টেমসেট নামক ভেজাল প্যারাসিটামল আবার এক শিশুর জীবন কেড়ে নিয়েছে। সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশে এমন ঘটনায় নিশ্চয়ই আমি আপনি সবাই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। আমরা কি এবার অভ্যাসটা বদলাবো, নাকি আমাদের কারো সন্তান বিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবো?
এভাবে একটা সভ্য দেশ চলতে পারে না। ঔষধ খেয়ে একটা শিশু মারা যাবে আর ঔষধ প্রশাসন তামাশা করে বলবে এমন ঘটনা তাদের জানা নেই - এটা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। সবার আগে যে প্রতিষ্ঠানটিতে তোলপাড় শুরু হওয়ার কথা, সে প্রতিষ্ঠানটি বলছে সে ওয়াকিবহাল নয় - সভ্য জাতি হিসেবে আমরা এটা কিভাবে মেনে নিচ্ছি? ঔষধ প্রশাসনকেই সবার আগে জবাবদিহী করতে হবে কেন এমন ঘটনা বারবার ঘটছে। শিশু হত্যার দায় ঔষধ প্রশাসন কোনভাবেই এড়াতে পারে না। আমাদের প্রশ্ন - কাকে বাঁচাতে কর্তৃপক্ষ এমন কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে বারবার। পত্রিকার হিসেব মতে এ পর্যন্ত ২৭ জন শিশু মারা গেছে (আসলে খুন হয়েছে) ভেজাল ঔষধ খেয়ে।
একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক দেশের জনগন হিসেবে আমি সরকারের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি - যারা এই ২৭ নিরাপরাধ শিশু হত্যার জন্য দায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, বক্তৃতা বা প্রকাশনার জন্য নয়, বরঞ্চ বিবেকের তাড়নায় এইসব মুনাফালোভী অসাধু ঔষধ ব্যবসায়ী চক্রের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙে যারা প্রশাসনিক কাজে ব্যর্থ হয়েছে তাদেরও জবাবদিহীতার ব্যবস্থা করে এমন শ্পর্শকাতর পদ থেকে তাদের বাধ্যতামূলক অব্যহতি দিতে হবে।
আসুন আমরা সবাই সোচ্চার হই সমস্ত অনিয়মের বিরূদ্ধে।