আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলি-2
২৪ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ৯:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর প্রথম ক্লাস করতে ক্যাম্পাসে পা রেিেছলাম খুব সম্ভবত 1 জুলাই (তারিখটা 8 জুলাইও হতে পারে) 2000ইং। সেদিন জীবনের সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতাটাই মনে হয় আমার এ ক্যাম্পাসে হয়েছিল। মহসীন হলের মাঠে পড়ে থাকতে দেখেছিলাম দুটি তরতাজা লাশ। ক্যাম্পাস দখল দারিত্বের রাজ্য কায়েম করতে, নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসেরই দুটি অঞ্চলের দুটি গ্রুপের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছিল এ দুজন। তবে এদের কেউই ছাত্র ছিলনা। এরা ছিল টোকাই মাস্তান কিংবা ভাল করে বললে বলা যায় অস্ত্রধারী ক্যাডার। এরা টাকার বিনিময়ে যে কারো পক্ষ হয়ে যে কারো বিপক্ষে লড়াইয়ে নেমে পড়তে পারে অস্ত্র নিয়ে। জীবনের পরোয়া এরা করেনা। খুব সম্ভবত এরাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকাগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তথাকথিত কিছু নেতার তত্বাবধানে ছিনতাই, রাহাজানি সহ বিভিন্ন অপরাধ করে থাকে। পুলিশ এসে লাশ দুটি নিয়ে চলে গেল। এতে আমি অবাক হলাম না। আমি অবাক হলাম অন্য কারনে। এতকিছুর পরেও এ অস্বাভাবিক পরিবেশটাকে আমার স্বাভাবিক মনে হচ্ছিল। এটাই ছিল অস্বাভাবিক। সবাই যার যার মত ক্লাসে যাচ্ছে, কেউ এখানে সেখানে বসে ডেটিং করছে, কেউ দেদারছে আড্ডা দিচ্ছে। কিছুক্ষন আগে যে এখানে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছে সে বিষয়ে কারো কোন খেয়ালই যেন নেই। এক সময় আমিও মিশে গেলাম এসব মানুষের ভিড়ে। ডিপার্টমেন্টে গেলাম। কিন্তু ক্লাস না হওয়াতে ফিরে এলাম। (উল্লেখ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অনেক শিক্ষক আছেন যারা বিন্দুমাত্র অজুহাত পেলেই ক্লাস স্থগিত করতে তৎপর হয়ে উঠেন। হয়তো সেদিনের ক্লাসটাও এসব শিক্ষকদের কারনেই.....)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ৯:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি...
...বাকিটুকু পড়ুন তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ
১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
লিখেছেন
নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২
গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-...
...বাকিটুকু পড়ুন সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।
কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।
ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।
যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন
লিখেছেন
নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯
যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।
কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!
ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন