভাম|তুই জানিসনা ঐ পত্রে বিষ?
বদ্যিঃকি বলেন হুজুর?! আমিতো জন্ম হইতেই জ্বরের চিকিৎসায় ঐ পত্র ব্যবহার করিয়া আসিতেছি|কতক মরিয়াছে বটে কিন্তু জ্বর ছাড়িয়াছিল ঠিকই |
রাজাঃ গুষ্টি কিলাই তোর চিকিৎসার|তুই জানিসনা?কতকদিন পুর্বে পার্শেবর দেশের এক ডাক্তার আবিস্কার করিয়াছে ঐ বৃক্ষের পত্রে বিষ?
বদ্যিঃ কি বলেন হুজুর?আমি এই রাজ্যের সেরা গবেষক|গবেশনাগার হইতে টয়লেট গমনের সময় পাইনা বিধায় ঐ খানেই কয়েকশ ছালা আনিয়া রাখিয়াছি|বিদেশের খবর আবার কেমনে রাখিব হুজুর?
রাজাঃ কিন্ত ঐ পত্র তুই পাইলি কিরুপে?
বদ্যিঃকেন হুজুর?রাজ্জ্যর আনাচে কানাচে ত কতই রিদু----
রাজাঃকিন্তু আমিত কদিন আগেই মন্ত্র্রীকে আদেশ করিয়াছিলাম রাজ্যের সব রিদুফুমাস বৃক্ষ কাটইতে|
অতএব একটু পরেই কাঠগড়ায় যোগ হলেন মন্ত্র্রীঃ
রাজাঃআমি তোমাকে পত্র মারফত নির্দেশ দিয়াছিলাম রাজ্যের সব রিদু----
মন্ত্র্রীঃ জ্বী হুজুর|কিন্তু---
রাজাঃ কিন্ত কি?এরপরেও ঐ ব্রিক্ষ দেশে থাকে কিরুপে?
মন্ত্র্রীঃ গোস্তাখি মাফ করেন হুজুর|
রাজাঃ মাফ?আমার বংশের প্রদিপ হিসু করিতে পারিতেছেনা আর তুই মাফ চাস?তর সাহস হইল কিরুপে আমার আদেশ অমান্য করিবার?
মন্ত্র্রীঃ আ--আজ্ঞে হুজু্র ঐ পত্র আমি পড়িতেই পারিনাই|
রাজাঃ কি?আমার হস্তাক্ষর পাঠের অযোগ্য?এই কে আছিস? শুলে চড়া এটাকে শিগগির|
মন্ত্র্রীঃ (কাঁদতে কাঁদতে)বিশ্বাস করুন হুজুর| আপনার পত্র পাইয়াই আমি পকেটে রাখিয়াছিলাম|কিন্তু সেদিন আমার তিন নম্বর বিবির রান্না শাহি পলাও একটু বেশিই টানিয়াছিলাম|এমন আউটগোইং শুরু হইল যে বাড়ির সব টয়লেট পেপার গেল ফুরাইয়া|শেষে দেখি পানি ও শেষ |অগত্যা আপনার পত্রখানা দিয়াই---|
পরিশিষ্টঃ শেষমেষ সেই বিদেশি ডাক্তার রাজপুত্রকে সারিয়ে তুললেন| সেই বদ্যি ও মন্ত্র্রীর কি শাস্তি হয়েছিল জানা জায়নি|কিন্তু রিদুফুমাস নামক সেই বিষবৃক্ষ এখনও সেই দেশে দেখা যায়|